
পাঁচডোরা কাঠবিড়ালি-Northern palm squirrel
পাঁচডোরা কাঠবিড়ালি হচ্ছে কাঠবিড়ালী পরিবারের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশে দুই প্রজাতির ডোরা কাঠবিড়ালি আছে। এদের একটি পাঁচডোরা কাঠবিড়ালি এবং অন্যটি তিনডোরা কাঠবিড়ালি। এই দুই প্রজাতিরই পিঠের ওপর সাদা ডোরা দাগ আছে।
ইংরেজি নাম: Northern Palm Squirrel, five-striped palm squirrel
বৈজ্ঞানিক নাম: Funambulus pennantii
বর্ণনাঃ
এদের শরীরের মাপ ১৫ সেন্টিমিটার, লোমশ সুন্দর লেজটির মাপও ১৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৩৫-১৪৭ গ্রাম। ঘাড় থেকে পিঠ হয়ে লেজের গোড়া পর্যন্ত মোট পাঁচটি সাদা রেখা টানা আছে, যা এদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। পিঠটার রং গাঢ় লালচে-বাদামি। বুক-পেট সাদাটে। ছোট ত্রিকোণাকার কানের রং, পায়ের রং ও মাথার রং হালকা বাদামি।
স্বভাবঃ
এরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিপ্রধান বন থেকে আর্কটিক তুন্দ্রা অঞ্চলে বিচরণ করে। এটি গাছের চূড়া থেকে ভূনিম্নস্থ সুড়ঙ্গেও থাকতে পারে। এরা একাকী বা জোড়ায় চলে।
প্রজননঃ
ডোরা কাঠবিড়ালি বাসা করে প্রায় সারা বছরই। সরু শুকনা ঘাস-কলাগাছের আঁশ, শুকনা ঝরা পাতা, বাঁশের শিকড়, পরিত্যক্ত পাটের আঁশ, ধানের কুটো দিয়ে এরা ছোটখাটো ফুটবল আকারের যে বাসাটি বানায়, তার প্রবেশ দরজা থাকে এক পাশে।এই প্রাণীদের গর্ভধারণকাল ৪০-৪৫ দিন। বাচ্চা হয় ১-৫টি। পুরুষ বাচ্চারা ১০ মাসে ও মেয়ে বাচ্চারা ৭-৮ মাসে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়।
খাদ্য তালিকাঃ
প্রধানত ফল, বীজ, বাদাম, বাকল, পোকামাকড় ও খেজুরের রস খায়।
বিস্তৃতিঃ
এটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (যেখানে এটি চালু হয়েছিল), ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ইরানে পাওয়া যায়। ভারতে, এটি শহরাঞ্চলে মোটামুটি সাধারণ, এমনকি দিল্লি এবং কলকাতার মতো বড় শহরগুলিতেও।
অবস্থাঃ
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।