বাংলাদেশে পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
The best clothing brands

বাংলাদেশে পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ

বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েকটি নামী ফ্যাশন ব্র্যান্ড রয়েছে এবং এটি চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। পোশাকের চাহিদা বাংলাদেশের বরাবরের মতোই অন্যতম। বেশিরভাগ বাংলাদেশীরা এখন নিজেদের পরিধানের পোশাকের ডিজাইন ও গুনাগুত মান নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। আর এই চাহিদা পূরন করার জন্য বাংলাদেশের অনেক ডিজাইনার ব্যাক্তিগতভাবে নিজস্ব বুটিক,ফ্যাশন হাউস প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে এসব ফ্যাশন হাউসগুলোতে পোশাক তৈরির সাথে নিত্যনতুন ফ্যাশন এর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানসম্মত এবং অভিজাত পোশাক তৈরী হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক ডিজাইন এবং গুনগুন মান ইত্যাদি বিষয়গুলো সামনে রেখে কিছু ফ্যাশন হাউস প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যা এখন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড।

বাংলাদেশী ফ্যাশন ব্র্যান্ড শীর্ষক আর্টিকেল এর আজকের এই প্রথম পর্বে বাংলাদেশ এর শীর্ষ স্থানীয় ৪ টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ং, ক্যাটস আই, ইয়েলো এবং রিচম্যান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

১,AARONG (আড়ং)

আড়ং বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড।এটি অলাভজনক মালিকানাধীন উন্নয়ন সংস্থা ব্রাক -এর একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালে আড়ং এর যাত্রা শুরু হয় যার প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং মার্থা চ্যান।

১৯৭৬ সালের দিকে দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীন নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্পের পন্য দেশে তৈরি হত। যা বিক্রয় করা হত স্বল্প মূল্যে এবং কখনো কখনো কারিগররা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হতেন।সেই প্রেক্ষাপট কে বিবেচনা করেই দারিদ্র্য বিমোচন, নারীদের কর্মসংস্থান এবং দেশের হস্তশিল্প ও কারুশিল্প কে বাচিয়ে রাখতে আড়ং এখন সর্বদা কাজ করে চলছে।

আড়ং এর পন্য তৈরির সবচেয়ে আর্কষনীয় ব্যাপারটি হলো যে আড়ংয়ের পন্যগুলো একটি বা দুটি বড় কারখানায় তৈরি হয় না।বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তৈরি হয়।আবার পোশাকের ধরনের ওপর নির্ভর করে নরসিংদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আড়ং এর পন্য তৈরি হয়।

আড়ং এর পন্য গুলো হলঃ

• সালোয়ার কামিজ

• কুর্তি

• পাঞ্জাবি

• শার্ট

• গহনা

• গৃহস্থলী সামগ্রী

• শাড়ি

• স্কার্ফ

• ফতুয়া

• ব্যাগ

• হস্তশিল্প

• নকশিকাঁথা ইত্যাদি

বর্তমানে ঢাকা,চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের ৮ টি শহরে মোট ২১ টি শাখা রয়েছে। আড়ং একটি স্বাধীন সমবায় প্রতিষ্ঠান।দেশীয় পন্য তৈরির পাশাপাশি কাপড়ের গুনাগুন নিশ্চিতে আড়ং আজ সকলের পছন্দের শীর্ষে!!

ঠিকানা:- আড়ং সেন্টার ৩৪৬, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ঢাকা – ১২০৮

ফোন :- ৮৮০২৮৮৯১৪০৪

ওয়েবসাইট: https://www.aarong.com/

২.CAT’S EYE (ক্যাটস আই)

ক্যাটস আই বাংলাদেশের অন্যতম একটি ফ্যাশন হাউস।এটি অনন্য এবং ট্রেন্ড সেটিং ফ্যাশনের জন্য জনপ্রিয়। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সিদ্দিকি রুমি এবং আসরাফুল সিদ্দিকির হাত ধরে হাউসটির পথচলা শুরু।

