
Imam Ibn al-Qayyim
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম
নামঃ
তাঁর পূর্ণ নাম হচ্ছে, আবু আব্দুল্লাহ্ শামসুদ্দ্বীন মুহাম্মাদ বিন আবু বকর বিন আইয়্যুব,আদ দিমাশকী। তিনি সংক্ষেপে ‘ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযীয়া’ বলেই মুসলিম উম্মার মাঝে পরিচিতি লাভ করেন।তাঁর পিতা আবু বকরকে কাইয়্যিমুল জাওযীয়া
জন্ম ও শিক্ষাঃ
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম ৬৯১ হিজরী সালের সফর মাসের ৭ তারিখে দামেস্কে জন্ম গ্রহণ করেন। মাদরাসাতুল জাওযীয়ায় তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পান্ডিত্য অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি স্বীয় যামানার অন্যান্য আলেমে দ্বীন থেকেও জ্ঞান অর্জন করেন।
আল্লামা ইবনে তাইমীয়ার পর ইবনুল কাইয়্যিমের মত দ্বিতীয় কোন মুহাক্কিক আলেম পৃথিবীতে আগমন করেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন তাফসীর শাস্ত্রে বিশেষ পান্ডিত্যের অধিকারী, উসূলে দ্বীন তথা আকীদাহর বিষয়ে পর্বত সদৃশ, হাদীস ও ফিকহ্ শাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের অধিকারী এবং নুসূসে শরঈয়া থেকে বিভিন্ন হুকুম-আহকাম বের করার ক্ষেত্রে অদ্বিতীয়।
ডাক্তারী বিজ্ঞানের আলেমগণ বলেন- আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) তাঁর লিখিত কিতাব ‘তিবেব নববী’তে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে সমস্ত বিরল অভিজ্ঞতা ও উপকারী তথ্য পেশ করেছেন এবং চিকিৎসা জগতে যে সমস্ত বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন, তা চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে চিরকাল অমস্নান হয়ে থাকবে। তিনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার হিসাবেও পারদর্শীতা অর্জন করেছিলেন।
কর্মজীবনঃ
জওযীয়া নামক মহল্লার ইমামতি, শিক্ষকতা, ফতোয়া দান, দাওয়াতে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার ঘটানো এবং লেখালেখির মাধ্যমেই তিনি তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। যে সমস্ত মাসআলার কারণে তিনি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন, তার মধ্যে এক সাথে তিন তালাকের মাসআলা, আল্লাহর নাবী ইবরাহীম খলীল (আঃ) এর কবরে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করার মাসআলা এবং শাফা‘আত এবং নাবী-রসূলদের উসীলার মাসআলা অন্যতম।
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) এর বই সমূহঃ
১.যিকরুল্লাহ -মুমিন হৃদয়ের প্রাণ
২.নূরুন আলা নূর
৩.আল ফাওয়াইদ -মুক্তোঝরা কথামালা
৪.আত্মার ওষুধ
মৃত্যুঃ
হিজরী ৭৫১ সালের রজব মাসের ১৩ তারিখে এই মহা মনীষী এ নশ্বর ইহধাম ত্যাগ করেন। দামেস্কের বাবে সাগীরের গোরস্থানে তাঁর পিতার পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন