সাকিব খানের জীবনী-Shakib Khan
শাকিব খান হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক, চলচ্চিত্র সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি গণমাধ্যমে "কিং খান" ও "ঢালিউড কিং" হিসাবে সম্বোধিত হন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
নাম: মাসুদ রানা
জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯ (বয়স ৪২)
অন্যান্য নাম: এসকে, কিং খান, ঢালিউড কিং,
পেশা: অভিনেতা,প্রযোজক, গায়কচলচ্চিত্র, সংগঠক,গণমাধ্যম,ব্যক্তিত্ব
প্রতিষ্ঠান: এসকে ফিল্মস
দাম্পত্য সঙ্গী: অপু বিশ্বাস (বি. ২০০৮; বিচ্ছেদ. ২০১৭), শবনম বুবলি (বি. ২০১৮)
সন্তান: আব্রাম খান জয়,শেহজাদ খান বীর
পিতা-মাতা: আব্দুর রব,নূরজাহান
জন্ম
শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদীতে মাসুদ রানা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। খানের আদি নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। তার বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং মাতা নূরজাহান একজন গৃহিণী। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব কৈশোর থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
কর্মজীবন
শাকিব খান ১৯৯৯ সালে অনন্ত ভালোবাসা চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই চলচিত্রের কাঠগড়ায় তিনি পা রাখেন। শাকিব খান হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক, চলচ্চিত্র সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি গণমাধ্যমে "সুপারস্টার", "কিং খান" ও "ঢালিউড কিং" হিসাবে সম্বোধিত হন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।
শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, ২০১২ সালের খোদার পরে মা, ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় এবং ২০১৭ সালের সত্তা চলচ্চিত্রের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী সুভা (২০০৬), প্রণয়ধর্মী আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), প্রিয়া আমার প্রিয়া (২০০৮), ও বলবো কথা বাসর ঘরে (২০০৯), প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক আদরের জামাই (২০১১), মারপিট-প্রণয়ধর্মী ডন নাম্বার ওয়ান (২০১২), প্রণয়ধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), মারপিট-থ্রিলারধর্মীশিকারি (২০১৬), নবাব (২০১৭), নাট্যধর্মী রাজনীতি (২০১৭), সত্তা (২০১৭) ও প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক চালবাজ (২০১৮), ভাইজান এলো রে(২০১৮), নাকাব(২০১৮)। ২০১১ সালে মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবারে মতো তিনি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে গানে কন্ঠ দেন। ২০১৪ সালে তিনি হিরো: দ্যা সুপার স্টার চলচ্চিত্র দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং পরবর্তীকালে পাসওয়ার্ড (২০১৯), বীর (২০২০)।
ব্যক্তিগত জীবন
শাকিব খান ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তার গুলশানের বাড়িতে তার সর্বাধিক চলচ্চিত্রের সহশিল্পী অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে গোপন রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিয়ের করার কথা অপু বিশ্বাস জানান। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় আব্রাম খান জয়। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব খান তালাকের জন্য আবেদন করেন এবং ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির তালাক সম্পন্ন হয়।
চিত্রনায়ক শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করছেন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ইবি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। ২০২০ সালে একটি দক্ষ এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার নাগরিকত্ব লাভের বিষয়টি দেখাশোনা করছে আমেরিকাপ্রবাসী এক নেপালি উকিল।
গণমাধ্যমে
খান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী অভিনেতাদের অন্যতম। তাকে প্রায়শই সুপারস্টার, কিং খান ও ঢালিউড কিং হিসাবে সম্বোধন করা হয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের এনার্জি ড্রিংক ‘পাওয়ার’ এর শুভেচ্ছাদূত হন শাকিব খান। খানের জন্য কোনো শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এটাই প্রথম আত্মপ্রকাশ। এরপর একই বছর তিনি এশিয়ান টাউন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আবাসন প্রকল্প এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনের শুভেচ্ছাদূত হন। যেখানে তিনি একবছরের জন্য বিজ্ঞাপনচিত্রসহ এর বিভিন্ন প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।
২০১৯ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ক্রোড়পত্র কলকাতা টাইমস এর ‘কলকাতা টাইমস মোস্ট ডিজায়ারেবল ম্যান’ জরিপে সেরা ২০জন তারকার তালিকায় প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশী হিসাবে স্থান করে নেন তিনি।
২০১৮ সালে ভারতে শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর ব্যবসা, দর্শকদের চাহিদা ও সহশিল্পী সবকিছু বিবেচনা করে কলকাতা টাইমস সেরা ২০ তারকার মধ্যে ১৮-তে স্থান দেয় খানকে।
চলচ্চিত্র সংগঠক
শাকিব খান ২০১১ সালের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে জয়লাভ করে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞাপন
খান প্রথম বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন এশিয়ান ডুপ্লেক্স সিটি নামের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। এরপর ২০১৩ সালে এনার্জি ড্রিংকস "পাওয়ার"-এর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন তিনি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের "বেশি বেশি খুশি খুশি" শিরোনামের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন, যেখানে প্রথমবারের মতো একসাথে দেখা যায় শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়াকে।
২০১৯ সালে খান আরও একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেন। আদনান আল রাজীব পরিচালিত এসএমসি ওরস্যালাইন এন-এর এই বিজ্ঞাপনচিত্রটিতে তাকে হারকিউলিস রূপে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আদনানের সঙ্গে আগেও একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। সেই কাজটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে মানুষের কাছে। তার চিন্তা ভাবনা বেশ চমৎকার। একেবারে অন্যরকমভাবে আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। বাকিটা টেলিভিশন পর্দায় দেখবেন দর্শকরা।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#মনজিল
শাকিব খান এখন কুতাই আছে