মেঘলা চিতা-Clouded Leopard
Clouded Leopard

Clouded Leopard

মেঘলা চিতা

মেঘলা চিতা বা লাম চিতা, যা ফুলেশ্বরী বাঘ বা গেছো বাঘ নামেও পরিচিত (বাংলায় সাধারণত গেছো বাঘ নামেই পরিচিত) হল একধরনের বিড়াল জাতীয় প্রাণী যাদের প্রধানত হিমালয়ের পাদদেশে দেখা যায় । 

ইংরেজি নাম: Clouded Leopard

বৈজ্ঞানিক নাম: Neofelis nebulosa

বর্ণনাঃ

গেছো বাঘের পিঠের দিকে জলপাই হলুদের ওপর গাঢ় বাদামী লম্বাটে ও গোলাকার বড় বড় চাকতির মতো রয়েছে। মুখে ও পেটে কালো ছোপ রয়েছে; লেজে কালো ছোপ বা বলয় রয়েছে। এদের পেট সাদাটে। পুরুষ বাঘ স্ত্রী বাঘ অপেক্ষা আকারে বড় হয়। মাথাসহ এদের দেহের দৈর্ঘ্য ৯৫ থেকে ১২০ সেমি এবং লেজ ৭৫-৮৫ সেমি। মোটা ও লম্বা লেজ এদের সহজেই গাছের ডালে হাঁটাচলা ও লাফানোর সময় ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। দেহের তুলনায় এদের মাথা বড়। থাবাগুলোও বড়। কিন্তু পাগুলো খাটো। ওজনে এরা ১৭-২০ কেজি হয়। গেছো বাঘের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এদের মুখের উপরের পাটির বিশাল দুটি শ্বদন্ত। দেহের অনুপাতে অন্য কোন বিড়াল প্রজাতির এতো বড় দাঁত নেই!

স্বভাবঃ

মেঘলা চিতারা বৃক্ষচর। গাছে গাছে কাটে বেশির ভাগ সময়। গাছে থাকার কারণে বিড়াল গোত্রের অন্য প্রাণীর মতো এদের পায়ের পাতা নরম নয়। বড় গাছের ডালে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নেয় বলে সাধারণত এদের গেছো বাঘ বলে। এরা গভীর ও ঘন ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনাঞ্চলে থাকতে পছন্দ করে। এরা নিভৃতচারী প্রাণী। মানুষের সান্নিধ্য এরা পছন্দ না করলেও খুব তাড়াতাড়ি পোষ মানে। বুনো বাঘকে কিছু দিন খাঁচায় রাখলেই পোষ মানে। এদের থাবা বড় হওয়ার ফলে দুই পা দিয়ে এরা গাছে ঝুলে থাকতে পারে যা অন্য কোন বিড়াল প্রজাতি পারে না। নামার সময় মাথা খাড়াভাবে নিচু করে নামতে পারে। এদের শরীর গাছে চড়া ও বিচরণ করার মতে করেই তৈরি। এরা প্রয়োজনে সাঁতার ও কাটতে পারে। 

প্রজননঃ

এদের প্রজনন ঋতু অক্টোবর-জানুয়ারি। ৮৫-৯৩ দিন গর্ভধারণের পর স্ত্রী গেছো বাঘ গাছের খোড়ল, গুহা, পাহাড়ি ফাটল এরকম কোন নিরাপদ স্থানে ১-৩টি বাচ্চা দেয়। প্রায় ১০ দিন পর বাচ্চাদের চোখ ফোটে। ৫ সপ্তাহ বয়সে এরা মায়ের সাথে বাইরে ঘুরাঘুরি করে। ১০-১২ মাস বয়স পর্যন্ত এরা মায়ের সাথে থাকে। দুই বছর বয়সে এরা প্রজননক্ষম হয়। পালিত অবস্থায় এরা ১৭ বছর পর্যন্ত বাঁচে। বন্য অবস্থায় ১১-১২ বছর। 

খাদ্য তালিকাঃ

বানর, কাঠবিড়ালি, ইঁদুর, গেছো ইঁদুর, পাখি এদের প্রধান খাদ্য। তবে গাছ থেকে নেমে বুনো শুকর, হরিণ, বুনো ছাগলও শিকার করে। 

বিস্তৃতিঃ

নেওফেলিস নেবুলোসা উত্তর-পূর্ব ভারতের নেপাল, ভুটানের হিমালয় পর্বতের দক্ষিণে পাওয়া যায়। পরিসীমাটির দক্ষিণ অংশটি মিয়ানমার, দক্ষিণ চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া (মূল ভূখণ্ড অঞ্চল) এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।

অবস্থাঃ

আইইউসিএন এদেরকে সংকটাপন্ন ঘোষণা করেছে। এদের সংখ্যা ১০,০০০ এরও কম এবং সমগ্র পৃথিবীতে প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণীর সংখ্যা ১,০০০ এরও কম। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

হলুদগলা মার্টিন-Yellow-throated Marten
পুরান ঢাকার বিখ্যাত কাপড়ের মার্কেট - The famous cloth market of Old Dhaka
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ - The most poisonous snake in the world
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানসমূহ-Places of interest in Bangladesh
বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর ১০ সাপ - 10 most poisonous snakes of Bangladesh
প্যারা হরিণ-Hog Deer
ঢাকার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা-List of Government Universities in Dhaka
মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া সব কোটা বাতিল
বাংলাদেশের সেরা পর্যটনকেন্দ্র-The best tourist destination in Bangladesh