
কমলাপেট কাঠবিড়ালি- orange-bellied Himalayan squirrel
বাংলাদেশের দুর্লভ স্তন্যপায়ী প্রাণী কমলাপেট কাঠবিড়ালী। কালো কাঠবিড়ালী, কমলাবুক কাঠবিড়ালী, কমলাপেট হিমালয়ী কাঠবিড়ালী, মান্দার বা চাচিয়া নামেও পরিচিত।
ইংরেজি নাম: orange-bellied Himalayan squirrel, Orange-bellied Grey Squirrel or Orange-bellied Hill Squirrel
বৈজ্ঞানিক নাম: Dremomys lokriah
বর্ণনাঃ
কমলাপেট কাঠবিড়ালী মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। লম্বায় ৪২ সেন্টিমিটার, যার মধ্যে দেহ ২০ সেন্টিমিটার ও লেজ ২২ সেন্টিমিটার। ওজন ১৭২ থেকে ১৭৩ গ্রাম। দেহের রং গাঢ় বাদামি, কালচে বাদামি বা কালো। তবে গলা থেকে পেট পর্যন্ত কমলা রং। লেজ গাঢ় বাদামি থেকে কালচে। পা ছোট। কান ছোট ও লম্বাটে। কানের পেছনে সাদা দাগ রয়েছে। নাক খাটো।
স্বভাবঃ
এরা মূলত বৃহত্তর চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বন ও আশপাশের এলাকায় বাস করে। তবে শেরপুরের গজনীর পাতাঝরা বনেও এদের দেখা মেলে। এরা দিবাচর, ভূচারী ও বৃক্ষচারী। দিনের বেলা বেশ সক্রিয় থাকে। দিনভর এ গাছ ও গাছ করে বেড়ায়। তবে মাটিতেও নামে। একাকী বা জোড়ায় থাকে। সচরাচর নীরব। অনেক সময় কাঁপা কাঁপা স্বরে ‘চুক...চুক...চুক...’ করে ডাকে।
প্রজননঃ
বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করতে পারে। সাধারণত গাছের খোঁড়লে পাতা ও কাঠিকুঠি দিয়ে বাসা বানায়। বাসার ভেতরে একটি অন্দর মহলও থাকে। তুলো দিয়ে বাসার গদি বানায়। বাসায় ঢোকার রাস্তা থাকে একপাশে। বছরে একবার ২ থেকে ৫টি বাচ্চার জন্ম দেয়।
খাদ্য তালিকাঃ
বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, বীজ ও গাছের ছাল খায়। ফলের বীজ ছড়িয়ে এদের বংশবৃদ্ধিতে বেশ সাহায্য করে।
বিস্তৃতিঃ
বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, নেপাল, ভারত, মিয়ানমার, চীন ইত্যাদি দেশে এদের দেখা মেলে।
অবস্থাঃ
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।