কাটা আঙ্গুলের আংটি
শাকিল নামাজ পড়তে চলে যায়। শাকিলের নামাজ শেষ হওয়ার আগেই হলের সামনে এসে দাড়ায় ফাহিম। নামাজ শেষে ফাহিমের সাথে যোগ দেয় শাকিল।

কাটা আঙ্গুলের আংটি


: কিরে, কী করছিস ?


: কি আর করবো, কাজ না থাকলে আমার যা করার। এখন বল তোর কী খবর ?


: আমার আবার খবর! এই অধমের খোঁজ খবর আবার কে নেবে ?


: ফাজলামি করিসনা। সত্যি করে বল সুমি কেমন আছে?


: শালা বদমাইশ আমার খবর না নিয়ে ডালিং এর খোজ খবর নিস। ব্যাপারকী শাকিল!


: তোদেরতো দুটি আত্তা মিলে একটি আত্তা। তাই একটি ভালো থাকলে অপরটি এমনিই ভালো থাকে।


: বাহ! চমৎকার দার্শনিক মার্কা কথা। আবার দেখিস সক্রেটিস প্লেটোকে ছাড়িয়ে যাসনে।


: সমস্যা কী তোরা আমার বানী চিরন্তনী প্রকাশ করবি। দেখবি ইতিহাসের পাতায় তোদের ও স্থান হবে।


: দোস্ত আমার ইতিহাসবীদ হওয়ার কোন প্রয়োজন প্রয়োজন নেই।


: এইতো! প্রেমিকদের একটাই সমস্যা। অতীত ভবিষৎ কোন কিছুই ভাবেনা। শুধু বর্তমানকে আকড়ে ধরে বসে থাকে।


: এতকিছু ভেবে তোর মত পাগল হতে চাইনা।


: দোস্ত সময় আছে। ভালো হও। ভালো হইতে পয়সা লাগেনা।


: এইতো আরেকটা বোকার মত কথা বললি। ভালো হইতে পয়সা লাগেনা তোকে কে বলেছে ? ভালো হইতেও পয়সা লাগে।


: কীভাবে পয়সা লাগে ?


: ধরে নে আমি মাদকাশক্ত। এখন আমি আলোর পথে ফিরতে চাই। তাহলে এখন কী করতে হবে! আমাকে চিকিৎসা করাতে হবে। আর চিকিৎসা করাতে টাকা লাগবে। তোকে কে বলেছে ভালো হইতে পয়সা লাগেনা। অবশ্যই লাগে।


: ভাই মাফ চাই। তোর সাথে কথা বলে পারবোনা। আমি সারেন্ডার করলাম।


: বল, কী জন্য এসেছিস?


: এইতো তোর খোঁজ খবর নিতে আসলাম।


: ভালো। সামনে নির্বাচন করবি নাকি ?


: কেন?


: যেভাবে গণসংযোাগ করছো তাতে মনে হচ্ছে সামনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করবি মনে হয়।


: ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ থাকলেতো ভালোই হতো। এ নির্বাচনতো কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে রেখেছে।


: সমস্যা কী!তুই নির্বাচন করতে চাও এই মর্মে আমরা ভিসি স্যারের কাছে একটি আবেদন লিখবো।


: ভিসি স্যারের কাছে আবেদন না লিখে নিজের চাকায় তেল দাও ফাহিম। চল দোস্ত নামাজের সময় হয়েছে। নামাজ পড়ে আসি।


: দোস্ত প্যান্ট পবিত্র নাই। আজ তুই পড়ে আয়। আমি অন্য সময় থেকে চেষ্টা করবো।


: দোস্ত এক অজুহাত আর কতদিন দিবি। শুরু করে দিলেই হলো।


: আগমী শুক্রবার থেকে পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবো। ইনশাআল্লাহ।


: আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বাঁচার নিশ্চয়তা আমাকে দিতে পারবি ?


: না।


: এই জন্যই বলি দোস্ত সময় থাকতে তৈরী হও।


: আজ কোথাও ঘুরতে যাবি ?


: হ্যাঁ। নামাজ পড়ে আসি এরপর দুজনে একত্রে বেড় হবো।


: আচ্ছা।


শাকিল নামাজ পড়তে চলে যায়। শাকিলের নামাজ শেষ হওয়ার আগেই হলের সামনে এসে দাড়ায় ফাহিম। নামাজ শেষে ফাহিমের সাথে যোগ দেয় শাকিল।


: চল আজ কোথায় যাবি?


