সাকিব আল হাসান এর জীবনী-Biography of Shakib Al Hasan
Shakib Al Hasan

সাকিব আল হাসান এর জীবনী-Biography of Shakib Al Hasan

ডাক নাম: সাকিব,ময়না,ফয়সাল

বাবার নাম:  মাশরুর রেজা 

মায়ের নাম: শিরিন শারমিন

জন্ম: ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ

ধর্ম: ইসলাম

জন্মস্থান: মাগুরা জেলা, বাংলাদেশ

বর্তমান বয়স: ৩১ বছর

জাতীয়তা: বাংলাদেশী

পেশা:  ক্রিকেটার

উচ্চতা: ৫ ফুট ০৯ ইঞ্চি 

দাম্পত্য সঙ্গী: উম্মে আহমেদ শিশির

সন্তান: বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি এবং ছোট মেয়ের নাম ইররাম। ছেলের নাম ইজাহ আল হাসান

ইউটিউব: https://youtu.be/yXcpDr90-IE

ফেসবুক: https://www.facebook.com/Shakib.Al.Hasan

ইনস্টাগ্রাম: https://www.instagram.com/shaki_b75/?hl=en

টুইটার: https://twitter.com/hashtag/shakib

প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডার রেঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসেন সাকিব আল হাসান। তার রেকর্ড অর্জনের কারনে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এমন কেউই নেই। সাকিব আল হাসান বর্তমানে বাংলাদেশ টেষ্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন। খেলার কৌশল, বুদ্ধিমত্তা, পারফরম্যান্স সহ সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

প্রারম্ভিক জীবন

সাকিব আল হাসান একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। সাকিব আল হাসান ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন সাকিব। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন। সাকিবকে সর্বকালের সেরা বাংলাদেশি ক্রিকেটার ভাবা হয়। তাঁর রেকর্ড, অর্জনের কারণে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন খুব কম মানুষই। দুর্দান্ত ব্যাটিং, বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, সঙ্গে অসাধারণ ফিল্ডিং সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সাকিব অলরাউন্ডার। শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এ সময়ের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব।

কর্মজীবন

২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিব প্রথমবারের মত বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। ক্রিকেট ইতিহাসেই টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ধরনের ক্রিকেটে একই সময়ে এক নম্বরে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। ২০১৫ সালে সাকিব এই কৃতিত্ব প্রথম করে দেখান। সাকিব নিজে নিজের এই কৃতিত্ব আবার করে দেখিয়েছেন, যা আর কোনো দেশের ক্রিকেটার পারেননি। আরেকটি অলরাউন্ড কৃতিত্বে সাকিব অনন্য হয়ে আছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান ও ২০০ মাইলফলক স্পর্শ করেন। মাত্র ১৭৮টি ওয়ানডে লেগেছে তাঁর। এত দ্রুত এই কৃতিত্ব আর কেউ করতে পারেনি। সাকিব টেস্ট ইতিহাসে তিন অলরাউন্ডারের একজন, একই ম্যাচে সেঞ্চুরি আর ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে যাঁদের।

বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিবের। ওয়ানডেতেও সবচেয়ে বেশি উইকেটের লড়াইটা চলছে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেট ২৩৫টি, মাশরাফির ২৩৭টি। টেস্টে সাকিবের উইকেট ১৮৮টি। টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটিও তাঁর। টেস্টে ৯ প্রতিপক্ষের সবার বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ বোলার সাকিব।

সাকিব আল হাসানের অভিষেক ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট, জিম্বাবুয়ের সফরের ওয়ানডেতে। ২০০৭ সালে মে মাসে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়। দ্রুতই তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ হয়ে ওঠেন। অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় তারকার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছিল তাঁর উঠতি বয়স থেকে। খেলা পাগল সাকিবকে বিকেএসপিতে (বাংলাদেশে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) ভর্তি করিয়ে দেন তাঁর বাবা মাশরুর রেজা। মাশরুর নিজে মাগুরার ফুটবলার ছিলেন। সাকিবের ফুপাতো ভাই মেহেদী হাসান উজ্জ্বল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেও খেলেছেন। 

ক্রীড়া-পাগল এক পরিবার থেকে উঠে এলেও সাকিবের খেলোয়াড় হতে চাওয়া সহজ ছিল না। নতুন সহস্রাব্দের শুরুতেও খেলাধুলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারার কথা মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে ভাবতে পারতেন না। সেখান থেকে একে একে সাফল্যের সিঁড়ি ভেঙে সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি তারকার একজন হয়ে উঠেছেন। আইপিএলের মতো টি-টোয়েন্টি লিগের সেরা তারকাদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১১ সালে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে সাকিবকে কিনে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

২০১৮ আইপিএলের নিলামে সাকিবকে ২ কোটি রুপিতে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএল ছাড়াও সাকিব অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, পাকিস্তানের পিএসএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল, শ্রীলঙ্কার এসএলপিএল লিগগুলোতে খেলেছেন। এর মধ্যে সিপিএলে তাঁর ৬ রানে ৬ উইকেট টি-টোয়েন্টির সেরা বোলিংগুলোর একটি হয়ে আছে। সাকিব ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটেও খেলেছেন। এভাবেই বাংলাদেশের এ সময়ের সেরা আইকনদের একজন সাকিব বিশ্ব ক্রিকেটেও বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন।

