কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী-Biography Of Kazi Nazrul Islam
Kazi Nazrul Islam

কাজী নজরুল ইসলাম- Kazi Nazrul Islam

ডাক নাম:  দুখু মিয়া

বাবার নাম: কাজী ফকির আহমদ

মায়ের নাম: জাহেদা খাতুন

জন্ম: ২৪ মে, ১৮৯৯

ধর্ম: ইসলাম

জন্মস্থান: চুরুলিয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)

বয়স: ৭৭

জাতীয়তা: ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৯-১৯৪৭),ভারতীয় (১৯৪৭-১৯৭৬),বাংলাদেশী (১৯৭৬)

নাগরিকত্ব: ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৯–১৯৪৭),ভারতীয় (১৯৪৭–১৯৭৬),বাংলাদেশী (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬–২৯ অগাস্ট ১৯৭৬)

পেশা: কবি,ঔপন্যাসিক,গীতিকার,সুরকার,নাট্যকার,সম্পাদক

কর্মজীবন: ১৯১৭–১৯২০

দাম্পত্য সঙ্গী: আশালতা সেনগুপ্ত (প্রমিলা),নার্গিস আসার খানম

সন্তান: কৃষ্ণ মুহাম্মদ,অরিন্দম খালেদ (বুলবুল),কাজী সব্যসাচী,কাজী অনিরুদ্ধ

পুরস্কার: জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৪৫), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭), একুশে পদক (১৯৭৬), পদ্মভূষণ

মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ ঢাকা, বাংলাদেশ

ওয়েবসাইট: nazrul-rachanabali.nltr.org

১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, সুরকার ও প্রবন্ধকার। নজরুলের বাল্যকাল কেটেছে দুঃখ-দুর্দশায়। তাই তাঁর ডাকনাম ছিলো দুখু মিয়া। তাঁর বৈচিত্র্যময় শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রামের মক্তবে। পিতৃহীন হওয়ার পর তিনি পড়ালেখা ছেড়ে যোগ দেন লেটোর দলে, যেখান থেকে তিনি কবিতা ও গান রচনার কৌশল রপ্ত করেন। পরবর্তীতে এক বছর ময়মনসিংহের দরিরামপুর হাই স্কুলে পড়ে পুনরায় চুরুলিয়ায় রানীগঞ্জের শিয়ারসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন, এবং সেখানে তিন বছর অধ্যয়ন করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষার আগেই তাকে পড়ালেখা ছাড়তে হয় যুদ্ধে যোগদানের জন্য। যুদ্ধের দিনগুলোতে নানা জায়গায় অবস্থান করলেও তার করাচির সৈনিকজীবনই উল্লেখযোগ্য, কেননা সেসময়েই তার প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ নামক গল্প প্রকাশের মাধ্যমে। কাজী নজরুল ইসলাম এর বই সমূহ’র বিষয়বস্তু বিবিধ। তবে কাজী নজরুল ইসলাম এর বই-এ সমকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক যন্ত্রণা এবং সাম্যবাদের ধারণা প্রকটভাবে স্থান করে নিয়েছে। রাবীন্দ্রিক যুগে তার সাহিত্য প্রতিভা উন্মোচিত হলেও তার সৃষ্টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাজী নজরুল ইসলাম এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রিক্তের বেদন’, ‘দোলনচাঁপা’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সাম্যবাদী’, ‘সর্বহারা’, ‘প্রলয়শিখা’ ইত্যাদি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নজরুল ‘সাপ্তাহিক লাঙল’, দ্বিসাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’র সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

প্রাথমিক জীবন

১৮৯৯ সাল ২৪ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই বিখ্যাত কবি। তার পিতার ছিলেন কাজী ফকির আহমদ এবং মা ছিলেন জাহেদা খাতুন।

