লেটুস পাতার উপকারিতা

লেটুস পাতার উপকারিতা

প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুসে রয়েছে ১৫ ক্যালোরি, ২৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৯৪ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ২.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম।

লেটুসপাতা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমে যাওয়া রোধ করে। এ পাতায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে ত্বকের বলিরেখাও পড়ে না। ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।

কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া ওজন কমাতে এ পাতা দারুন কাজ করে।

ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড়ে গেলে এ পাতা থেঁতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়। লেটুসপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লেটুসপাতা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যানমিয়া বা রক্তশূন্য রোগীদের জন্য লেটুসপাতা উত্তম খাবার।

লেটুসপাতা ভিটামিন কে আছে। ভিটামিন কে হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। লেটুসপাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা উপকারী।

লেটুসপাতা খুশকি কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়াভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।

গর্ভবতী নারীরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমায় লেটুসপাতা।

লেটুস আঁশযুক্ত সবজি বলে এটা খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুসে অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন।

প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। তাই সালাদে শিমের বীচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন।

লেটুস পাতায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।

লেটুসে কয়েক ধরনের ভিটামিন 'বি' রয়েছে।

পটাসিয়াম রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।

লেটুস পাতার রেসিপি,লেটুস পাতার দাম,লেটুস পাতার ছবি,লেটুস পাতার সালাদ,পুদিনা পাতার উপকারিতা,লেটুস পাতার বীজ কোথায় পাবো,লেটুস পাতা গাছ,লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি

লটকনের পুষ্টিগুণ
আকন্দ পাতার গুনাগুন
চালতার গুণাগুণ
ভুইকুমড়া গাছের উপকারিতা
অশ্বগন্ধার উপকারিতা
জামের উপকারিতা
বোম্বাই মরিচের উপকারিতা
বাবা-মা হওয়ার সঠিক বয়স কত? - What is the right age to become a parent?
আই মেকআপ করার নিয়ম - Eye makeup rules
শিশুর চঞ্চলতা কি এডিএইচডি - Is ADHD in children hyperactive?