প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে সিদ্দিকি রুমি ও আসরাফুল সিদ্দিকি নিজেরাই পছন্দনীয় ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে শার্ট বিক্রয় দিয়ে শুরু করেন।ধীরে ধীরে কাপড়ের গুনাগত মান,সাশ্রয়ী মূল্য, এবং যুগাপোযোগী ডিজাইন অল্পসময়ের মধ্যেই ক্রেতা দের নজর কাঁড়ে।যার দরুন ক্যাটস আই আজ দেশের শীর্ষব্র্যান্ড গুলোর একটি।

পোশাক তৈরিতে ম্যানসওয়্যার কে ক্যাটস আই প্রধানত প্রাধান্যদিয়ে থাকলেও বর্তমানে নারীদের পোশাকেও এগিয়ে রয়েছে।

ক্যাটস আই এর পণ্যগুলো হলোঃ

• জিন্স

• স্যুট

• পাঞ্জাবি

• কার্গো প্যান্ট

• সালোয়ার কামিজ

• কুর্তি

• পালাজো প্যান্টস

• টুপি

• জুয়েলারি

• ব্যাগ

• ল্যাগেজ

• স্যু ইত্যাদি

ক্যাটস আই এর পোশাক তৈরিতে জর্জেট,লিলেন,কটন,সিফন ইত্যাদি ফ্যাব্রিক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে।বর্তমানে দেশে এর ৩৫ টিরও বেশি শাখা বিদ্যমান।পুরোপুরি ম্যানসওয়্যার দিয়ে শুরু করে এবং এখনো মূলত ম্যানসওয়্যার ব্র্যান্ডের জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করার কারনে পুরুষদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ক্যাটস আই। অসংখ্য কালেকশন এবং যুক্তিসঙ্গত দামের মধ্যে পুরুষেরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নিজের পোশাক নির্বাচনের সহজেই বেছে নিতে পারেন ক্যাটস আই ব্র্যান্ডটিকে।

ঠিকানা:- Shop No: 1,2,3,4; 12,13,14, Level- 2, Bashundhara City, Block- D, Dhaka, 1205.

ফোন :- +880 1799000444, +880 1732287393

ওয়েবসাইট:  https://catseye.com.bd/

৩.YELLOW (ইয়েলো)

ইয়েলো বাংলাদেশের ট্রেন্ডেস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড।এটি একটি অন্যতম বৃহৎ পোশাক ফ্যাশন ব্র্যান্ড যা ২০০৪ সালে জনাব সালমান এফ রহমান – এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ছিল। এটি বেক্সিমকো টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির একটি শাখা প্রতিষ্ঠান।

এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি পাঞ্জাবী এবং পুরুষদের শার্টের অনন্য সংগ্রহের জন্য বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। অনন্য ডিজাইন এবং আধুনিক ফ্যাশন প্রবণতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে এটির। পুরানো গ্রাহকদের সর্বদা আকৃষ্ট রাখতে এটি গুনগুন মান বজায় রেখে চলেছে এবং নিত্যনতুন ডিজাইনের পন্য নিয়ে আসছে।এখানে সমস্ত পণ্য বিদেশী এবং স্থানীয় ডিজাইনারদের দ্বারা নকশা করা হয়।

ইয়েলো এর উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হলঃ

• ওমেন’স টপ’স

• ফরমাল ল’ন

• সালোয়ার কামিজ

• কুর্তি

• ওমেন’স ফ্রক

• জ্যাকেট’স

• স্যুয়েটার

• ক্যজুয়াল প্যান্ট

• ফরমাল শার্ট

• ব্লেজার

• কাবলি

• ফরমাল কোটি

বর্তমানে দেশে ইয়েলো এর ১৫ টির বেশি শাখা রয়েছে এবং তার পাশাপাশি দেশের বাইরে পাকিস্তান (৪ টি),দুবাই,দক্ষিন কোরিয়া,নিউইয়র্ক ও কানাডায় এর আউটলেট রয়েছে!

ইয়েলো নামটি নিজেই এখন বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র পোশাক ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ব্র্যান্ডটি বিপণনের ক্ষেত্রে কিছু অভিনব কৌশল অনুসরন করে যা তাদের গ্রাহকদের মনে ব্র্যান্ডটির প্রতি ইতিবাচক প্রতিচ্ছবি তৈরি করে।আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইন ও কাপড়ের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পোশাকপ্রেমিদের মনে।

ঠিকানা :- Shop- 250, Shezan Point, 2 Indira Road, Farmgate, ঢাকা 1215

ফোন :- ৮৮০১৭৫৪৪৫৫৫৩৩

ওয়েবসাইট:  https://yellowclothing.net/

৪.ECSTASY (এক্সটেসি)

১৯৯৭ সালে তানজিম আশরাফুল এর হাত ধরে একক স্টোর থেকে শুরুর কম সময়ের মধ্যেই এক্সট্যাসি দ্রুত দেশের অন্যতম বৃহৎ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তে জায়গা করে নিয়েছে।এক্সট্যাসি লাইফস্টাইল স্টোরটি তাদের গ্রাহকের জন্য আধুনিক মানের একচেটিয়া এবং ট্রেন্ডি অন্যদ্রব্য সরবরাহ করে থাকে।এক্সটেসি সাশ্রয়ী মূল্যে সমসাময়িক মানের ফ্যাশন পন্য সরবরাহ করে যা এক্সটেসিকে দেশের বৃহতম স্টোর এবং সর্বাধিক মাল্টি ব্র‍্যান্ডের আউটলেট হিসেবে পরিণত করেছে।বর্তমানে এক্সটেসির ঢাকার বিভিন্ন জায়গা সহ মোট ২০ টি শৌরুম রয়েছে।

এক্সটেসি সরবরাহকৃত পণ্যগুলো হলোঃ

• জিন্স

• ফরমাল শার্ট

• টি-শার্ট

• ফরমাল শার্ট

• ওমেন্স টপস

• সালোয়ার কামিজ

• ফতুয়া

• কুর্তি

• স্কার্ফ

• কিডস ওয়্যার

• ফুট ওয়্যার

• ব্যাগ

• হস্তশিল্প পন্য

• পারফিউম

• জুয়েলারি ইত্যাদি

ঠিকানা :- H-92, Flat-5a, R-23, Block-A ,Banani, Dhaka-1213

ফোন :- +8801958237701

ওয়েবসাইট: http://ecstasybd.com

৫.RICH MAN (রিচম্যান)

রিচম্যান বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড। এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা করেছেন জনাব মোহাম্মদ জুনায়েদ। পুরুষের পোশাকের প্রতি যন্তশীল মনোভাব নিয়ে রিচম্যান প্রতিনিয়তই নতুন ও আধুনিক ডিজাইন পোশাক তৈরি করে চলছে।

বসুন্ধরা সিটি শপিং মার্কেটে একটি শাখা থেকে ব্র্যান্ডটি ফ্যাশন এবং ক্যাজুয়াল ম্যানসওয়্যার দিয়ে যাত্রা শুরু। সাশ্রয়ী মূল্য,ট্রেন্ডি ডিজাইন, অন্যতম মানের পন্য,গ্রাহকদের সাথে সুলভ ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ব্র্যান্ডটিকে দিনে দিনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।ফলে অতি দ্রুতই দেশের অন্যান্য জায়গায় বিস্তার লাভ করেছে।

রিচম্যান ব্র্যান্ডটির উলেখযোগ্য পন্যঃ

• শার্ট

• পোলো শার্ট

• ফরমাল প্যান্টস

• ক্যাজুয়াল প্যান্টস

• টি-শার্ট

• পাঞ্জাবি

• ডেনিম প্যান্টস

• ব্লেজার

• ওয়্যাচ

• ওয়ালেট

• স্টাইলিশ কো-টি

সাধারণত পুরুষদের প্রায়ই তাদের ফ্যাশন নিয়ে উদাসীন হতে হয় এবং যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য সঠিক পোশাক নির্বাচন কঠিন হয়ে পরে এইক্ষেত্রে রিচম্যান ফ্যাশন বিভিন্ন রং,ফ্যাব্রিকস,ডিজাইন সংগ্রহ নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকে।আর এভাবেই প্রথাগত এবং ট্রেন্ডিং পোশাক চয়েজের জন্য সহজেই বেছে নেওয়া যেতে পারে রিচম্যান ব্র্যান্ডটিকে।