২০০৯ সালে সাকিব প্রথম ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। সাকিবের নেতৃত্বে সেবার বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে আসে। ২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও সাকিব নেতৃত্ব দেন। পরে নানা বিতর্কের মুখে সাকিব নেতৃত্ব হারান। সাকিব তাঁর ক্যারিয়ারে বিতর্কেও জড়িয়েছেন নানা সময়ে। বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধও হয়েছেন।

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর সাকিব উম্মে আহমেদ শিশিরকে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সাকিবের সঙ্গে শিশিরের পরিচয় হয়। ২০১৫ সালে সাকিব ও শিশিরের মেয়ে আলায়না হাসান অব্রি জন্ম নেয়। শিক্ষাগত জীবনে সাকিব এআইইউবি (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ) থেকে বিবিএ পাস করেছেন। সাকিব ফুটবলেরও ভীষণ পাগল। বার্সেলোনা ও লিওনেল মেসির সমর্থক। সাকিব ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্বীকৃতি প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে চারবার বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন। 

ব্যক্তিগত জীবন

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঢাকার হোটেল রূপসী বাংলা'য় তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। যেখানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিভিন্ন খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি দুইটি কন্যা সন্তান এবং একটি পুত্র সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ের নাম আলাইনা হাসান অব্রি এবং ছোট মেয়ের নাম ইররাম। ছেলের নাম ইজাহ আল হাসান।

২০২১ সালের ১৬ মার্চ (বাংলাদেশ সময়) তৃতীয় সন্তানের বাবা হন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন।

ক্যারিয়ার

সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম এবং তিনি সেঞ্চুরি, অর্ধশতক, ডাবল সেঞ্চুরি, পাঁচটি উইকেট এবং দশটি উইকেট খেলার বিভিন্ন ফরম্যাটে সজ্জিত ক্যারিয়ার রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালের ১ মে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন যা ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। ম্যাচে তিনি মাত্র ২৭ রান করেছিলেন। যাইহোক, ২০০৭ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৫৬ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এবং প্রতি ইনিংসে ৩৯.৪০ গড়ে ৩৮৬২ রান করেছেন। এছাড়াও, তিনি ২১৭ রানের সর্বোচ্চ স্কোর সহ ৫ সেঞ্চুরি এবং২৪ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়াও তিনি ৫/১৮ উইকেট এবং ১০ -উইকেট নিয়ে ২১০ উইকেট নিয়েছেন। তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ইনিংসে ৭/৩৬ এবং ম্যাচে ১০/১২৪।

সাকিব আল হাসানের ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ২০০৯ সালের আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে। সাকিব একটি উইকেট নেন এবং রান করেন। এখন পর্যন্ত, তিনি ২১৪ ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৩৪ এর সর্বোচ্চ স্কোর সহ ৬৩২৩ রান করেছেন। তার নামে ৯ সেঞ্চুরি এবং ৪৭ হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে এবং তার ব্যাটিং গড় প্রতি ইনিংসে ৩৭.৩৬।

সাকিবের ২০০ ম্যাচে উইকেট রয়েছে যার সেরা বোলিং ফিগার ৫/২। সাকিবের হয়ে টি -টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০১০ সালে ২নভেম্বর খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেখানে তিনি ২ রান করেন এবং একটি উইকেট নেন এবং বাংলাদেশ 43 রানে জয়ী হয়। 76 টি টি -টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি খেলেছেন ১৫৬৭ রান এবং ৯২ উইকেট।

অর্জন

২০০৪ জাতীয় ঘরোয়া লীগে খুলনার হয়ে খেলা শুরু করেন।

২০০৫ খুলনার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ার শুরু করেন ।

২০০৬ অনূর্ধ্ব -১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ।

২০০৬ তার আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে

২০১০ বাংলাদেশ ভাইস ক্যাপ্টেন নিযুক্ত।

২০০৯ উইজডেন টেস্ট প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কৃত।

২০১১ বাংলাদেশ অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়।।

২০১৭ টি টি -টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসাবে নিযুক্ত।

২০১৯ সমস্ত ফরম্যাটে ১ নং অলরাউন্ডার হয়ে ওঠে।

পুরস্কার

সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালে উইজডেন ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড টেস্ট প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার হিসেবে ঘোষিত হন। তার ১৩ প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ অ্যাওয়ার্ড রয়েছে যা একজন বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের জন্য সর্বোচ্চ। এছাড়াও, তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২১ টি প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ অ্যাওয়ার্ড রয়েছে এবং টি -টোয়েন্টিতে ৫ টি তার নামে রয়েছে।

মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী এর জীবনী - Biography of Mufti Anwar Hossain Chishti
আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
আসাদ বিন হাফিজ
চপল বিশ্বাস
আলতাফুর রহমান-Biography Of Altafur Rahman
সৈয়দ শামসুল হক এর জীবনী-Biography Of Syed Shamsul Haque
মিজানুর রহমান আজহারী-Biography Of Mizanur Rahman Azhari
তাসনুভা আনান শিশির এর জীবনী - Biography of Tasnuva Annan Shisir
আদনান ফারুক হিল্লোল এর বয়স, শিক্ষা ও জীবনী - Age, education and biography of Adnan Farooq Hillol