: আজ ঝর্ণার পারে যাবো।


: আমার ভয় লাগে।


: আরে ভয় কিসের। চল। বহুদিন ওখানে যাইনা। আজ গেলে ভালো লাগবে।


: ঠিক আছে চল।


দুজনে পায়ে হেঁটে ঝর্ণার পারে চলে যায়। ঝর্ণার কলতান,নিরব নিস্তব্দ,জনমানব শুন্য পরিবেশে এসে ঘাবড়ে যায় শাকিল।


: আচ্ছা দোস্ত ক্যাম্পাসে এত জায়গা থাকতে হঠাৎ এখানে আসলি কেন?


: তোর কী ভয় লাগছে?


: এমন পরিবেশে বিকেল বেলা আসলে ভয় লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া বেশ কয়েকদিন আগে এখানে একজন খুন হয়েছে।


: এজন্য বেশি ভয় পেয়েছ মনে হয় ?


: হ্যাঁ। আচ্ছা মেয়েটি খুন হলো কীভাবে ?


: খবরের কাগজে দেখলাম প্রেম জনিত কারনে খুন হয়েছে মেয়েটি।


: তাই?


: হ্যা, মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দরী ছিল। চলাফেরাও ছিল বেশ ফ্যাশনাবেল। যে কারোর দৃষ্টি কাড়তো মেয়েটি। মেয়েটি ক্যাম্পাসের বখাটে বিল্টুর নজরে পড়ে। বিল্টু অনেক দিন ধরে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু মেয়েটি প্রথমে কোন সাড়া দেয়নি। বিল্টুও নাছোর বান্দা সেও মেয়েটির পিছু ছাড়েনি। প্রায় দিনই মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো বিল্টু। মেয়েটি আর কতদিন ধর্য্য ধরবে। একদিন রেল স্টেশনে বসে বিল্টুকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করে মেয়েটি। তার পরের দিনই মেয়েটি নিখোজ হয়। বেশ কিছু দিন পরে এই ঝর্ণা ভেতরে মেয়েটির ওড়নার সন্ধান পায় পুলিশ। কিন্তু এখানো মেয়েটির লাশ খুজে পায়নি। সবার ধারনা মেয়েটিকে গহীন পাহাড়ের কোথাও গুম করে ফেলেছে।


: পুলিশ কাউকে এ্যারেস্ট করেছে?


: না, যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তারা ক্যাম্পাসে দাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছে।


: কেন এ্যারেস্ট করবেনা?


: ওদের গড ফাদার আছে। তাদের উপর ভর করেইতো ওরা টিকে আছে।


: দেখছিস। কেমন আমাদের দেশের মানুষ। সবাই যেন দিন দিন চরিত্রহীন হতে চলছি। সামান্য ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা কোন কিছুই তোয়াক্কা করছিনা। কিসের বিচার কিসের কী আমরা সব কিছু ভুলে যাই। অবাক করার মত শাষন চলছে আমাদের দেশে। অথচ আমাদের দেশের রয়েছে গৌরবাজ্জল ইতিহাস। আমরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র এর মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। সেই দেশটাতে এখন চলছে কী! সু-শাষন নেই, কথা বলার অধিকার নেই। সব খানেই নষ্টদের রাজত্ব। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বপ্ন আজও বাস্তবায়ন হয়নি।


: বাহ! বাহ! তুই অনেক বড় পলিটিশিয়ান হতে পারবি। তারা এভাবেই সভা সেমিনারে বক্তব্য দেয়। চল সামনের দিকে যাই।


পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরু পথ দিয়ে সামনের দিকে হাটা শুরু করে শাকিল ও ফাহিম। হঠাৎ চিৎকার দিয়ে ওঠে ফাহিম। ফাহিমের হঠাৎ চিৎকারে একটু আতকে উঠে শাকিল।


: কিরে কী হয়েছে?


: দোস্ত একটা কাঁটা আঙ্গুল!


: পাগল হয়েছিস নাকি!


