
বাঁশ ইদুর-Lesser Bamboo Rat
বাঁশের ইঁদুর হল Spalacidae পরিবারের ইঁদুরের একটি প্রজাতি।
ইংরেজি নাম: Lesser Bamboo Rat
বৈজ্ঞানিক নাম: Cannomys badius
বর্ণনাঃ
বাঁশ ইঁদুর একটি ছোট ইঁদুর। এটি প্রায় ৬০ মিমি লেজ সহ প্রায় ২০০ মিমি দৈর্ঘ্যে পৌঁছায়, যার ওজন ২১০ থেকে ৩৪০ গ্রাম। কান ছোট এবং শরীরের মধ্যে সম্পূর্ণ লুকানো। পশম নরম এবং ঘন, উপরের অংশে লালচে-বাদামী থেকে ধূসর-বাদামী এবং নীচের অংশে বরং ফ্যাকাশে এবং পাতলা। মাথার মুকুটে সাদা ডোরা বা গলায় কিছু সাদা দাগ থাকে। লেজে কয়েকটি লোম রয়েছে। বাঁশ ইঁদুরের শক্ত, নলাকার শরীর, ছোট কান ও চোখ এবং ছোট, শক্ত পা থাকে। সামনের দাঁত মুখের বাহিরে বেরিয়ে থাকে। পায়ের নখ বড়।
স্বভাবঃ
বাঁশের ইঁদুর হল একটি গর্ত করা প্রাণী যা সাধারণত পার্বত্য অঞ্চলে বাঁশ খাঁজলে পাওয়া যায়, তবে এটি বনভূমি, আবাদ এবং অশান্ত জমিতেও দেখা যায়। গর্তের প্রবেশদ্বারটি গাছের পাদদেশে, বাঁশের থোকায় বা খোলা জায়গায় হতে পারে। এটি একটি প্রশস্ত বাসা বাঁধে। প্রাণীটি যখন ভূগর্ভে থাকে, তখন গর্তের প্রবেশপথ মাটি দিয়ে আটকে থাকে। বাঁশের ইঁদুর সন্ধ্যার সময় গাছের উপাদান যেমন অঙ্কুর, বিশেষত বাঁশ এবং শিকড়ের জন্য চারার জন্য মাটির উপরে উঠে আসে। বসবাসের জন্য বাঁশ ইঁদুর বাঁশ বন পছন্দ করে বলে এর নাম বাঁশ ইঁদুর।
প্রজননঃ
এই ইঁদুরগুলি এক বছর বয়সে যৌনভাবে পরিপক্ক হয় এবং প্রায় ৬ সপ্তাহের গর্ভধারণের পর স্ত্রীরা ২ থেকে ৫টি সন্তান প্রসব করে। ৮ সপ্তাহ পরে দুধ ছাড়ানো হয়।
খাদ্য তালিকাঃ
বাঁশের শেকড় , বাঁশের কুরী, ঘাস বাঁশ ইঁদুরের প্রধান খাদ্য।
বিস্তৃতিঃ
এটি বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, মায়ানমার, নেপাল এবং থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
বাংলাদেশে বাঁশ ইঁদুরের কোন পরিসংখ্যান হয়নি তাই এদের সঠিক অবস্থান জানা যায়নি। আবাস ধ্বংস ও মাংসের জন্য শিকারের ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মতো এরাও বিপন্ন।