তার পিতা ছিলেন সেখানকার মসজিদ ইমাম এবং মা ছিলেন গৃহবধূ। তাঁর পিতার অকাল মৃত্যুর পরে, তাঁর প্রথম জীবনে তিনি যে কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিল তার কারণে গ্রামবাসীরা তাঁকে ‘দুখু মিয়া’ ডাকনাম দিয়েছিলেন। তিনি যখন দশ বছর বয়সে ছিলেন, তখন তিনি তার পরিবারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে স্কুলে শিক্ষকদের সহায়তা করার জন্য তাঁর বাবার জায়গায় কাজ শুরু করেছিলেন।

শিক্ষা জীবন

১৯১০ সালে তিনি  রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল এবং পরে  মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন। কিন্তু শীঘ্রই তিনি আর্থিক সঙ্কটের কারণে পড়াশোনা ত্যাগ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনো করার পর তিনি আবার কাজে যোগ দেন এবং রান্নার কাজ শুরু করেন। পরে আসানসোলের বেকারি ও চায়ের দোকানে চাকরি নেন তিনি।

চায়ের দোকানে কাজ করার সময় তার পরিচয় হয় আসানসোলের দারোগা রফিজউল্লাহ’র সাথে। দোকানে কাজ করার পাশাপাশি নজরুল কবিতা এবং ছড়া রচনা করতেন তা দেখে রফিজউল্লাহ মুগ্ধ হন। এবং  ১৯১৪ সালে তিনি কবি নজরুল ইসলামকে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। পরবর্তীকালে ১৯১৫ সাল থেকে নজরুল আবার রানীগঞ্জে সিয়ারসোল রাজ স্কুলে চলে যান এবং সেখানে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেখানে  দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তিনি বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি সাহিত্য এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত অধ্যয়ন করেন।

কর্মজীবন

১৯১৭ সালে তিনি সেনা হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং তিন বছর ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার মাস্টার  পদে উন্নীত হন। ১৯১৯ সালে সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তার “বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী” সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও সেইসময় তিনি আরও গল্প লিখেছিলেন হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে”।

১৯২০ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনী কর্ম ত্যাগ করেন এবং কলকাতায় ফিরে কলেজ স্ট্রীটে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির যোগদান করেন। যেখানে তিনি তার প্রথম কবিতা লেখেন ‘বাঁধন-হারা’। ১৯২২ সালে৩ তিনি বিদ্রোহী শিরোনাম কবিতা লিখেছিলেন যা “বিজলি” ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতাটি এক বিদ্রোহী সংবেদনশীলতার বর্ণনা দিয়েছে এবং  সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিল।

১৯২১ সালে অক্টোবর মাসে বোলপুরের শান্তিনিকেতনে কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখা হয় এবং তখন থেকে প্রায় কুড়ি বছর এই দুই কবির মধ্যে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকে। তারা দুজনে একে অপরকে গভীর শ্রদ্ধা করতেন এবং ভালোবাসতেন।

১৯২২ সালে তার রাজনৈতিক কবিতা “আনন্দময়ীর আগমনে” ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর ফলে ম্যাগাজিনের অফিসে পুলিশি অভিযানের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কারাবন্দী থাকাকালীন প্রচুর সংখ্যক কবিতা ও গান রচনা করেছিলেন।

অবশেষে, তিনি “খিলাফত” আন্দোলন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমালোচক হয়েছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা না নেওয়ার জন্য।  তিনি জনগণকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং  ‘শ্রমিক প্রজা স্বরাজ দল’ সংগঠিত করেছিলেন।

১৯২৬ সাল থেকে তিনি সমাজের দুর্বল অংশের জন্য কবিতা এবং গান রচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে তার রচনাগুলি বিদ্রোহ থেকে ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছিল। ১৯৩৩ সালে তিনি ‘আধুনিক বিশ্ব সাহিত্য’ শীর্ষক রচনা সংকলন প্রকাশ করেছিলেন, যার বিভিন্ন থিম এবং শৈলী ছিল। তিনি ১০ খণ্ডে শাস্ত্রীয় রাগ, কীর্তন এবং দেশাত্মবোধক গানের উপর ভিত্তি করে ৮০০ টি গান লিখেছিলেন।