: হ্যা দোস্ত সত্যি বলছি।


শাকিল তাকিয়ে দেখে আংটি পরিহিত কাটা আঙ্গুল পড়ে আছে। শাকিল আঙ্গুলের দিকে এগিয়ে যায়। আঙ্গুল থেকে আংটিটি খুলে হাতে নেয়।


: দোস্ত তুই এসব কী করছিস। খুন হওয়া মানুষের আংটি হাতে নিয়ে আবার ঝামেলায় পড়িসনা।


: আরে ব্যাটা! বাদ দেতো ওসব কথা। কে আর দেখবে। বিক্রি করে কিছু নাস্তা পানি খাওয়া যাবে।


বিকেলে ঝর্নার তীর, সেন্ট্রাল মাঠ ঘুরে হলে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। পড়ার টেবিলে মন বসছেনা। আংটিটি হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে নানা কথা ভাবছে শাকিল। মনের গহীনে উকি দিচ্ছে রূপসী এক ললনার ছবি। হাতে পড়া সুন্দর আংটি। কতইনা সুন্দর দেখাতো মেয়েটির হাতে। কিন্তু মেয়েটি আজ কোথায়! চলে গেল না ফেরার দেশে। ওর মা-বাবা কেমন করে। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে তারা আজ কেমন আছে। আমিই বা কেমন, একটা আংটি পেয়ে কুড়িয়ে নিয়ে এনেছি। ছি! আমি এত খারাপ! না আংটিটি আমি রাখবোনা। ওর বাবা-মা এর কাছে ফেরত দেব। আবার ফেরত দিতে যেয়ে উল্টো বিপদে পরবোনাতো। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় শাকিল।


শাকিল গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। রাত অনেক হয়েছে। ক্যাম্পাসে পিনপতন নিরবতা। মাঝে মাঝে খেক শিয়ালের ডাক শোনা যায়। পাহাড়ী ক্যাম্পাসে প্রচুর খেক শিয়াল রয়েছে। রাত যত গভীর ওদের সাড়াশব্দ তত বেশি বেড়ে যায়। বিকেলে অনেক হেটেছে শাকিল। তাই শরীরটাও একটু দূর্বল। দূর্বল শরীর মনের ভয় সব কিছু মিলিয়ে গভীর ঘুমে নিমজ্জ । ক্লান্ত শরীর অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে চোখের পাতায়। শাকিল স্বপ্নে দেখছে সুন্দরী একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে রুমের সামনে। একটু গোমরা মুখে শাকিলকে বলছে রুমের ভেতর আসতে পারি?


: হ্যা, আসুন। আপনি এত রাতে আমাদের হলে এলন কী করে?


: এলাম তোমাদের সাথে গল্প করতে।


: বাহ! ভালইতো। অনেক দিন হয়েছে মনখুলে গল্প করিনা। আজ হয়তো পিপাসাটা মিটবে। দাড়িয়ে আছেন কেন বসুন।


চেয়ার টান দিয়ে খাটের সামনে বসে মেয়েটি। আর শাকিল বালিশে ঠেকিয়ে দেয়াল ঘেষে বসেছে মেয়েটির সামনে। এত রাতে একটি মেয়ে গল্প এসেছে ব্যাপারটা শাকিলের কাছে একটু রহস্যময় মনে হচ্ছে।


: আচ্ছা আপনি গার্ডদের চোখ এড়িয়ে এখানে কীভাবে এলন? প্রোভেস্ট স্যার শুনলে ছাত্রত্ব দুজনারই বাতিলহবে। আর কেলেংকারির অধ্যায়তো আছেই।


: পুরুষ মানুষ এত ভিতু হয় নাকি! আমি এখন মুক্ত আকাশের পাখি। আমার কোথাও যেতে অনুমতি লাগেনা।


: মানে। আমি এখন ঘুরে বেড়াই পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।


এমন কথা শুনে চমকে চায় শাকিল। আর মনে মনে ভাবে মেয়েটির সাইকো প্রবলেম আছে মনে হয়। কৌতুহলী মন নিয়ে মেয়েটির দিকে আরও ভালো করে তাকায়। তাকিয়ে দেখে মেয়েটির হাতের একটি আঙ্গুল নেই। একটি আঙ্গুল কম দেখে মেয়েটিকে প্রশ্ন করে শাকিল আচ্ছা, আপনি দেখতে কত সুন্দর, কিন্তু আপনার আঙ্গুলের এ অবস্থা কেন?


উত্তরে মেয়েটি বলে আপনারাই এমন করেছেন।


: আমরা করেছি মানে?


