হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালী-Hodgson's giant flying squirrel
হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালী হচ্ছে Petaurista গণের একটি বড় উড়ন্ত কাঠবিড়ালী। এই বড় উড়ন্ত কাঠবিড়াল বাস করে হিমালয়ান এশিয়া বনে। হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালি হল সিউরিডি পরিবারের একটি প্রজাতির ইঁদুর। এই বড় উড়ন্ত কাঠবিড়ালি এশিয়ার হিমালয় বনে বাস করে। অন্যান্য উড়ন্ত কাঠবিড়ালির মতো, এটি নিশাচর এবং তার অঙ্গগুলির মধ্যে চামড়া ছড়িয়ে দিয়ে গাছের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্বে (আসলে বাদুড়ের মতো উড়তে পারে না) পিছলে যেতে সক্ষম।
ইংরেজি নাম: Hodgson's giant flying squirrel
বৈজ্ঞানিক নাম: Petaurista magnificus
বর্ণনাঃ
এই বড় উড়ন্ত কাঠবিড়ালিটির মাথা ও শরীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬-৫১ সেমি , লেজের দৈর্ঘ্য ৪১.৫-৫৫ সেমি এবং ওজন ১.৩৫–১১.৮ কেজি। কিছু কাঠবিড়ালির মাথা এবং শরীরের তুলনায় একটি লম্বা লেজ আছে,কিন্তু অন্যদের টা খাটো। হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালির কাঁধ সোনালি-হলুদ। নীচের অংশগুলি কমলা। লেজের গোড়ায় গাঢ় বাদামী, বাকি অংশ লালচে-বাদামী, ডগা কালো। পা কালো।
স্বভাবঃ
হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালি ৪০০ থেকে ৩,৭০০ মিটার উচ্চতায় দেখা যায়। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন, উপক্রান্তীয় বন এবং নাতিশীতোষ্ণ বিস্তৃত পাতার বনে পাওয়া যায়। চিরসবুজ উভয় বনে পাওয়া যায়। এরা মূলত নিশাচর, সন্ধ্যার সাথে সাথে বের হয়। দিনে গাছের কোঠরে বা গর্তে লুকিয়ে থাকে, আর গভীর রাতে বের হয়।
প্রজননঃ
এদের প্রজনন সময় হলো নভেম্বর মাসে। গাছের খোঁড়লে নরম ডালপালা দিয়ে বাসা বানিয়ে সেখানে এরা ২-৩টি বাচ্চা প্রসব করে। মায়েরা বাসা ছাড়ার আগ পর্যন্ত তাদের লালন-পালন এবং সুরক্ষা দেয়। পুরুষরা তাদের সন্তানের লালন-পালনে অংশ নেয় না। ৫ সপ্তাহের মধ্যে এরা স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সক্ষম।
খাদ্য তালিকাঃ
এই কাঠবিড়ালি ফল (বিশেষ করে বাদাম), কচি পাতা, কুঁড়ি, ফুল, ঘাস, গাছের রজন এবং পোকামাকড় খায়।
বিস্তৃতিঃ
হজসনের উড়ন্ত কাঠবিড়ালিটি হিমালয় অঞ্চলের স্থানীয় যেখানে নেপাল, ভুটান, চীনের দক্ষিণ জিজাং (তিব্বত) এবং ভারতের সিকিম রাজ্য, সুদূর উত্তর পশ্চিমবঙ্গ এবং অরুণাচল প্রদেশের বেশিরভাগ অংশে পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।