মিশা সওদাগর এর জীবনী-Biography of Misha Saudagar
আসল নাম: শহীদ হাসান মিশা
ডাক নাম: মিশা সওদাগর
বাবার নাম: ওসমান গনি
মায়ের নাম:বিলকিস রাশিদা
জন্ম: ৪ জানুয়ারি ১৯৬৬
ধর্ম: ইসলাম
জন্মস্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ
বর্তমান বয়স: ৫৬ বছর
জাতীয়তা: বাংলাদেশী
নাগরিকত্ব: বাংলাদেশী
পেশা: চিত্রনায়ক, খলনায়ক
কর্মজীবন: ১৯৮৮–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী: মিতা
সন্তান: হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ,ওয়াইজ করণী
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার)
ফেসবুক: https://m.facebook.com/
ইনস্টাগ্রাম: https://www.instagram.com
মিশা সওদাগর, ঢালিউডের একজন শক্তিশালী অভিনেতা। এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতায় নায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর কয়েকটা ছবিতে নায়ক হিসেবে কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে খলনায়ক হিসেবে কাজ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যান। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন গুণী এই অভিনেতা।
পরিচিতি
শহীদ হাসান মিশা হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। মিশা সওদাগর আট শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে সাধারণত তিনি খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করে থাকেন। মিশা সওদাগর ১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি পুরান ঢাকার সাতরোজায় আবুল হাসান রোডে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শাহীদ হাসান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ওসমান গনি ও মায়ের নাম বিলকিস রাশিদা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মিশা চতুর্থতম। তার দাদার নাম জুম্মন সওদাগর। ১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মিশা জুবাইদা রব্বানি মিতাকে বিয়ে করেন। মিশার স্ত্রীর নাম মিতা, এই দম্পতির দুই ছেলে সন্তান রয়েছে, বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ ও ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী।
স্ত্রীর মিতা নামের ‘মি’ এবং নিজের নামের ‘শা’ একসঙ্গে করে নিজের নাম রাখেন মিশা। দাদার নামের থেকে সওদাগর উপাধি নিয়ে নিজের পুরো নামকরণ করেন মিশা সওদাগর।
কর্মজীবন
মিশা ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত চেতনা ও অমরসঙ্গী চলচ্চিত্র দুটিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন তিনি, কিন্তু দুটি চলচ্চিত্রেই সাফল্যের দেখা পাননি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিচালক তাকে খলচরিত্রে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। তমিজ উদ্দিন রিজভী পরিচালিত আশা ভালবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। যাচ্ছে ভালবাসা (১৯৯৪) তার খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করা মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র।
২০১১ সালের ২০শে মে অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালে তাকে ফাগুন অডিও ভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠান পাঁচফোড়ন-এর সঞ্চালক হিসেবে দেখা যায়। পূর্বে তিনি ফাগুন অডিও ভিশনের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া একই বছর তিনি মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে নাটকে অভিনয় করেন। নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে মিশা বলেন, "আমার কাছে প্রচুর নাটকের প্রস্তাব আসে। কিন্তু আমি নাটকে কাজ করি না। এই নাটকে অভিনয় করতে রাজি হয়েছি মাহফুজ আহমেদের অনুরোধের কারণেই।" প্রসঙ্গত, মিশা অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক হল একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত জুয়েল মাহমুদের ললিতা।
মিশা ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মত সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।