১৯৩৪ সালে তিনি ভারতীয় থিয়েটার এবং ফিল্মে যোগদান করেন। গিরিশচন্দ্রের গল্প জীবনীর উপরে “ভক্ত ধ্রুব” নামে একটি ছবি প্রকাশ করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি কলকাতা বেতারের জন্য কাজ শুরু করেন এবং ‘হারমনি’ এবং ‘নবরাগ-মালিকা’ এর মতো সংগীত প্রযোজনা করেন। ১৯৪০ সালে, তিনি এ.কে. প্রতিষ্ঠিত ‘নবযুগ’-এর প্রধান সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করেন।

তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি ছিল তাঁর বোধন, শাত-ইল-আরব,খেয়া-পারের তরণী এবং বাদল প্রাতের শরাব প্রভৃতি বিদ্রোহী কবিতাগুলি যা সর্বত্র সমালোচিত প্রশংসা পেয়েছিল।

১৯২৬ সালে তিনি দারিদ্র্য শিরোনাম একটি বিখ্যাত কবিতা লিখেছিলেন যা জনসাধারণের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিল। ১৯২৮ সালে তিনি ‘মাস্টার ভয়েস গ্রামোফোন সংস্থা’ এর গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক হয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অন্যতম বৃহত্তম কাজ ছিল ‘সিরাজ-উদ-দৌলা’ নামে একটি বায়োপিক নাটকের জন্য গান রচনা এবং পরিচালনা করা।

পারিবারিক জীবন

১৯২১ সালের এপ্রিল-জুন মাসের দিকে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের সাথে পরিচিত হন। তার সাথেই তিনি প্রথম কুমিল্লার বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে আসেন। আর এখানেই পরিচিত হন প্রমীলা দেবীর সাথে যার সাথে তার প্রথমে প্রণয় ও পরে বিয়ে হয়েছিল।

তবে এর আগে নজরুলের বিয়ে ঠিক হয় আলী আকবর খানের ভগ্নী নার্গিস আসার খানমের সাথে। বিয়ের আখত সম্পন্ন হবার পরে কাবিনের নজরুলের ঘর জামাই থাকার শর্ত নিয়ে বিরোধ বাধে। নজরুল ঘর জামাই থাকতে অস্বীকার করেন এবং বাসর সম্পন্ন হবার আগেই নার্গিসকে রেখে কুমিল্লা শহরে বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চলে যান। তখন নজরুল খুব অসুস্থ ছিলেন এবং প্রমিলা দেবী নজরুলের পরিচর্যা করেন। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

নজরুল সাম্যবাদের একজন অগ্রদূত ছিলেন। তিনি মুসলিম হয়েও চার সন্তানের নাম বাংলা এবং আরবি/ফারসি উভয় ভাষাতেই নামকরণ করেন। যেমন: কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ।

সৈনিক জীবন

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশের নওশেরায় যান। প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে সৈনিক জীবন কাটাতে শুরু করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষভাগ থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক কর্পোরাল থেকে কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পর্যন্ত হয়েছিলেন। উক্ত রেজিমেন্টের পাঞ্জাবী মৌলবির কাছে তিনি ফার্সি ভাষা শিখেন। এছাড়া সহ-সৈনিকদের সাথে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সঙ্গীতের চর্চা অব্যাহত রাখেন, আর গদ্য-পদ্যের চর্চাও চলতে থাকে একই সাথে। করাচি সেনানিবাসে বসে নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা); গল্প: হেনা, ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে, কবিতা সমাধি ইত্যাদি। এই করাচি সেনানিবাসে থাকা সত্ত্বেও তিনি কলকাতার বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকার গ্রাহক ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী, ভারতবর্ষ, ভারতী, মানসী, মর্ম্মবাণী, সবুজপত্র, সওগাত এবং বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা। এই সময় তার কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং ফার্সি কবি হাফিজের কিছু বই ছিল। এ সূত্রে বলা যায় নজরুলের সাহিত্য চর্চার হাতেখড়ি এই করাচি সেনানিবাসেই। সৈনিক থাকা অবস্থায় তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। এ সময় নজরুলের বাহিনীর ইরাক যাবার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যাওয়ায় আর যাননি। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধ শেষ হলে ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙে দেয়া হয়।[৬] এরপর তিনি সৈনিক জীবন ত্যাগ করে কলকাতায় ফিরে আসেন।

