পোষা বিড়ালের যত্ন নিবেন যেভাবে
মানুষের সঙ্গে বিড়ালের কিছু দূরত্বের কারণে বিড়ালের ভাষা বুঝতেও আমরা অনেক সময়ই ব্যর্থ হই।
হিয়েস্ট্যান্ড বলেন, “বিড়ালের একগুঁয়ে ও স্বনির্ভর সভাবের কারণে বিড়ালের জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছেই। তবে বিড়াল এই জীবন-যাপনে অভ্যস্ত কিনা সেটা অন্য বিষয়। মানুষ চায় বিড়ালও যেন কুকুরের মতোই হয়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে; এরা এরকম না।”
গবেষণায় দেখা যায়, মানুষের প্রতি বিড়ালের আচরণ একটু জটিল।
এটি খুবই পরিবর্তনশীল ও জিনগত বৈশিষ্ট্য দ্বারা পরিচালিত। একটি বিড়ালের বাচ্চা জন্মের পর প্রথম ছয় থেকে আট সপ্তাহ কী ধরণের অভিজ্ঞতা পেয়েছে তার উপর নির্ভর করে বিড়ালটি কতটা সামাজিক হবে। যদি জীবনের শুরুর এই সময়টিতে তারা মানুষের কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পায়, তাহলে দেখা যায় পরবর্তী জীবনে এরা সাধারণত মানুষকে পছন্দ করে,” যোগ করেন হিয়েস্ট্যান্ড।
তবে এরপরও সার্বিকভাবে বিড়ালের আচরণ একটু অদ্ভুত লাগতে পারে। যেমন বেওয়ারিশ বা রাস্তায় থাকা বিড়াল সাধারণত মানুষকে দেখলে পালিয়ে যায়। এই স্বভাবটি তারা পেয়েছে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে। আবার দেখা যায় গৃহপালিত কোনো বিড়ালও বাসার মানুষের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছে, কোনো বিড়াল আবার মানুষের সঙ্গ খুবই পছন্দ করছে।
পোষা বিড়ালের যত্ন
ভ্যাক্সিনেশন- বিশেষত কুকুর বিড়ালের জন্য এই বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মালিক এবং প্রাণি উভয়ের জন্যই এটি দরকার। ভ্যাক্সিনের মধ্যে মূলত র্যাবিস ভ্যাক্সিনটি অন্যতম। আমাদের দেশে বেশিরভাগ পোষা কুকুর বিড়াল রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এডপ্ট করা। সেক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুতেপূর্ণ।
পরিচর্যা- পরিচর্যা বা গ্রুমিং আপনার পোষা প্রাণীর পরিচ্ছন্নতার একটি অংশ। সময়মত নখ কেটে দেয়া, বাড়তি লোম কেটে দেয়া, গোসল করানো এসব কাজ না করলে রোগবালাই সংক্রমন বেশি হয়।
খাবার নির্বাচন- খাবার নির্বাচনের জন্য অবশ্যই পুষ্টিকর এবং মজাদার খাবার নির্বাচন করতে হবে। পুষ্টিকর না হলে প্রাণীর বেড়ে ওঠা ব্যাঘাত ঘটবে আর মজাদার না হলে কেউ কি খাবার খেতে চায়?
