এম আবদুল আলীম
আব্দুল আলিম চৌধুরী

এম আবদুল আলীম

জন্ম ও শিক্ষাজীবনঃ

চৌধুরী, এ.এফ.এম আবদুল আলীম (১৯২৮-১৯৭১)  চিকিৎসক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। আব্দুল আলিম চৌধুরী ৩ বৈশাখ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ (১৯২৮ সাল)  কিশোরগঞ্জ জেলার খয়েরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে মেট্রিক এবং কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে আইএসসি পাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে এই কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬১ সালে লন্ডন থেকে ডিও ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি দেশে থেকেই বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মেডিকেল এসোসিয়েশন গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং এই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ‘যাত্রিক’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করতেন।

পারিবারিক জীবনঃ

ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী উদয়ন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত উদ্দীপন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাদের দুই কন্যা ফারজানা চৌধুরী নীপা এবং নুজহাত চৌধুরী শম্পা। দুজনই চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।

কর্মজীবনঃ

পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম চৌধুরী ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত লন্ডনের সেন্ট জেমস হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ছিলেন। এরপর দেশে ফিরে ১৯৬৩ সালের শেষের দিকে তিনি মীর্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে যোগ দেন প্রধান চক্ষু চিকিত্‍সক হিসেবে। ঢাকার পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন তিনি ১৯৬৭ সালে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ১৯৬৮ সালে। এরপর কিছুদিন ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগে। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। ছাত্রজীবনে 'খাপছাড়া' ও 'যাত্রিক' নামে দুটি প্রগতিশীল মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ছাত্র থাকাকালেই তিনি 'দৈনিক ইত্তেহাদ' ও 'দৈনিক মিল্লাত' পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের রায়ঃ

৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আলিম চৌধুরী সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২

আলীম চৌধুরী ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে এবং ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাস-ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের চিকিৎসাসহ ত্রাণকাজে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তিনি আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন এবং তাদের জন্য ঔষধ সরবরাহ করতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৪ ডিসেম্বর (১৯৭১) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সহযোগী  আল-বদর বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে বাসা (২৯/১ পুরানা পল্টন, ঢাকা) থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

ডাকটিকিট প্রকাশঃ

বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।

অপরাজিতা অর্পিতা এর জীবনী-Biography Of Aporajeeta Arpita
জহির রায়হান- Biography Of Zahir Raihan
মুফতি কাজী ইব্রাহীম-Biography Of Mufti Kazi Ibrahim
মাহিয়া মাহি এর জীবনী-Biography of Mahiya Mahi
জুনাইদ জমশেদ (রহঃ) এর জীবনী-Biography of Junaid Jamshed
সাফা কবির এর বয়স, শিক্ষা ও জীবনী-biography of Safa Kabir
মোশাররফ করিম এর বয়স, শিক্ষা ও জীবনী-Biography Of Mosharraf Karim
শেখ আবু নাসের এর পরিচয় ও জীবনী - Sheikh Abu Nasser's identity and biography
শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এর পরিচয় ও জীবনী - biography of Sheikh Salahuddin Jewel
ইউসুফ ইসলাম এর জীবনী - Biography of Yusuf Islam Cat Stevens