সাহিত্যকর্ম

কাজী নজরুল ইসলামের রচিত সাহিত্য কর্মের একটি তালিকা দেয়া হলো—

কবিতা

অগ্নিবীণা (কবিতা) ১৯২২

সঞ্চিতা (কবিতা সংকলন) ১৯২৫

ফনীমনসা (কবিতা) ১৯২৭

চক্রবাক (কবিতা) ১৯২৯

সাতভাই চম্পা (কবিতা) ১৯৩৩

নির্ঝর (কবিতা) ১৯৩৯

নতুন চাঁদ (কবিতা) ১৯৩৯

মরুভাস্কর (কবিতা) ১৯৫১

সঞ্চয়ন (কবিতা সংকলন) ১৯৫৫

নজরুল ইসলাম: ইসলামী কবিতা (কবিতা সংকলন) ১৯৮২

কবিতা ও সংগীত

দোলন-চাঁপা (কবিতা এবং গান) ১৯২৩

বিষের বাঁশি (কবিতা এবং গান) ১৯২৪

ভাঙ্গার গান (কবিতা এবং গান) ১৯২৪

ছায়ানট (কবিতা এবং গান) ১৯২৫

চিত্তনামা (কবিতা এবং গান) ১৯২৫

সাম্যবাদী (কবিতা এবং গান) ১৯২৫

পুবের হাওয়া (কবিতা এবং গান) ১৯২৬

সর্বহারা (কবিতা এবং গান) ১৯২৬

সিন্ধু হিন্দোল (কবিতা এবং গান) ১৯২৭

জিঞ্জীর (কবিতা এবং গান) ১৯২৮

প্রলয় শিখা (কবিতা এবং গান) ১৯৩০

শেষ সওগাত (কবিতা এবং গান) ১৯৫৮

সংগীত

বুলবুল (গান) ১৯২৮

সন্ধ্যা (গান) ১৯২৯

চোখের চাতক (গান) ১৯২৯

নজরুল গীতিকা (গান সংগ্রহ) ১৯৩০

নজরুল স্বরলিপি (স্বরলিপি) ১৯৩১

চন্দ্রবিন্দু (গান) ১৯৩১

সুরসাকী (গান) ১৯৩২

বনগীতি (গান) ১৯৩১

জুলফিকার (গান) ১৯৩১

গুল বাগিচা (গান) ১৯৩৩

গীতি শতদল (গান) ১৯৩৪

সুর মুকুর (স্বরলিপি) ১৯৩৪

গানের মালা (গান) ১৯৩৪

স্বরলিপি (স্বরলিপি) ১৯৪৯

বুলবুল দ্বিতীয় ভাগ (গান) ১৯৫২

রাঙ্গা জবা (শ্যামা সংগীত) ১৯৬৬

ছোটোগল্প

ব্যাথার দান (ছোট গল্প) ১৯২২

রিক্তের বেদন (ছোট গল্প) ১৯২৫

শিউলি মালা (গল্প) ১৯৩১

উপন্যাস

বাঁধন হারা (উপন্যাস) ১৯২৭

মৃত্যুক্ষুধা (উপন্যাস) ১৯৩০

কুহেলিকা (উপন্যাস) ১৯৩১

নাটক

ঝিলিমিলি (নাটক) ১৯৩০

আলেয়া (গীতিনাট্য) ১৯৩১

পুতুলের বিয়ে (কিশোর নাটক) ১৯৩৩

মধুমালা (গীতিনাট্য) ১৯৬০

ঝড় (কিশোর কাব্য-নাটক) ১৯৬০

পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে (কিশোর কাব্য-নাটক) ১৯৬৪

প্রবন্ধ এবং নিবন্ধ

যুগবানী (প্রবন্ধ) ১৯২৬

ঝিঙ্গে ফুল (প্রবন্ধ) ১৯২৬

দুর্দিনের যাত্রী (প্রবন্ধ) ১৯২৬

রুদ্র মঙ্গল (প্রবন্ধ) ১৯২৭

ধুমকেতু (প্রবন্ধ) ১৯৬১

অনুবাদ এবং বিবিধ

রাজবন্দীর জবানবন্দী (প্রবন্ধ) ১৯২৩

দিওয়ানে হাফিজ (অনুবাদ) ১৯৩০

কাব্যে আমপারা (অনুবাদ) ১৯৩৩

মক্তব সাহিত্য (মক্তবের পাঠ্যবই) ১৯৩৫

রুবাইয়াতে ওমর খৈয়াম (অনুবাদ) ১৯৫৮

নজরুল রচনাবলী (ভলিউম ১-৪,বাংলা একাডেমী) ১৯৯৩

সঙ্গীত গ্রন্থাবলী

বুলবুল (১ম খন্ড-১৯২৮, ২য় খন্ড-১৯৫২)

চোখের চাতক (১৯২৯)

চন্দ্রবিন্দু (১৯৪৬)