ভেটেরিনারি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ- আপনার প্রিয় প্রাণীর যেকোন রোগ ব্যধিতে অবশ্যই কোন ডাক্তারের সরণাপন্ন হবেন। কুকুর বিড়াল কিংবা পাখির রোগ একটু জটিল হয় তাই কার্পণ্য করবেন না।
ওষুধ দেওয়া- একটি বিড়ালের জন্য বড়িগুলি পরিচালনা করা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কিছু বিড়াল একটি বড়ি নেবে যা ছোট্ট ট্রিটে লুকানো থাকে, যেমন টুনা বা মুরগির টুকরো। তবে অনেক বিড়াল ট্রিট খাবে এবং ঔষধটি থুতু দেবে। এই ক্ষেত্রে আপনার নিজের বিড়ালের মাথার উপর টিপ দিয়ে একটি বড়ি কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তা সে শিখতে হবে যাতে সে বা সে সন্ধান করছে
বিড়ালের টিকা- কুকুর এবং লোকের মতোই বিড়ালদেরও প্রতিরোধক ওষুধের মূল উপাদান টিকা দেওয়া। রোগের সংস্পর্শে আসার আগে ইনফেকশন সিস্টেমকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে উত্সাহিত করতে ভ্যাকসিনেশন দেওয়া হয়। মারাত্মক সংক্রামক অসুস্থতার বিরুদ্ধে মূল প্রতিরক্ষা হিসাবে বিড়ালদের নিয়মিতভাবে কয়েকটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয় (উদাহরণস্বরূপ, প্যানেলিউকোপেনিয়া, হার্পিসভাইরাস)।
বিড়ালের গর্ভাশয় অপসারণ ও খোজাকরণ- অনেকেই তাদের পোষা বিড়ালের গর্ভাশয় অপসারণ ও খোজাকরণ পছন্দ করেনে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ ও অনেক সমস্যারই সমাধান করতে পারে এই ব্যবস্থা। বিড়ালের গর্ভাশয় অপসারণ বা খোজা করা হলে প্রাণিটির প্রসাবের গন্ধ শুঁকে পুরুষ বা মেয়ে বিড়াল চেনার যে ক্ষমতা তা কমে যায়। বিড়ালের এই ক্ষমতা থাকার কারণে অন্য বিড়ালের সঙ্গে লড়াই করার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কারণ দুটি সমলিঙ্গের বিড়ালের মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। গর্ভাশয় অপসারণ ও খোজাকরণের ফলে বিশেষ করে মেয়ে বিড়ালের তাপচক্র দূর হয় এবং তারা পুরুষ সঙ্গী সাধারণত কম খোঁজে। তাই এ পদ্ধতি অনেক সমস্যারই সমাধান হিসেবে কাজ করে।
আরও বেশ কয়েকজন (ননকোর হিসাবে পরিচিত) নির্দিষ্ট অঞ্চল এবং পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ (উদাহরণস্বরূপ, flines লিউকেমিয়া ভাইরাস)। আপনার পশুচিকিত্সক আপনার স্থানীয় অঞ্চল এবং পরিস্থিতিতে কোন ভ্যাকসিনের সুপারিশ করেন তা পরামর্শ দিতে পারে।
(যা সিলিংয়ের দিকে), মুখ খোলছে এবং সরাসরি পিলটি পেছনের দিকে রেখে দেয় গ্রাস করার জন্য মুখ আপনার পশুচিকিত্সক বা পশুচিকিত্সক প্রযুক্তিবিদ আপনাকে একটি প্রদর্শনী এবং অতিরিক্ত দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। তরল ঔষধগুলি কখনও কখনও বিশেষত বিড়ালছানা গুলির জন্য নির্ধারিত হয়। দুধারে পিছনের দাঁতের কাছে সিরিঞ্জের টিপ দিয়ে বিড়ালের মুখের পিছনের দিকে সিরিঞ্জের মাধ্যমে তরল সরবরাহ করা যেতে পারে।
আপনার পোষা প্রাণীকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিন। সময় না দিলে প্রাণীটি ডিপ্রেশনে ভুগবে। জ্বি হ্যা প্রাণীরাও ডিপ্রেশনে ভোগে।
