বিড়ালের জ্বর হলে করণীয়
বিড়ালের শরীরের সাধারন টেম্পারেচার হলো ১০০.৪ থেকে ১০২.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট। যখন টেম্পারেচার ১০২.৫ ডিগ্রীর চেয়ে বেশী হয় তখনই জ্বর বলা হয়। যদিও জ্বর রোগ প্রতিরোধের জন্য ভাল কিন্তু ১০৬ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশী হলে তা অরগান ডেমেজ করে ফেলতে পারে।
কারনঃ
সাধারন টেম্পারেচারের থেকে বডি টেম্পারেচার বেশী হলে একে Hyperthermia বলে। বিভিন্ন কারনে Hyperthermia হতে পারে। জ্বর হলো একটা নির্দিষ্ট রকমের Hyperthermia যাকে Pyrexia বলা হয়।
জ্বরের কারন গুলো হলো –
১) ইনফেকশন (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্যারাসাইট অথবা অন্য মাইক্রো অর্গানিজম)
২) ইমমিউন সিস্টেমের একটিভেশন
৩) টিউমার
৪) মেটাবলিক রোগ
৫) এনডোক্রাইন রোগ
৬) অন্যান্য ইনফ্লামেটরি কন্ডিশন
৭) বিভিন্ন রকম ঔষধ
৮) বিভিন্ন রকম টকসিন
লক্ষন সমূহঃ
১) হাই বডি টেম্পারেচার
২) মাসেল দূর্বলতা
৩) ক্ষুদামন্দা
৪) হার্টবিট রেট বেড়ে যাওয়া
৫) ডিহাইড্রেশন হওয়া
৬) রেসপিরেটরি রেট বেড়ে যাওয়া
৭) কেঁপে উঠা
৮) শক
৯) Grooming কমে যাওয়া
১০) বিষণ্ণ থাকা
আমার বিড়ালের জ্বর আছে কিনা তা কীভাবে জানব
স্বাস্থ্যকর বিড়ালের দেহের তাপমাত্রা অবশ্যই ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকতে হবে; এটি যখন উচ্চতর হয় তখন এটি আপনার শরীরটি ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া বা আপনার টিউমার হওয়ার কারণে লড়াই করছে। এর তাপমাত্রা নিতে, আপনার একটি প্রয়োজন হবে ডিজিটাল রেকটাল থার্মোমিটারজাতিসংঘ লুব্রিক্যান্ট (ভ্যাসলিনের মতো) এবং ক পরিষ্কার কাপড়.
তারপরে এই পদক্ষেপটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন:
থার্মোমিটার পরিষ্কার করুন।
টিপসটি একটু লুব্রিক্যান্ট দিয়ে Cover করে রাখুন।
বিড়ালের লেজটি তুলুন এবং তার মলদ্বারে টিপসটি ডোকান।
থার্মোমিটার বন্ধ হয়ে গেলে সাবধানে এটি অপসারণ করুন এবং তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন।
চিকিৎসাঃ
বিড়ালকে বিশ্রামে রাখতে হবে। তার শরীরের এনার্জি সেভ করার জন্য এবং লক্ষন গুলো যেন না বাড়ে তাই। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্বর না কমলে অতি দ্রুত বিড়ালকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। অধিকাংশ সময় একদিনেই ভালো হয়ে উঠে কিন্তু অনেক সময় পুরোপুরি সুস্থ হতে এক সপ্তাহ থেকে এক মাস ও লাগতে পারে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#Rakib ahmed
বিরালের ডাক্তার কোথায় পাবো🥺🥺..?