করমচা
বর্ণনাঃ
করমচা হল টক স্বাদের ছোট আকৃতির একটি ফল। ইংরেজিতে একে Bengal currant বা Christ's thorn বলা হয়। কাঁচা ফল সবুজ , পরিণত অবস্থায় যা ম্যাজেন্টা লাল-রং ধারন করে।
বিস্তৃতিঃ
করমচা , টক জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ফলের নাম। করমচা গণভুক্ত কাঁটাময় গুল্মজাতীয় করমচা উদ্ভিদটি এশিয়া , আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় আছে শর্করা-১৪ গ্রাম , প্রোটিন-০.৫ গ্রাম , ভিটামিন এ-৪০ আইইউ , ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম , রিবোফ্লেভিন-০.১ মিলিগ্রাম , নিয়াসিন-০.২ মিলিগ্রাম , আয়রন-১.৩ মিলিগ্রাম , ম্যাগনেসিয়াম-১৬ মিলিগ্রাম , পটাশিয়াম-২৬০ মিলিগ্রাম , কপার-০.২ মিলিগ্রাম।
করমচার উপকারিতা
১.ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়।
২.করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃত্পিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
৩.শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও সা হায্য করে।
৪.তাই ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব উপকারী।
৫.যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।
৬.মৌসুমি সর্দি-জ্বর , কাশিতে করমচা খান বেশি করে।
৭.করমচা কখনো কৃমিনাশক হিসেবে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া পেটের নানা অসুখের দাওয়াই করমচা।
৮.শরীরের ক্লান্তি দূর করে করমচা শরীরকে চাঙা রাখে।
৯. স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে করমচা সাহায্য করে।
১০.করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
১১.এটি ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়
১২.বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।