: এখন এমন ভাব ধরেন যে আপনারা কিছুই জানেননা। আমার কাটা অঙ্গুলের আংটিটিতো আপনার কাছে। দিন আমার আংটিটি ফিরিয়ে দিন।


মেয়েটির কথা শুনে কাচুমুচু করে শকিল বলে আমি বুঝতে পারিনি । সরি। এই নিন আপনার আংটি। হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে ছিলাম। আংটিটি ফিরিয়ে দিতে হাত বাড়াতেই অদৃশ্য হয়ে যায় মেয়েটি। ভয়ে চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে জেগে যায় শাকিল। শাকিলের চিৎকারে অন্যদেরও ঘুম ভেংগে যায়।


স্বপ্নের কথা রুমমেটদের কাছে বর্ণনা করলে রুমমেটরা বলে একটু বেশি ভেবেছিস তাই এমন দেখেছো। ফাহিম এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে বলে পানিটা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়।


পরের রাতে একই স্বপ্ন দেখে শাকিল। আবার চিৎকার করে জেগে ওঠে।


: দোস্ত আজও আমি একই স্বপ্নে দেখেছি।


: তোকে নিষেধ করেছিলাম। আংটিটা হাতে না নিতে। এখন বুঝ মজা।


: আমি এখন কী করবো!কোন বুজুর্গ হুজুরের কাছে যাবো ?


: কার কাছে যেয়ে কী বলতে কী বলে ফেলবি তখন দেখবি আবার অন্য বিপদ চলে আসছে। তার চেয়ে একটা কাজ কর আংটিটা বিক্রি করে টাকাটা গরীবদের দান করে দে। আমার মনে হয় মেয়েটির আত্তা শান্তি চায়।


: তাইলে কী আমি এ দুঃস্বপ্ন তেকে মুক্তি পাব?


: পেতেও পারো। চেষ্টা করে দেখতে সমস্যা কোথায়?


পরের দিন বাজারে যেয়ে আংটিটি বিক্রি করে সমুদয় অর্থ গরীবদের দান করে দেয় শাকিল। ফাহিমের পরামর্শে আংটির টাকা গরীবদের দান করে একটু মানসিক তৃপ্তি পায়।


পরের রাতে পুনরায় মেয়েটিকে স্বপ্নে দেখে। তবে এবার দেখে ভিন্ন চেহারায়। হাসিমুখে মেয়েটি শাকিলের সামনে উপস্থিত হয়ে খুশি কন্ঠে বলছে তোমাকে ধন্যবাদ বন্ধু। আমার আংটি বিক্রি করে গরীবদের মাঝে অর্থ বিলিয়েছ। আমি খুব শান্তি পেয়েছি। আমি পরপারে চলে আসছি। সওয়াবের দরজা সব বন্ধ। আমার নামে যে সব ভালো কাজ হয় আমি তার বিনিময়ে একটু প্রশান্তি পাই। তুমি আমার জন্য এ কাজটি করেছ। বন্ধু হিসেবে আমি তোমাকে একটি অনুরোধ করতে চাই। অনুরোধটি রাখবে কী?


: বলুন।


: বন্ধু তোমরা কখোনো হানাহানি করোনা। কাউকে হত্যা করোনা। দেখনা আজ আমার কী অবস্থা। আমি আমার বাবা-মা পরিজন থেকে অনেক দুরে। আর পিরবোনা তোমাদের পৃথিবীতে।যারা আমাকে খুন করেছে তারা কী ভেবেছে আমাকে মেরে ফেললে কী হবে! আমার বাব মা কেমনে থাকবে? আজ আমার বাবা-মা আমাকে হারিয়ে ছন্নছাড়া। প্লিজ বন্ধু! আমার কথা কী রাখবেনা?


: হ্যা রাখবো।


: আজ বিদায় নিচ্ছি। তুমি থাক। মাঝে মাঝে তোমার কাছে আসবো। কিছু কথা বলবো।


: আচ্ছা,এসো। আমি অপেক্ষায় থাকবো।


এর পর থেকে শাকিল মেয়েটিকে দেখলে আর ভয় পেতনা। মেয়েটির সাথে কথা বলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা থাকতো।



আমানুল্লাহ নোমান

আবার আসিব ফিরে-কবি জীবনানন্দ দাস
হুমায়ূন আহমেদের মজার উক্তি
আসাদ বিন হাফিজ
কিছু বিখ্যাত উপন্যাসের নাম
সেরা প্রেমের কবিতা
একুশের কবিতা – আল মাহমুদ
স্মৃতির মেঘলাভোরে – আল মাহমুদ
তুমি কি এখন স্বপ্নভঙ্গ কেউ- Tumi ki akhon shopno vongo kew