ঠিকানা :- হোম স্টেড লিংক টাওয়ার, টিএ-৯৯, গুলশান ১২ তলা, ঢাকা – ১২১২

ফোন :- +৮৮০২৯৮৪১৫০৪, +৮৮০২৯৮৬০৬১৪

ওয়েবসাইট:  https://www.richman.com.bd/

৬. Rang Bangladesh (রং বাংলাদেশ)

১৯৯৪ সালে রং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের মাঝে বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ। রং বাংলাদেশ ছেলে এবং মেয়েদের ফ্যাশন নিয়ে কাজ করে।। চার জন বন্ধু মিলে পরিচিতদের গায়ে হলুদ,বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করেন এই রঙ।প্রথমে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় শান্তনা মার্কেটে ছোট্ট পরিসরে ‘রঙ’ এর সূচনা হয়েছিল।সেই সময় ‘রঙ’ মানেই ছিলো “নারায়ণগঞ্জের রঙ”।মূলত তখন ‘রঙ’ এর শাড়ির জনপ্রিয়তা ছিলো ব্যাপক।রঙ এর শাড়ি পেতে হলেই গ্রাহকদের চলে যেতে হত নারায়ণগঞ্জে।এভাবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার চাহিদা অনুযায়ী ‘রঙ’ এর শাখা ঢাকা,চট্টগ্রাম, সিলেট সহ বিভিন্ন জেলায় বিস্তার লাভ করেছে। পরবর্তীতে কালক্রমে রঙ দ্বিবিভক্ত হয়, যার একটি হলো “রঙ বাংলাদেশ”।”রঙ বাংলাদেশ” এর প্রতিষ্ঠাতা সৌমিক দাস।

রঙ ব্র্যান্ডটির মাদার ব্রান্ড হল রঙ বাংলাদেশ।রঙ বাংলাদেশের কিছু সাব ব্র্যান্ড রয়েছে যেমন ওয়েস্ট রঙ, শ্রদ্ধাঞ্জলি,আমার বাংলাদেশ। গ্রাহকদের পছন্দসই পোশাকের চাহিদা মেটাতে এই সাব ব্র্যান্ড গুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

রঙ বাংলাদেশ এর পণ্যগুলো হলোঃ

◾শাড়ি

◾সালোয়ার কামিজ

◾পাঞ্জাবি

◾টি-শার্ট

◾ফতুয়া

◾কুর্তা

◾টপস

◾পাজামা

◾ঘর সাজানোর পন্য

◾শো-পিচ

◾নকশি কাঁথা

◾হস্তশিল্প

রঙ ব্র্যান্ডটির ঢাকা,কুমিল্লা ও ফতুলায় সহ বিভিন্ন স্থানে ৭ টি আউটলেট রয়েছে।

ঠিকানা :-  Shoilo Nibas Hossain Ahmed Road Block 2, Police Line, নারায়নগঞ্জ

ফোন :- +৮৮০১৭৭৭৭৪৪৩৪, +৮৮০১৯৮৪৮৮৮৪৪৪

ওয়েবসাইট: https://rang-bd.com/

৭.Anjan’s (অঞ্জনস )

অঞ্জনস বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড,যা দেশীয় পোশাকের বিশাল বাজার তৈরির লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। গুনগত পণ্য, ডিজাইন এবং সর্বোপরি গ্রাহক পরিষেবার উপরে গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে পোশাক শিল্পে শীর্ষ জায়গা করে নিয়েছে।

অঞ্জনের বিপুল পোশাক চাহিদার অন্যতম কারণ টি হলো ড্রেস ডিজাইনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতি বরাবরই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে বিশেষত হ্যান্ডলুম এবং স্থানীয় টেক্সটাইল মিলে তৈরী হয়ে থাকে অঞ্জনস এর পোষাকগুলো। অঞ্জনের পোশাক সকল পরিবারের সদস্যদের জন্য অর্থাৎ সমস্ত বয়সের জন্য।এছাড়াও পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে হোম টেক্সটাইল, জুয়েলারী, পাটের জিনিস, চামড়ার পণ্য এবং বিভিন্ন হস্তশিল্প।

অঞ্জনের পন্যঃ

◾শাড়ি

◾সালোয়ার কামিজ

◾ফতুয়া

◾কুর্তি

◾শার্ট

◾পাঞ্জাবী

◾কিডস ওয়্যার

◾পাটের তৈরি পন্য

◾জুয়েলারি

◾হস্তশিল্প

◾হোমটেক্স

ঢাকায় ১২ টি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২ টি সহ সারা দেশ জুড়ে অঞ্জনের মোট ২৩ টি শাখা রয়েছে।

ঠিকানা :- 34/B Malibagh Chowdhury Para Khan Villa, Dhaka – 1219, Bangladesh.

