গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্যারোলে মুক্ত
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী আট ঘণ্টা তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে বলে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুব আলম জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গিয়াস আল মামুনকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। প্যারোলের শর্ত হিসেবে তিনি নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না, সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারায় থাকবেন এবং সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথে কারাগারে এসে পৌঁছাবেন।”
বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এক মামলায় আদালতের রায়ে সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে মামুনের। ওই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে জজ আদালত খালাস দিলেও আপিলের রায়ে হাই কোর্ট তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয়।
চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।
বুধবার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনের মা মোসাম্মত হালিমা খাতুন মারা যান বলে তার ভাই বিএনপির সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম জানিয়েছেন।
মায়ের মৃত্যুতে মামুনের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আরেক ভাই জালাল উদ্দিন রুমী।
আবেদনে বলা হয়, তাদের মায়ের বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বাধ্যর্কজনিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে তিনি ঢাকার ইউনাটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রুমি জানান, মামুন সকালে মুক্তি পেয়ে তাদের সোবহানবাগের বাসায় আসবেন এবং জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের দাফনে থাকবেন।