অমিত হাসান এর জীবনী - Biography of Amit Hasan
অমিত হাসান একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী অভিনেতা ও প্রযোজক। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত চেতনা ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। একক নায়ক হিসেবে মনোয়ার খোকনের জ্যোতি ছবি দিয়ে শুরু হয় তার সফলতা। ২০১২ সালে ভালোবাসার রঙ ছবির মাধ্যমে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে পুনরায় নির্বাচন করেন কিন্তু মিশা-জায়েদ পরিষদের কাছে হেরে যান।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
আসল নাম: খন্দকার সাইফুর রহমান
জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ (বয়স ৫৪)
জন্ম স্থান: আদালতপাড়া, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
জাতীয়তা: বাংলাদেশি
পেশা: অভিনেতা, প্রযোজক
কর্মজীবন: ১৯৮৬–বর্তমান
উল্লেখযোগ্য কর্ম: ভালোবাসার রঙ
উচ্চতা: ৫ ফু ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মি)
দাম্পত্য সঙ্গী: অনন্যা
সন্তান: লামিসা (কন্যা),সামান্তা (কন্যা)
পিতা-মাতা: মালিহা রহমান (মাতা)
পুরস্কার: বাচসাস পুরস্কার (১ বার)
প্রারম্ভিক জীবন
হাসান ১৯৬৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার অন্তর্গত বানিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম খন্দকার সাইফুর রহমান। তার মায়ের নাম মালিহা রহমান। কলেজে পড়াকালীন তার এক বান্ধবী তার 'অমিত হাসান' নাম দেন।
কর্মজীবন
১৯৮৬ সালে 'নতুন মুখের সন্ধানে' প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র চেতনা। ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের জ্যোতি চলচ্চিত্রে। এই দশকে তিনি শেষ ঠিকানা, জিদ্দী, আবিদ হাসান বাদলের বিদ্রোহী প্রেমিক (১৯৯৬) ও তুমি শুধু তুমি (১৯৯৭), রাজ্জাকের বাবা কেন চাকর (১৯৯৭), শিল্পী চক্রবর্তীর রঙিন উজান ভাটি (১৯৯৭), মোতালেব হোসেনের ভালবাসার ঘর (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০০৮ সালে হাসান প্রযোজকের খাতায় নাম লেখান এবং টেলিভিউ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা চালু করেন। এই সংস্থা থেকে প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র কে আপন কে পর। শাহীন-সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে মুক্তি পায়। এতে তিনি নিজেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তার বিপরীতে ছিলেন অপু বিশ্বাস। এছাড়া ছবিতে আরও অভিনয় করেন আলমগীর, ববিতা, মিজু আহমেদ, মিশা সওদাগর প্রমুখ। আলমগীর ও ববিতা এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা ও অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১২ সালে তিনি শাহীন-সুমন পরিচালিত ভালোবাসার রঙ ছবিতে প্রথমবারের মত খল চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তুফান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত ওয়াজেদ আলী সুমনের রক্ত ও শামীম আহমেদ রনির বসগিরি। ২০১৬ সালের শুরুতে মুক্তি পায় শফিক আচার্য্য পরিচালিত ভৌতিক চলচ্চিত্র মায়াবিনী। এতে তিনি মায়া চরিত্রে অভিনয় করেন। এই বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত নবাব, বস ২ ও রাজনীতি। বাবা যাদব পরিচালিত বস ২ ছবিতে তাকে প্রথম কলকাতার অভিনেতা জিতের সাথে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই ছবিতে তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রিন্স শাহনেওয়াজ চরিত্রে অভিনয় করেন।
পুরস্কার
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য বাচসাস পুরস্কার - ভালোবাসার রঙ (২০১২)।