চিত্রা ডলফিন-Pantropical spotted dolphin
চিত্রা ডলফিন হল বিশ্বের সমস্ত নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় মহাসাগরে পাওয়া ডলফিনের একটি প্রজাতি। চিত্রা ডলফিন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত 'সোয়াচ-অব নো-গ্রাউ' নামক গভীর গিরিখাতে বাস করে।
ইংরেজি নাম: Pantropical spotted dolphin
বৈজ্ঞানিক নাম: Stenella attenuata
বর্ণনাঃ
ডলফিন একটি মোটামুটি সরু, সুবিন্যস্ত প্রাণী, যার শরীরে গাঢ় কেপ এবং হালকা দাগ থাকে যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে সংখ্যা এবং আকারে বৃদ্ধি পায়। এই প্রজাতির একটি লম্বা, পাতলা চঞ্চু এবং একটি ফ্যালকেট পৃষ্ঠীয় পাখনা রয়েছে, যা ডলফিনের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা। উপরের এবং নীচের চোয়াল গাঢ় রঙের, কিন্তু পাতলা, সাদা "ঠোঁট" দ্বারা পৃথক করা হয়। চিবুক, গলা এবং পেট সীমিত সংখ্যক দাগ সহ সাদা থেকে ফ্যাকাশে ধূসর। নীচের দিকে সবচেয়ে হালকা,ধূসর মাঝখানে এবং একটি গাঢ়-ধূসর পিঠ রয়েছে।
পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, ডলফিনকে প্রায়ই ইয়েলোফিন টুনা মাছের সাথে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। তবে তারা সেই মাছ খায় না। জন্মের সময় এর দৈর্ঘ্য ৮০-৯০ সেমি। প্রাপ্তবয়স্কদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৫ মিটার এবং ওজন ১১০ থেকে ১৪০ কেজি। যৌন পরিপক্কতা মহিলাদের মধ্যে ১০ বছর এবং পুরুষদের মধ্যে ১২ বছরে পৌঁছে। গড় জীবনকাল প্রায় ৪০ বছর।
খাদ্য তালিকাঃ
মাছই ডলফিনের প্রধান খাবার। পশ্চিম ভারত মহাসাগরের মতো কিছু অঞ্চলে উড়ন্ত মাছ গুরুত্বপূর্ণ শিকার।
বিস্তৃতিঃ
এটি আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের অন্যতম সাধারণ ডলফিন প্রজাতি। প্রচুর পরিমাণে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
২০০৪ সালে গোটা উপকূলীয় এলাকায় জরিপ করে ছয় হাজার ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীর চারটি স্থানকে ডলফিনের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।