
কোরবাণী ঈদকে সামনে রেখে আমতলীর কামার শিল্পীরা দা, বটি, ছেনি, চাপাতি, চাকু, কুঠার তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও বিক্রি কম।
সরেজমিনে আমতলী পৌর শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট- বাজারের কামারপাড়াগুলো ঘুরে দেখোগেছে, কামার শিল্পীরা লোহা দিয়ে দা, বটি, ছেনি, চাপাতি, চাকু, কুঠারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরী করতেছে। কোরবাণী ঈদ সামনে রেখে দিন- রাত্রি পরিশ্রম করে এগুলো তৈরী করে পসরা সাজিয়ে বিক্রির আশায় বসে আছে। এখন পর্যন্ত বিক্রি তেমন শুরু না হলেও কয়েক দিন পরে শুরু হবে। এখন দু’চার জন ক্রেতা আসলেও তারা দর কসাকসি করে পছন্দের দা, বটি, ছেনি, চাপাতি, চাকু, কুঠারসহ যন্ত্রপাতি কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকে তাদের দা, চাকু, বটিসহ পুরাতন যন্ত্রপাতি মেরামত করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এক সময় আমতলী উপজেলাতে প্রায় শতাধিক পরিবার কামার শিল্পের সাথে জড়িত ছিলো। যা এখন ২০/২৫টি পরিবারে নেমে এসেছে। আবার অনেক কামার শিল্প পরিবার এখন পেশা পরিবর্তন করে স্বর্ণ শিল্প পরিবারের সাথে যুক্ত হয়েছে।
আমতলী পৌর শহরের প্রবীন কামার শিল্পী শ্যাম কর্মকার বলেন, বাপ-দাদা এ পেশার সাথে জড়িত ছিল। আমিও সে পেশাটাকে ধরে রেখেছি। এই বৃদ্ধ বয়সে অনেক কষ্ট হয় তারপরও এ কাজ করে যাচ্ছি।
চৌরাস্তার ডালের কামার শিল্পী অরুন কর্মকার বলেন, বর্তমানে লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় ১টি দা, বটি তৈরী করতে যে খরচ হয় সে তুলনায় দাম পাওয়া যায় না।
গাজীপুরের কামার শিল্পী শম্ভু কর্মকার বলেন, কোরবাণী ঈদ কে সামনে রেখে দিন রাত পরিশ্রম করে উপজেলার কামার শিল্পীরা লোহার তৈরী দা, বটি, ছেনি, চাপাতি, চাকু, কুঠার তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
হলদিয়া অফিস বাজারের কামার শিল্পী শুধণ্য কর্মকার বলেন, ভাল লোহার তৈরী এক কেজি ওজনের ১টি দা ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা বিভিন্ন সাইজের ছুড়ি ২’শ থেকে ৩’শ ৫০টাকা, চাপাতি ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
চুনাখালী কামারপাড়ার তপন কর্মকারের কাছ থেকে চাপাতি ক্রয় করা ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, কোরবাণীতে জবেহ করা গরুর হাড্ডি- মাংস কাটার জন্য বড় সাইজের একটি চাপাতি ৫’শ টাকায় ক্রয় করেছি।
হলদিয়া অফিস বাজার কামারপাড়া থেকে দা ক্রয় করা ক্রেতা সেতু মল্লিক বলেন, বড় সাইজের একটি দা ৪’শ ৫০টাকায় ক্রয় করেছি।
আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা মোঃ শহিদ দেওয়ান ও পল্লবী এলাকার গৃহবধূ মিলি আক্তার বলেন, কোরবাণী ঈদকে সামনে রেখে তাদের ঘরে থাকা পুরাতন দা, চাকু, বটি মেরামত (পাইন) দিতে কর্মকারের কাছে নিয়ে এসেছেন।
আপনার মতামত লিখুন