নজরুল গীতিকা (১৯৩০)

নজরুল স্বরলিপি (১৯৩১)

সুরসাকী (১৯৩১)

জুলফিকার (১৯৩২)

বনগীতি (১৯৩২)

গুলবাগিচা (১৯৩৩)

গীতিশতদল (১৯৩৪)

সুরলিপি (১৯৩৪)

সুর-মুকুর (১৯৩৪)

গানের মালা (১৯৩৪)

পুরস্কার ও সম্মান

১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে কাজের জন্য জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন।

১৯৬০ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে পুরষ্কার পেয়েছিলেন।

তিনি বাংলাদেশের সরকার কাছ থেকে “জাতীয় কবি” উপাধি এবং ‘একুশ পদক’ পুরস্কার লাভ করেন।

অসুস্থতা ও মৃত্যু

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়েন ও তাঁর  বাকশক্তি লোপ পায়। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তাঁর মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে কবি ও কবিপত্নীকে রাঁচির এক মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় যেখানে কবি চার মাস অতিবাহিত করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের লন্ডনে স্থানান্তরিত  করা হয় সুচিকিৎসার জন্য।  ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে ,ভারত সরকারের অনুমতি অনুসারে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে কবির কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধের মৃত্যু নজরুলের স্বাস্থ্যের আর ও অবনতি ঘটায়। জীবনের শেষ দিনগুলো ঢাকার পিজি হাসপাতালে অতিবাহিত করেন তিনি এবং অবশেষে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে এই বিদ্রোহী কবি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন ।

মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী এর জীবনী - Biography of Maulana Ashraf Ali Harashpuri
মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী এর জীবনী - Biography of Mufti Najibullah Afsari
জীবনানন্দ দাশ
চপল বিশ্বাস
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-Biography Of nirjhor noishobdho
মিশা সওদাগর এর জীবনী-Biography of Misha Saudagar
বাপ্পি চৌধুরী-Biography Of Bappy Chowdhury
সানি লিওনের জীবন কাহিনী, প্রেমিক, স্বামী, পরিবার ও জীবনী - Sunny Leone Life Story, Boyfriend, Husband, Family and Biography
খলিল আল-ওয়াজির এর জীবনী - Biography of Khalil al-Wazir
রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এর জীবনী - Biography of Recep Tayyip Erdogan