কি কি করা যাবে না
১.প্রথমত জানতে হবে আপনার প্রাণী কিসের প্রতি সংবেদনশীল। কুকুর বিড়ালে প্যারাসিটামল ঔষধ বিষক্রিয়া করে। তাই অবশ্যই এসব ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন। কুকুর কিংবা বিড়ালকে কখনো চকলেট খেতে দিবেন না। এটিও বিষক্রিয়া করে।
২.আপনার প্রাণীকে বেশীসময়ের জন্য একা রাখবেন না। বেশীসময় একা থাকলে প্রাণী ভয় পায় এবং অনেকক্ষেত্রে বাড়িঘর ও আসবাবপত্রের ক্ষতিসাধন করে।
৩.বাসায় গেস্ট আসলে প্রথমে বুঝে নিন আপনার প্রাণী তার সাথে মিশতে পারছে কিনা। প্রাণিটি যদি আপনার মেহমানকে পছন্দ না করে তাহলে অবশ্যই তাকে দূরে রাখুন।
৪.আপনার প্রাণী যদি বাচ্চা প্রসব করে থাকে তাহলে বাচ্চাকে মা থেকে দূর করবেন না। এতে করে প্রাণীর সাইকোলজিক্যাল সমস্যা হতে পারে।
৫.আপনি যদি আগের পোষা প্রাণীর সাথে নতুন কোন প্রাণি পালতে চান তাহলে প্রথমেই দুটি প্রাণীকে সামনাসামনি না আনাই ভালো। অনেকক্ষেত্রে পুরাতন প্রাণীটি আক্রমণাত্মক হতে পারে।
শীতের সময়ে পোষা প্রাণীর যত্ন
শীতের সময়ে তাদের যেন কোন কষ্ট না হয় সেই খেয়াল রাখা কিন্তু আমাদেরই দায়িত্ব। চলুন জানা যাক কী কী উপায়ে শীতের সময়ে পোষা প্রাণীর যত্ন নিতে হবে!
১.বিড়ালছানার বয়স ২ মাস হলেই ভাইরাসের টিকা দিয়ে নিতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি।
২.বিড়ালের বুক মেঝেতে লাগিয়ে শুতে দেওয়া যাবে না, এতে শ্বাসনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. এখন বিড়ালকে হালকা গরম খাবার দিন, খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে জীবাণু জন্ম নিতে পারে। খাবার বাসি হয়ে গেলে সেই খাবারে যাতে বিড়াল মুখ না দেয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
৪. বিড়াল যদি বাইরে যায় তাহলে ফেরার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে পা মুছে দিন, যাতে ময়লা বা জীবাণু পায়ে লেগে না থাকে।
৫. কোনো বিড়াল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অবশ্যই সুস্থ বিড়াল থেকে আলাদা রাখুন এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রাণী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৬. উষ্ণতা ধরে রাখতে পারে, এমন কাপড়ের বিছানা করে দিন বিড়ালের জন্য।
৭. বেশি শীতে বিড়ালকে গরম কাপড় পরাতে পারেন।
৮. শীতে বিড়ালের থাবা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে কখনো কখনো। তাই প্রয়োজনে সামান্য নারকেল তেল লাগিয়ে রাখা যায়।
৯.তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে শীতের সময় বিড়ালের খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত ওজন বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। তাই কয়েক দফায় কম করে খাবার দেওয়া যেতে পারে।
