Biography Of Ranu Mondal
রানু মন্ডল এর জীবনী
সোশ্যাল মিডিয়া রাতারাতি জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল রানাঘাটের বাসিন্দা রানু মন্ডলকে। রেল স্টেশনে বাস করা রানু মন্ডলের কণ্ঠে লতা মঙ্গেশকরের একটি গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ২০১৯ সালে। ওই গান দিয়ে দেশব্যাপী পরিচিতি পান রানু মন্ডল।
এরপর গানের নানা অনুষ্ঠানে ডাক পেতে থাকেন রানু। একপর্যায়ে ভারতের জনপ্রিয় সুরকার ও শিল্পী হিমেশ রেশামিয়া তার একটি ছবিতে রানুকে গাওয়ার সুযোগ দেন। হিমেশ-রানুর গাওয়া ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানটি পায় জনপ্রিয়তা।
এরপর রাতারাতি বদলে যায় রানাঘাট স্টেশনে ভিক্ষা করে দিন কাটানো রানুর জীবন। দু-একটি অ্যাওয়ার্ড ফাংশনেও দেখা যায় তাকে। তবে ভক্তদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করায় সমালোচনার মুখে পড়েন রানু। এছাড়া কড়া মেকআপের জন্য নেটিজেনদের হাসির খোরাকও হতে হয়েছে তাকে।
তবে সেই রানু বর্তমানে লাইমলাইটের বাইরে। মুম্বাইয়ের রঙিন আলো থেকে ফিরে এসেছেন রানাঘাটের সেই স্যাঁতস্যাঁতে বাড়িতে। হাতে নেই নতুন কোন কাজ, গানের জন্য আর ডাক পাননা তিনি।
নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, অহংকারই কাল হল রানুর। সব পেয়েও তাই আজ সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেলেন রাণাঘাটের লতাকন্ঠী এই শিল্পী।
রানু মন্ডলের সময় ভালো না গেলেও ভক্তদের জন্য আশার কথা হলো তার জীবনী নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘মিস রানু মারিয়া’নামের ছবি। হৃষিকেশ মন্ডলের পরিচালনায় এতে রানু মন্ডলের চরিত্রে অভিনয় করবেন ঈশিকা দে। এ ই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে হিমেশ রেশামিয়াকে।
রানু মন্ডল এর বর্তমান অবস্থা
রেল স্টেশন থেকে এক নতুন দুনিয়ায় স্বপ্ন জগতে পা রাখার যাত্রাপথের কাহিনী দেখেছিলাম আমরা। এক পেয়ার কা নাগমা হে এই গানটিকে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিলেন রানু মন্ডল। পরিবার-পরিজন পরিত্যক্ত রানাঘাট স্টেশনে পড়ে থাকা রানু মন্ডল এর গুন দেখে তাকে নিয়ে নেন হিমেশ রেশমিয়া। তারপর হিমেশের পরিচালনায় রানুর গলায় রেকর্ড করা নতুন গান যা সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রানু মন্ডলের মত সহায় সম্বলহীন মানুষকে তার প্রতিভার জন্য পরিচিতি পেতে দেখে আনন্দিত হয়েছিলেন নেটিজেনরাও।
কিন্তু কথায় আছে অহঙ্কার পতনের মূল-খ্যাতি পেতে না পেতেই তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা যেতে থাকে। যে অতীন্দ্র চক্রবর্তী তাকে প্রথম দিশা দেখিয়েছিল পরবর্তীতে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। দিনে দিনে তার কথায় প্রকাশ পেতে থাকে আত্ম অহঙ্কার। তাই তার যতটা দ্রুতগতিতে উত্থান হয়েছিল পতন টাও ঠিক ততটাই দ্রুত। হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে যেতে থাকলেন তিনি। এসবের জন্যই মানুষ তাকে অপছন্দ করতে থাকেন।
বর্তমানে দেখা গেছে অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন আবার ভিক্ষা করেই দিন চলছে তার। মেয়েও তার খোঁজ-খবর নেয় না।