হাসনাত শোয়েব
পরিচিতি :
জন্মঃ কবি হাসনাত শোয়েবের জন্ম ০৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮, চট্টগ্রাম।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর। বর্তমান পেশা সাংবাদিকতা ।
হাসনাত শোয়েব এর বই সমূহঃ
১. সূর্যাস্তগামী মাছ
২. সেফালি কি জানে
৩. দ্য রেইনি সিজন
৪. বিষাদের মা কান্তারা
৫. সন্তান প্রসবকালীন গান
৬. ক্ল্যাপস ক্ল্যাপস
৭. ব্রায়ান অ্যাডামস ও মারমেইড বিষ্যুদবার
ইহা কবিতা + বড়গল্প + ছোটগল্প + অনুগল্প + উপন্যাস + প্রবন্ধ এবং আরও যা যা আপনার মনে হইতে পারে, তার সবকিছুই। অথবা কিছুই না। খোদার কসম।- লেখক
শেফালি কি জানে’ অদ্ভুত সুন্দর একটা বই। যেটি আমায় এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দেখি বই শেষ। এটা মাত্র ৬৪ পৃষ্টার বই। তা-ও বইটা আকারে স্বাভাবিক বইয়ের তুলনায় বেশ ছোট। এত ব্যতিক্রমধর্মী বই সচরাচর পাই না
বইটি পড়তে গিয়ে কখনো কখনো মনে হয় একগুচ্ছ অনুগল্প পড়ছি, যে গল্পগুলো কোনো এক বড়গল্পের শাখা। আবার কখনো মনে হয় করুণ সুন্দর কোনো কবিতা পড়ছি, যার ভাষা কী চিত্তাকর্ষক!
অবশেষে এপ্রিলের ১৩ তারিখ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে খুন হয় শেফালি। তার ট্যাটু দেখে ধারণা করা হচ্ছিল সে মূলত হিটলারের সমর্থক। কারণ সেখানে ‘স্বস্তিকা’ আঁকা ছিল। এরপর বিশ্বাসঘাতক হিসেবে তার লাশ পাঠিয়ে দেয়া হলো বার্লিনের জীর্ণ এক মর্গে। ঢাকা থেকে বার্লিনে লাশ নেওয়াটা সহজ ছিল না।অনেক কষ্ট করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শেফালির লাশ বার্লিন পাঠাল। অথচ নেত্রকোণা শহরে কবর খুঁড়ে অপেক্ষা করছিল তার বাবা। এরপর কবর খালি রাখা ভালো না এই অজুহাতে আদরুনকে সেই কবরে শুইয়ে দেওয়া হয়। শেফালির লাশ যখন ট্রায়ালে বিচারের জন্য তোলা হয়, কোথাও তখন বাজছিল, ‘দিল মেরে হে দারদে ডিস্কো’। এই গান শুনতে শুনতে শেফালির বাবা কবরের মধ্যে প্রাণ ত্যাগ করে।বিজাতীয় সংস্কৃতির গান বাজানোর অজুহাতে দোকনদার ইলতুতমিশকে ১শ বেত্রাগাত করা হয়।খালি গায়ে ইলতুতমিশ যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিল, তখন তার পিঠে এগারটি ‘স্বস্তিকা’র চিহ্ন তৈরি হয়..