১০.বিড়াল পানি খুব একটা পান করে না। শীতে আরও কম। কিন্তু বিড়ালের শরীরের জন্য পানি আবশ্যক। পানিশূন্যতা বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। বিড়ালের পানিশূন্যতা বুঝতে পারা যায় ছোট্ট একটি পরীক্ষার মাধ্যমে। বিড়ালের দুই কানের মাঝখানের চামড়া সাবধানে টেনে ছেড়ে দিলে যদি তা ২-৩ সেকেন্ডের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে না যায় (অর্থাৎ মিশে না যায়), তাহলে বোঝা যায় পানিশূন্যতা রয়েছে। পানিশূন্যতা থাকলে খানিকটা পানি পান করিয়ে দিন।
১১. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে মাঝেমধ্যে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলার রস বা লেবুর রস দিতে পারেন। কখনো কখনো টক দইও দিতে পারেন।
১২. এ সময় বিড়ালকে প্রতি মাসে একবার করে গোসল করাতে পারেন। খুব বেশি প্রয়োজন হলে মাসে দুবার গোসল করাতে পারেন। গোসলের পর অবশ্যই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কিংবা রোদে শুকিয়ে নিন। বিড়ালের কানে যাতে পানি না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গরমের সময়ে বিড়ালের যত্ন
১। সান ক্রিম ব্যবহার করাঃ
যেসব বিড়ালের পশম হালকা এবং রঙ্গীন সেসব বিড়ালের সান বার্ন হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশী। পশম কিছুটা হলেও সুরক্ষা দেয় কিন্তু পুরোপুরি নয়। তাই এনিমেল ফ্রেন্ডলী সান ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন বিড়ালের বাহ্যিক অংশে। নাক এবং কপালের দিকে ক্রিম ভালোভাবে এপ্লাই করুন।
তবে সান ক্রিম যেটি ব্যবহার করতে যাচ্ছেন বিড়ালের উপর সেটি কিছুদিন ব্যবহার করে পর্যবেক্ষন করুন কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে কিনা। ঠিকমত সুট না করলে ক্রিমটি বদলিয়ে ফেলুন। ক্রিমে অবশ্যই টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইড আছে কিনা চেক করুন। যদি জিংক অক্সাইড থাকে তবে সেটি ব্যবহার করবেন না। তবে কোন প্রকার সন্দেহ মনে হলে অবশ্যই ভেটের সাথে পরামর্শ করুন।
২। যথেষ্ট ছায়া নিশ্চিত করুনঃ
যদি বিড়াল নিয়ে বাইরে বের হন তবে ছায়াযুক্ত স্থান নির্বাচন করুন। ফলে আপনার বিড়াল ইচ্ছেমত ঘুরে ছায়াতে বিশ্রাম নিতে পারবে তার প্রয়োজন অনুযায়ী। সতেজ, শীতল পানি পান করতে দিন।
৩। ঘরের ভেতর ঠান্ডা রাখুনঃ
ঘরের ভেতরেও বিড়াল গরম অনুভব করতে পারে। তাই যথেষ্ট ফ্যান রাখুন বাসায়। বাসার ভেন্টিলেশন যেন ঠিকমত কাজ করে সেই ব্যাপারটিও নিশ্চিত করুন।
৪। বিড়ালকে পানিশুণ্য হতে দিবেন নাঃ
বিড়াল যেন প্রয়োজন অনুসারে পানি পান করতে পারে সেই ব্যাপারটি ভালোভাবে নিশ্চিত করুন। একটু পর পর ঠান্ডা এবং ফ্রেশ পানি দ্বারা পানি পাত্র রিফিল করুন। এতে করে বিড়াল যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে পারবে।
৫। বিড়ালকে অতিরিক্ত উত্তেজিত করবেন নাঃ
খুব গরমের দিনে দেখতে পাবেন বিড়াল খুবই অস্থিরতা এবং পানিশুণ্য হয়ে পড়ছে। তাই তাদেরকে বেশী উত্তেজিতে হতে দিবেন না। প্রয়োজনে কিভাবে রিলাক্স ভাবে খেলা দুলা করতে পারে সেই ব্যাপারে ট্রেনিং দিতে পারেন। এছাড়াও খেলার জন্য বরফ খন্ড দিতে পারেন বিড়ালকে।
৬। ছাউনি চেক করুনঃ
