-63189ca6772f0.webp)
মালয়ী বনরুই-Sunda pangolin
মালয়ী বনরুই বা মালয়ী পিপড়াভুক বা মালয়ান বনরুই হচ্ছে Manidae পরিবারের Manis গণের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীতে ৭ প্রজাতির বনরুই রয়েছে, তন্মধ্যে এশিয়ায় আছে তিন প্রজাতির আর এই তিনটিই বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এশীয় বনরুইদের এই তিনটি প্রজাতি হলও ক. দেশি বনরুই, খ. মালয়ী বনরুই, ও গ. চায়না বনরুই।
ইংরেজি নাম: Sunda pangolin
বৈজ্ঞানিক নাম: Manis javanica
বর্ণনাঃ
মালয়ী বনরুই-এর লোম আঁইশ থেকে উদ্ভূত। এদের মাথা ছোট চোঙাকার ও চোখ ছোট। চোখ মোটা চোখের পাতা দ্বারা রক্ষিত। প্রাপ্তবয়স্ক এই প্রজাতির বনরুইয়ের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৫০-৬০ সেমি এবং লেজ ৫০-৮০ সেমি। লেজসহকারে আঁইশ দৈর্ঘ্যে ৭৯-৮৮ সেমি। ওজন ১০ কেজি পর্যন্ত। পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে বড় হয়।
স্বভাবঃ
মালয়ী বনরুই কখনও কখনও জোড়ায় পাওয়া যায়, তবে সাধারণত তারা একাকী, নিশাচর এবং ভীতু আচরণ করে। তারা যখন বিপদে পরে তখন পুরো শরীর কুণ্ডলী পাকিয়ে একেবারে গোলগাল ৫ নম্বরী ফুটবল হয়ে যায়_ এমনকি বাচ্চাকে বুক-পেটে রেখেও কুণ্ডলী পাকায় এ অবস্থায় ঢালু বেয়ে ফুটবলের মতোই গড়িয়ে নামতে পারে। গাছেও খুব দ্রুততার সাথে বিচরণ করতে পারে।
প্রজননঃ
মালয়ী বনরুই বছরে ১-২টি সন্তানের জন্ম দেয়। তারা শরৎকালে বংশবৃদ্ধি করে, এবং মহিলারা শীতে গর্তে বাচ্চা জন্ম দেয়। বাচ্চাদের প্রায় তিন মাস পিতামাতা যত্ন নেয়। এই তিন মাসে, মা মালয়ী বনরুই পরিসর ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় কারণ সে তার সন্তানদের সাথে ভ্রমণ করে এবং চরায়।
খাদ্য তালিকাঃ
পোকামাকড়,উইপোকা-উইপোকার ডিম ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এদের প্রিয় খাদ্য পিঁপড়া।
বিস্তৃতিঃ
মালয়ী বনরুই বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া (জাভা, সুমাত্রা, বোর্নিও, এবং সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ), ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, এবং সিংগাপুরে পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
মালয়ী বনরুই বাংলাদেশে মহাবিপন্ন ও বিশ্বে শঙ্কাগ্রস্ত বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।