বড় ইঁদুর-Greater bandicoot rat
বড় ইঁদুর হচ্ছে Muridae পরিবারের এক প্রজাতির ইঁদুর। এরা বাংলাদেশের সবচেয় বড় আকারের ইঁদুর। একে কখনও কখনও বড় ইঁদুর বা বড় ধাড়ি ইঁদুর নামেও অভিহিত করা হয়। এটি বিবরবাসী, নিশাচর জীব। জনপদের কাছাকাছি থাকতে ভালবাসে।
ইংরেজি নাম: Greater bandicoot rat
বৈজ্ঞানিক নাম: Bandicota indica
বর্ণনাঃ
বড় ইঁদুরের কান মাঝারি আকারের, আকৃতি গোলাকার। এর লেজের দৈর্ঘ্য মস্তকসহ দেহের সমান। গায়ের লোম রুক্ষ, কিছু অংশকণ্টকাকীর্ণ। পৃষ্ঠদেশের মধ্যবর্তী স্থানে দীর্ঘ কালো রঙয়ের চুল থাকে যে জন্য কালচে বাদামী দেখায়। দেহের পাশ্র্ব ধূসরাভ, দেহতল ধূসরাভ বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে। মস্তকসহ দেহের দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ৩৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এঁদের লেজের দৈঘ্র্য ১৬ থেকে ৩৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দেখা গেছে।
স্বভাবঃ
এর মানব জনপদের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। বাগান, আস্তাবল, পোষা প্রাণীর খোঁয়ার, রান্না ঘর, ভাাঁড়ার ইত্যাদি স্থানে এদের ঘোরাফেরা। গ্রামে এবং শহরাঞ্চলে এদের প্রচুর দেখা যায়, দেখা যায় আবাদি জমি এবং অগভীর জঙ্গলে।
প্রজননঃ
বড় ইঁদুরের প্রজনন মৌসুম সারা বছর ধরে ব্যাপ্ত। প্রতিবারে একটি মাদি ইঁদুর ১ থেকে ১৯ পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে গুদামের বাৎসরিক হিসাব থেকে দেখা যায় যে একটি মাদি ইঁদুর বৎসরে গড়ে প্রায় ৭০টি বাচ্চা প্রসব করে
খাদ্য তালিকাঃ
বড় ইঁদুর নানা অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন পোকামাকড়, কাঁকড়া খেয়ে থাকে। শাক-সব্জি, ঘাস, শেকড়-বাকড়, গৃহের পরিত্যাক্ত খাদ্য বস্তু, মাটির নিচের আলু, গাজর, মূলা, ধান-চাল, শামুক ইত্যদি সবই এরা খেয়ে থাকে।
বিস্তৃতিঃ
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, মালযয়শিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান ও থাইল্যাণ্ডে এই ইঁদুর প্রচুর দেখা যায।
অবস্থাঃ
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ৩ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।