আপনার বাগান কিংবা ঘুরতে যাওয়ার কোথাও শেড বা ছাউনি থেকে থাকলে ভালোভাবে চেক করুন। এমন হতে পারে সে সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে।
৭। বিড়ালকে নিয়মিত ব্রাশ করুনঃ
বিড়ালের লোম নিয়মিত ব্রাশ করে দিন। এতে আটকে থাকা তাপের পাশাপাশি অন্যান্য ধুলাবালি ইত্যাদিও চলে যাবে। আপনার বিড়াল সতেজ অনুভব করবে।
আপনি কি বাসায় নতুন বিড়াল নিয়ে আসতে চান? পুরানো বিড়াল তাকে কীভাবে গ্রহন করবে সে সম্পর্কে চিন্তিত? তাহলে নতুন বিড়ালকে পুরানো বিড়ালের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সাহায্য করবে।
৮। গ্রীনহাউজ বা স্টোরহাউজ থেকে দূরে রাখুনঃ
এই জায়গাগুলি হুট করেই প্রচন্ড গরম হয়ে উঠে যা বিড়ালের জন্য খুবই বিপদজনক। এসব হাউজ তাপ ধরে রাখার জন্যই নির্মান করা হয়। এজন্য কোনভাবেই যেন এসব স্থানে বিড়াল না যেতে পারে সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখুন।
৯।উষ্ণ তাওয়াল দিয়ে বিড়ালের শরীর মুছে দেয়াঃ
বিড়ালের সবথেকে উষ্ণতর অংশ হচ্ছে তার পেট, পায়ের তালু, গলার নীচের অংস এবং কানের আশে পাশের অংশ। খুব দ্রুতই বিড়ালের শরীরের এই অঙ্গ গুলি খুবই গরম হয়ে যায়। তাই ঠান্ডা পানিতে তাওয়াল ভিজিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত আলতোভাবে মুছে দিন। বিড়াল আরাম অনুভব করবে।
বিড়ালের খাবার ও পানির সুব্যবস্থা
● বিড়ালের জন্য পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা রাখুন। নিয়মিত পানি বদলে দিন। তবে নির্দিষ্ট পানির বদলে ও অন্য কোথাও থেকে পানি খেতে আগ্রহীও হতে পারে।
● উন্নত মেলামিনের পাত্রে খাবার ও পানি দিন।
● আমিষ আবশ্যক। এরপর পর্যায়ক্রমে স্নেহজাতীয় ও শর্করাজাতীয় খাবারের চাহিদা। চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস সেদ্ধ, সেদ্ধ কলিজা, সেদ্ধ মাছ, ডিম, সবজি সেদ্ধ (কুমড়া, লাউ, শসা, মটর, গাজর, শিমের বিচি, ব্রকলি, মিষ্টিআলু), সেদ্ধ ভুট্টা, সেদ্ধ গম, কলা, বিচি ছাড়া তরমুজ, ব্লু-বেরি, হার্ড চিজ, কটেজ চিজ, দই দিতে পারেন। গরম পানিতে ১০-২০ মিনিট ওট ভিজিয়ে রেখে ডিম বা কুসুম মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে খাওয়াতে পারেন। শীতের সময় তেলযুক্ত মাছ দেওয়া ভালো।
● বাড়িতে ঘাস রাখুন। প্রয়োজন হলে ওরা ঘাস খেয়ে নেয়, বিষাক্ত পদার্থ ঘাসের সঙ্গে বমি করে উগরিয়েও দেয়।
● তরল খাবার বা ওষুধ খাওয়াতে হলে তা মুখের এক পাশ থেকে দিন। মুখের মাঝ বরাবর দিলে শ্বাসনালিতে খাবার বা পানি গিয়ে সংক্রমণ হয়।
বিড়ালের নিরাপত্তায় কিছু ব্যাপার নিশ্চিত করুনঃ
প্রচুর পানি পান করান এবং ছায়াময় স্থানে থাকতে দিন
বিড়ালকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষনে করুন
বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর এমন যেকোন কিছু সরিয়ে ফেলুন
নিয়মিত ভ্যাক্সিন দিন। প্রয়োজনে ভেটের সাথে যোগাযোগ করুন
দূরে কোথাও গেলে বিড়ালের কলারে ট্যাগ এবং আপনার ফোন নম্বর দিন যাতে হারিয়ে গেলে দ্রুত খুজে পাওয়া যায়।