পূর্ণিমা এর জীবনী-Biography of Purnima
আসল নাম: দিলারা হানিফ রীতা
ডাক নাম: রীতা
মঞ্চ নাম: পূর্ণিমা
বাবার নাম: মোঃ হানিফ
মায়ের নাম: সুফিয়া বেগম
আত্মীয়: বোন দিলরুবা হানী
জন্ম: ১১ জুলাই ১৯৮১
ধর্ম: ইসলাম
জন্মস্থান: চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
বর্তমান বয়স: ৪৩ বছর
জাতীয়তা: বাংলাদেশী
নাগরিকত্ব: বাংলাদেশী
পেশা: বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও টিভি অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপক
কর্মজীবন: ১৯৯৭ – বর্তমান
উচ্চতা: 5 ’4” ইঞ্চি
চুলের রঙ: কালো
চোখের রঙ: কালো
দাম্পত্য সঙ্গী: আহমেদ ফাহাদ জামাল
সন্তান: আরশিয়া উমাইজা (মেয়ে)
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১ বার)
ফেসবুক: https://www.facebook.com/ActorPurnima?_rdc=1&_rdr
ইনস্টাগ্রাম: https://www.instagram.com/therealpurnima/
পরিচিতি
বাংলাদেশের সুন্দরী অভিনেত্রী পূর্ণিমা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১১ জুলাই, ১৯৮১,সালে ঢাকায়, তার পিতার নাম মোহাম্মদ হানিফ এবং মার নাম সুফিয়া বেগম। পূর্ণিমার জন্মস্থান ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম, প্রথম জীবনে তাকে রিতা নামে ডাকে হত। শৈশবকাল থেকেই তিনি মিডিয়া জগতের প্রতি অনেক আগ্রহী ছিলেন, এবং অবশেষে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি কেরিয়ার গড়ে তোলেন।
পূর্ণিমা ক্যারিয়ার
পূর্ণিমা বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী যিনি ১৯৯৯ সালে ক্লাস এইটে পড়ার সময় (তোমার আমার“) ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন। সালমান শাহ ও শাবনুরের পরে ডালিউডের ইতিহাসে পূর্ণিমা এবং রিয়াজের জুটি সবচেয়ে সফল জুটি। তিনি রিয়াজের সাথে “(মনের মাজে তুমি)” ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেটা সবচেয়ে বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র। তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিচালক চাসী নজরুল ইসলামের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প শুভাশিনী অবলম্বনে নির্মিত গল্পে শুভা ছবিতে তার দুর্দান্ত অভিনয়ও দেখিয়েছিলেন। এই ছবিতে, তিনি এমন একটি মেয়ে হিসাবে অভিনয় করেছিলেন যে কথা বলতে পারে না।
ব্যক্তিগত জীবন
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বরে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। তার স্বামীর নাম আহমেদ জামাল ফাহাদ। বিয়ের ৭ বছর পর ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যা সন্তানের মা হন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। মেয়ের নাম আরশিয়া উমাইজা।
কর্মজীবন
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত রোম্যান্সধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত রোম্যান্সধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - মনের মাঝে তুমি (২০০৩)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - হৃদয়ের কথা (২০০৬)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (সমালোচক পুরস্কার) - ধোকা (২০০৭)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - শিকারী (২০০১)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ (২০০২)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (সমালোচক পুরস্কার) - মেঘের পরে মেঘ (২০০৪)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - টাকা (২০০৫)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (সমালোচক পুরস্কার) - শাস্তি (২০০৫)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - মনের সাথে যুদ্ধ (২০০৭)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (সমালোচক পুরস্কার) - আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০)
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (তারকা জরিপ) - মায়ের জন্য পাগল (২০১১)
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড চ্যানেল আই পুরস্কার
মনোনীত: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী - ২০১১