
বাংলাদেশের সেরা ৫ টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান
Top 5 Mobile Banking Institutions in Bangladesh
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে তবে এর মধ্যে কিছু ব্যাংক বেশ ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। আমরা যখন আমাদের পরিবার, বাবা-মা, বন্ধু বান্ধব, এক্স গার্লফ্রেন্ড বা বিজনেস পার্টনার এর সাথে টাকা আদান প্রদান করতে চাই তখন আমাদের মাথায় সাবার আগে বিকাশ বা রকেট বা নগদ এর নাম চলে আসে। বিকাশ, নগদ, রকেট পপুলার হলেও এগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে বেশকিছু ট্রাস্টেড মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যাঙ্ক হিসাববিহীন ব্যক্তিদের আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চালু করা হয়েছিল।[২][৩] গ্রাহকরা *২৪৭ # ডায়াল করে এবং বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ অর্থ জমা করা, নগদ অর্থ উত্তোলন করা, টাকা পাঠানো, টাকা যোগ করা, রেমিট্যান্স, মোবাইল রিচার্জ, মূল্য প্রদান ও বিল দেয়া ইত্যাদি সেবাগুলো নিতে পারেন।[৪] বিকাশ হিসাব খুলতে একজন গ্রাহককে পুর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে নির্ধারিত গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম (কেওয়াইসি) পূরণ করতে হয়।
বিকাশ আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসি এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগ হিসাবে ২০১১ সালে শুরু হয়েছিল। এপ্রিল ২০১৩-তে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) বিকাশের নায্য অংশীদার হয় এবং মার্চ ২০১৪-এ বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এর বিনিয়োগকারী হয়।[৫] এপ্রিল ২০১৮ সালে চীনের আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গসংস্থা আলিপে’র আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ্যান্ট ফিনান্সিয়াল বিকাশের ইক্যুইটি অংশীদার হয়।[৬] বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের অংশিদার হিসাবে কাজ করে এবং অন্যান্য ব্যাংক এবং অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করে।[৭][৮]
ফরচুন ম্যাগাজিন ২০১৭ সালে তাদের "চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড" তালিকার শীর্ষ ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশকে ২৩ তম স্থানে রেখেছে।[৯] এশিয়ামানি পত্রিকাটি বিকাশকে ২০১৮- এর সেরা ডিজিটাল ব্যাংক হিসাবে ঘোষণা করেছে,[১০] এবং ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস এটিকে ২০১৭ সালে এশিয়ার সেরা কর্মী হিসেবে ঘোষণা করেছে।[১১] বিকাশকে সমস্ত ব্র্যান্ডের পাশাপাশি এমএফএস ব্র্যান্ডের বিভাগের মধ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম "সেরা ব্র্যান্ড পুরস্কার ২০১৯"-এ ভূষিত করেছে।[
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের সহায়ক সংস্থা হিসাবে বিকাশ বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবা দানের মাধ্যমে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) বিকাশের ইক্যুইটি পার্টনার হয়ে ওঠে, এরপরে আসে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ওয়েবসাইট: www.bkash.com/bn
Rocket – ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এটি এম. সাহাবুদ্দিন আহমদ (বাংলাদেশ) এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ডাচ্ ফিনান্সিং সংস্থা নামক নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পায়। এটি ব্যাংকিং সেবা দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ দ্বারা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত হয়। ডিবিবিএল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ৩ জুন, ১৯৯৬ সালে। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ ২০০৪ সালে নিবন্ধিত।
ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং "ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক" চালু করে ৩১ মার্চ ২০১১ সালে। যেটি বর্তমানে রকেট নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ’বিকাশ’ এবং ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংক 'রকেট'। রকেটের গ্রাহক ২ কোটি ৪০ লাখ
ওয়েবসাইট: www.dutchbanglabank.com
Nagad – বাংলাদেশ ডাক বিভাগ
নগদ বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা যা একটি অর্থ আদান-প্রদানের পরিষেবা। এটি থ্রার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত। এটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পূর্বে চালুকৃত পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএমটিএস)-এর নতুন সংস্করণ।
নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে একজন গ্রাহক দেশের যে কোনো স্থান থেকে নিজের মোবাইলে অর্থ জমা, উত্তোলন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তর সহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ করতে পারেন। নগদ-এর সদর দফতর ঢাকার বনানী এলাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে অবস্থিত।
Nagad, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর একটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ নগদে, প্রতি হাজারে মাত্র ৯.৯৯ টাকা। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর এই আর্থিক লেন দেন সার্ভিস নগদ যাত্রা শুরু করে। নগদে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি পেমেন্ট, অনলাইন মোবাইল রিচার্জ, ফরেইন রেমিটেন্স, এটিএম মানি উইথড্রো এর মত ফিচার গুলা রয়েছে। এন্ড্রোয়েড ও আইওএস ইউজারদের জন্য রয়েছে নগদ এপ। এছাড়াও নগদ এর ইউএসএসডি কোড *১৬৭# ডায়াল করে আপনি নগদ এর সকল সুবিধা উপোভোগ করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট: https://nagad.com.bd
mCash – ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
"ইসলামী ব্যাংক এমক্যাশ", ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, যা গন-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্য- "ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আয়তায় আনা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি" পূরণের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি আর্থিক সেবা মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে।
mCash ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস। mCash এর মাধ্যমে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, অনলাইন মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট সহ ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা যাবে। এই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস টি বিকাশ, নগদ ও রকেট এর মত নিরাপদ।
ওয়েবসাইট: http://mcash.islamibankbd.com/
upay – ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
upay, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড এর মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস। উপায় এ থাকছে অত্যাধুনিক ব্লক চেইন ও টু ফেক্টর অথান্টিকেশন এর মত সিকিউরিটি সিস্টেম। সেরা ৫ টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, উপায় বাংলাদেশের একমাত্র মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান যেখানে এপ এবং ইউএসএসডি তে ক্যাশ আউট চার্জ একই। উপায় এর মাধ্যমে আপনি সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, বিল পে সহ সকল অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারবেন। এছাড়াও উপায়ে থাকছে জাকাত ক্যালকুলেটর। এন্ড্রোয়েড ও আইওএস ইউজারদের জন্য রয়েছে উপায় এপ। উপায় এর ইউএসএসডি কোড *২৬৮# ডায়াল করে আপনি উপায় এর সকল সুবিধা উপোভোগ করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট: http://cutt.ly/upay