ফোন :- +8802-48315903, +8802-48320119,+8802-58317754

ওয়েবসাইট: https://www.anjans.com/

৮.KAY KRAFT (কে-ক্রাফট)

ফ্যাশন সচেতন তরুন-তরুনী যারা বিশেষত ঐতিহ্যবাহী দেশীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে কে-ক্রাফট মূলত তাদের জন্য পন্য বানিয়ে থাকে।১৯৯৩ সালে সালে খালিদ মাহমুদ এবং তার স্ত্রী শাহানাজ খান একটি বুটিক হাউস মাধ্যমে শুরু করেন যা বর্তমানে একটি ট্রেন্ডি ব্র্যান্ড এ রূপ নিয়েছে।

কে-ক্রাফট একটি ফ্যাশন ডিজাইন হাউস যা বাংলাদেশের ফ্যাশন পরিধান,ফ্যাশন আনুষঙ্গিক হোম টেক্সটাইল, হস্তশিল্প এবং তাঁত ভিত্তিক পন্যগুলোকে নিতে কাজ করে।ফলে তরুন প্রজন্ম,উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং শিক্ষার্থীদের কাছে ব্র‍্যান্ডটি অধিক জনপ্রিয়।

কে-ক্রাফট পোশাক তৈরিতে কটন, সিল্ক সহ সকল ভালো মানের ফাইবার ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ফ্যাব্রিকের ধরন ভেদে প্রধান তাঁত শিল্প এলাকা গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।এছাড়াও কাপড়ের বিভিন্ন শেড এবং বিশেষ স্কিমগুলোতে সমস্ত মৌলিক রঙ ব্যবহার করা হয়।

কে ক্রাফট এর উল্লেখযোগ্য পোশাক গুলো হলোঃ

• লং পাঞ্জাবি 

• শর্ট পাঞ্জাবি 

• ফতুয়া 

• ফরমাল শার্ট

• শাড়ি

• কুর্তি

• টপস

• স্কার্ট

• কিডস ওয়্যার

• সালোয়ার কামিজ

• হস্তশিল্প 

• হোম টেক্সটাইল 

ঠিকানা :-  House -1/A, Road-13 (New), Mirpur road, Dhanmondi R/A, Dhaka 1205,Bangladesh.

ফোন :-+৮৮০২৯৮৭২৪২৭

ওয়েবসাইট: https://www.kaykraft.com/

৯.DORJIBARI (দর্জি বাড়ি)

২০০৩ সালে ‘হেজাল’ নামে ‘যাত্রা শুরু করে যা ২০০৭ সালে নাম হয় ‘দর্জি বাড়ি’ নামে।ব্র‍্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা মো. ফজলুর রহমান। কাপড়ের গুনাগুনগত মান এবং নেতৃত্বকে লালন করার প্রয়াসে পোশাক বাজারে খুব কম সময়ের মধ্যে ব্র‍্যান্ডটির চাহিদা বেড়ে যায়।তাই পরবর্তীতে ‘দর্জি বাড়ি’ নামে নিজেদের আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের শীর্ষ টেক্সটাইল মেজর ব্র‍্যান্ড হিসেবে রুপান্তরিত হয়।

‘দর্জিবাড়ি’ পূর্ব ও পশ্চিমা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন ট্রেন্ড স্থাপন করে।নানান বয়স, গোষ্ঠী, অনুষ্ঠান এবং স্টাইল জুড়ে গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন পন্য ও বৈচিত্র তৈরি করে চলেছে।

দর্জিবাড়ি এর এক্সক্লুসিভ পন্যঃ

• ফরমাল শার্ট

• ক্যাজুয়াল শার্ট

• টি-শার্ট

• পোলো শার্ট

• কামিজ

• টপস

• ফতুয়া

• কুর্তা

• জিন্স

• ডেনিম ফরমাল

• কোটি

• ব্লেজার

• স্যুট

• জ্যাকেট

• হস্তশিল্প ইত্যাদি

দর্জিবাড়ি তাদের গ্রাহক সম্পর্কে সর্বদা সতর্ক এবং সচেতন।তারা তাদের গ্রাহকদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমে সকল প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। এমনকি তাদের নিজস্ব পন্য সম্পর্কে গ্রাহকদের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহন করে নিজেদের পোশাক শিল্পে নতুন পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করে।ব্র‍্যান্ডটির বিশ্বাস, গ্রাহকদের যথেষ্ট সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো যথাযথ পূরন করে ক্রমশই আরও শীর্ষ স্থানে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।

