ফেসবুকে তরুণী সেজে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবককে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি খালেদুর রহমান।
শুক্রবার ভোরে শহরের ব্যাপারিপাড়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে অপহৃত যুবক আশরাফুলকে উদ্ধার করা হয়।এ সময় অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি খালেদুর রহমান ও তার আরেক সহযোগী শামীম আহম্মেদ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, অপহৃত যুবকের নাম আশরাফুল। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার থলিবাড়ী গ্রামে। আশরাফুলের অপহরণের বিষয়টি তার পরিবার আমাদের কাছে জানালে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করি আমরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে আশরাফুলকে উদ্ধার করি। টের পেয়ে অপহরণকারী চক্রের কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনার মাস্টার প্ল্যানার ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খালেদুর রহমান ও তার সঙ্গী শামীম আহম্মেদকে আটক করি।
এদিকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খালেদুর রহমানকে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে খালেদুর রহমানকে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠিত হবে এবং সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত ৪ মাস আগে অপহরণকারী চক্রের সদস্য আলীম ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খুলে মেয়ে সেজে আশরাফুলের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। গত ১৪ (আগস্ট) আশরাফুলকে ঝিনাইদহে এসে দেখা করতে বলে আলীম।
এদিন আশরাফুল ঝিনাইদহের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসলে তাকে অপহরণ করে ব্যাপারিপাড়ার একটি ছাত্রাবাসে অবরুদ্ধ করে রাখে চক্রটি। পরে ফোন করে আশরাফুলের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। ছেলেকে ফিরে পেতে পরিবারের লোকজন বিকাশের মাধ্যমে ৬৮ হাজার টাকা পাঠায়।