ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা-Dhaka to Khulna train schedule and fare list
Dhaka to Khulna train schedule

ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা

Dhaka to Khulna train schedule

ঢাকা থেকে খুলনা রেলপথে যাওয়ার জন্য দুটি ট্রেন চলাচল করে । এই দুটি স্পেশাল ট্রেন হল সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস। ট্রেনে যাতায়াত অনেকটা আরামদায়ক, আপনি দুর ভ্রমণে যেতে চাইলে ট্রেনে ভ্রমণ করে দেখবেন কোন ক্লান্তি অনুভব করবেন না। তাই অনেকেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে চাইলে অবশ্যই এই স্থানের ট্রেন গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

যাতায়াতের জন্য সর্বপ্রথম ছাড়ার সময় এবং টিকিটের মূল্য জানা অন্তত প্রয়োজন। আপনি বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে পারেন। কিন্তু ঢাকা থেকে খুলনা স্টেশনে যেতে চাইলে , ঢাকা স্টেশনে খুলনা যেতে কোন ট্রেন কখন ছেড়ে দেওয়া হয় তা জানতে হবে। আপনাকে ট্রেনে যেতে হলে অবশ্যই ট্রেন ছাড়ার ৩০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে উপস্থিত থাকতে হবে। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বুকিং করা হয়। যেহেতু, ঢাকা থেকে খুলনা রেলপথে দুটি ট্রেন যাতায়াত করে তাই ট্রেন দুটি বিভিন্ন সময় ঢাকা রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব হিসেব অনুযায়ী, রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ৪০৪ কিলোমিটার। অবশ্য সড়কপথে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব এর চেয়ে অনেক কম, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন অনুসারে সেটি মাত্র ২৭১ কিলোমিটার। রেল লাইন এঁকেবেঁকে গিয়েছে, যত বেশি সম্ভব জেলাকে পরস্পর যুক্ত করতে গিয়ে ডানে-বাঁয়ে মোড় নিয়েছে—সে কারণেই রেল ও সড়কের মধ্যকার দূরত্বে এত পার্থক্য। তবে ট্রেনের টিকেটের দাম বাসের ভাড়ার চেয়ে অনেক কম।

ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী

বাংলাদেশ অন্যতম আন্তঃনগর ট্রেন হল সুন্দরবন এক্সপ্রেস। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে ৭২৬ নম্বর ট্রেন। এই ট্রেনটি দ্রুতগতিসম্পন্ন একটি ট্রেন যার মধ্যে সুবর্ণ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে যাতায়াত করলে আপনাকে সুন্দর ভ্রমণের আনন্দ ও সন্তুষ্টি দিতে পারবে। ট্রেনের চলাচলের জন্য নিদৃষ্ট সময় থাকে, আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময়ে টিকিট বুকিং করতে হবে।

ট্রেন নং
ট্রেনের নাম
ছাড়ায় সময়
পৌছানোর সময় 
ছুটির দিন
৬২৬সুন্দরবন এক্সপ্রেস
সকাল০৮ঃ১৫মিনিটবিকাল ০৫:৪০মিনিটবুধবার
৭৬৪চিত্রা এক্সপ্রেসসন্ধ্যা ৭টা
ভোররাত ৩টা ১০ মিনিট
সোমবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেন

ঢাকা থেকে খুলনা রুটে দু’টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ট্রেনগুলো দেশের এই দুই বৃহত্তম শহরের মধ্যে ভ্রমণকারী যাত্রীদের বড় একটি অংশকে বহন করে। উল্টোপথে, খুলনা থেকে যারা ঢাকায় যান তাদেরও অনেকে বেছে নেন ট্রেন ভ্রমণ।

ব্যস্ত ওই দু’টি ট্রেন হলো: সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসঃ

সুন্দরবন এক্সপ্রেস বাংলাদেশের অন্যতম আরামদায়ক আন্তঃনগর ট্রেন। এটি রেলওয়ের ৭২৬ নম্বর ট্রেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগতির ট্রেন যার মধ্যে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস আপনার ভ্রমণকে শান্তিপূর্ণ এবং সন্তুষ্ট করতে পারে। ২০০৩ সালে ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়। 

সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিম্নলিখিত ২০টি স্টেশনে বিরতি নেয়: দৌলতপুর, নয়াপাড়া, যশোর জংশন, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী জংশন, চাটমোহর, বড়াল ব্রিজ, উল্লাপাড়া, জামতৈল জংশন, এম মনসুর আলি, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, মৌচাক এবং জয়দেবপুর জংশন এবং ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন।

চিত্রা এক্সপ্রেসঃ

চিত্রা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার আরও একটি সূক্ষ্ম আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনটি কেবল ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনা রুটে পাওয়া যায়। সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং চিত্রা এক্সপ্রেসের মধ্যে বড় কোনও পার্থক্য নেই। ট্রেনটিতে মোট ১২টি বগিতে ৮৮১টি আসন রয়েছে। এসি কেবিন এবং এসি চেয়ার সহ সমস্ত আধুনিক সুবিধাই রয়েছে চিত্রা এক্সপ্রেসে। এতে বিশেষ উপলক্ষে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়, যেমন দুই ঈদ।

চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পূর্বোক্ত সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সাবস্টেশনগুলিতে বিরতি নেয়।

ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া

ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের টিকিটের মূল্য (ভাড়া):

ঢাকা থেকে খুলনা রেল পথে বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেনের ভিতরে বিভিন্ন আসন ব্যবস্থা রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন আসনের জন্য প্রতিটি আসন ব্যবস্থা বিভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনি আপনার যাতায়াতের প্রয়োজনে পছন্দ অনুযায়ী আসুন বুকিং করতে পারেন। টিকিটের মূল্য প্রতিটি আসন অনুযায়ী স্বল্প থেকে ব্যয় বহুল রয়েছে।

আপনি চাইলে কম টাকায় কিংবা ভালো আসন পেতে বেশি টাকায় টিকিট বুকিং করতে পারেন। ঢাকা থেকে খুলনা রেলপথে ট্রেনের সাধারণ টিকিটের মূল্য ৩৯০ টাকা। ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের প্রতিটি আসনের টিকিটের সঠিক মূল্য নিচে দেওয়া হল-

আসন বিভাগ
টিকিটের মূল্য
শোভন
৩৯০ টাকা
শোভন চেয়ার
৪৬৫টাকা
প্রথম আসন
৬২০ টাকা
প্রথম বার্থ
৯৩০টাকা
স্নিগ্ধা
৮৯১ টাকা
এসি১০৭০টাকা
এসি বার্থ
১৫৯৯টাকা

ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের অনলাইন টিকেট বুকিং

ট্রেনে ভ্রমণ করতে টিকেট লাগে, আর এতদিন সেই টিকেট বুকিংয়ের একমাত্র উপায় ছিল রেলস্টেশনে সরাসরি হাজির হওয়া। তবে এখন আর এটা অপরিহার্য নয়। কেননা ট্রেনের টিকেট কেনার প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড হয়েছে। তাই এখন আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ঢাকা থেকে খুলনা কিংবা অন্য যে-কোনো গন্তব্যের ট্রেন টিকেট কিনতে পারেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদের ই-সেবা ওয়েবসাইট (Esheba) ও রেল সেবা (Rail Sheba) মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজে ট্রেনের টিকেট বুকিংয়ের সুবিধা চালু করেছে।

অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম

ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। 

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।

সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।

ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।

Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।

টিকিট কাটার প্রক্রিয়া

রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।

পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।

পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।

এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।

নরমলোমি মেঠো ইদুর-Soft-furred rat
হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালী-Hodgson's giant flying squirrel
বাংলাদেশে পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন সময়সূচী-New schedule of Ekta Express train
ঢাকা টু দুবাই বিমান ভাড়া ২০২৩-Air fares from Dhaka to Dubai
ধূসর নেকড়ে-Tundra Wolf
পাংখো উপজাতির পরিচিতি - Introduction to Pangkho tribe
কোচ উপজাতির পরিচিতি - Introduction to the Koch tribe
মণিপুরী উপজাতির পরিচিতি - Introduction to Manipuri tribe
এনজিও তালিকা খুলনা - List of NGOs Khulna