ব্র‍্যান্ডটি কাপড়ের গুনগতমান ও পরিসেবা নিশ্চিত করণের বিষয়টি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখে।যুবক ও কিশোরদের পছন্দের চাহিদা কে লক্ষ্য করে টেক্সটাইল সরবরাহের জন্য ‘দর্জিবাড়ি’ একটি জনপ্রিয় জায়গা দখল করে নিয়েছে।আর এভাবেই পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ মান ধরে রেখে হয়ে ওঠেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্র‍্যান্ড এর একটি।

ঠিকানা :- Ambia Tower (5th Floor), 4/1m Simson Road, Sadarghat, ,Dhaka -1100

ফোন :- 01708-449677

ওয়েবসাইট: https://dorjibari.com.bd/?SID=bd9a8d8460edd5a1fbd00173102b9602

১০.LE REVE (লা’রিভ)

শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি আধুনিক ফ্যাশন ব্র‍্যান্ড গুলোর একটি লা’রিভ।বলা হয়, ‘Le reve is fashion for every one,for every occasion!” পুরুষ, নারী এবং শিশুদের পোশাক তৈরির ফ্যাশন নিয়ে লারিভ প্রতিনিয়তই কাজ করে চলছে। লা’রিভ হলো, রিভ(Reve) টেক্সটাইল লিমিটেড এর একটি অংশ। ২০০৯ সালে একটি স্টোর উদ্ভাবনের মধ্যে দিয়ে লারিভ এর যাত্রা শুরু।

বিশ্বের সমসাময়িক ফ্যাশন ট্রেন্ড এর প্রতি লক্ষ্য রেখে লা’রিভ বিভিন্ন স্টাইল এবং কালারের সমন্বয়ে রুচিসম্মত ফর্মাল পোশাক, ক্যাসুয়াল পোশাক, ইডজি জিন্স এবং বিভিন্ন এক্সেসোরিস বিক্রয় করে থাকে।

লা’রিভ এর পন্যগুলো

• সালোয়ার কামিজ

• ঘাগড়া চোলি

• টপস

• ফ্রক

• শাড়ি

• কামিজ

• পালাজো

• সারং/লুঙ্গি

• পাঞ্জাবি

• কাবলি

• পোলো

• ট্রাওজারস

• টি-শার্ট

• শর্টস

• জুতা

• ব্যাগ

• জিন্স

• পাজামা

• প্যান্টস ইত্যাদি

লা’রিভ এর সারা দেশে ঢাকা,সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা সহ মোট ১৭ টা আউটলেট রয়েছে।যার প্রত্যেকটিতে গ্রাহকদের সর্বাধিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা হয়।

গ্রাহকরা যাতে স্বাচ্ছন্দভাবে কেনাকাটা করতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে পর্যবেক্ষন করা হয়।তাদের নিরন্তর প্রয়াস, আধুনিক পরিবেশ, গ্রাহক সেবা এবং স্পষ্টতই ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন সমৃদ্ধ পন্য তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজ সহ সকল স্তরের গ্রাহকদের খুব সহজেই নজর কেড়ে নিয়েছে লা’রিভ।

মার্বেল বিড়াল-Marbled cat
বন বিড়াল-Jungle Cat
এশীয় সোনালী বিড়াল-Asian golden cat
বঙ্গবন্ধু-প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের সেরা ১০ ব্যাংক-Top 10 Best Banks in Bangladesh
উল্লুক-Hoolock gibbon
মেছো বাঘ-Fishing cat
ঢাকার কোথায় কম দামে ভালো শপিং করা যাবে? - Where in Dhaka can you do good shopping at low prices?
কুকি উপজাতির পরিচিতি - Introduction to the Kuki tribe
মাল পাহাড়ি উপজাতির পরিচিতি - Introduction to Malpahari tribe