অর্জুন গাছের ঔষধী গুনাগুন
অর্জুন গাছ

অর্জুন গাছের ঔষধী গুনাগুন

অ্যাজমা রোগের ওষুধ: অ্যাজমার ক্ষেত্রে কিন্তু অর্জুন গাছের ছাল অসাধারণ উপকার দেয়। আপনি যদি অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত তাহলে এই অ্যাজমার সমস্যা অনেক কমে যাবে।

হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে:অর্জুন গাছের ছাল কিন্তু হার্টের সমস্যার খুব ভালো কাজ দেয়। এটি কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। হার্টের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। করোনারি হার্টের রোগ হতে দেয় না।

ত্বকের পরিচর্যায়:আমরা জানিও না হয়তো, আমাদের ত্বকের জন্য এই অর্জুন গাছের ছাল কতটা উপকারী। এটি ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বকের কোষ মজবুত করে। অর্জুন গাছের ছাল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগালে তা কমে যায়। আবার আপনি যদি এই ছালের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে মেচেতার দাগও কমে যায়।

ক্ষত হলে ব্যবহার করা যায়:অনেক সময়ে আমাদের খোস পাঁচড়া হয়ে থাকে। আর কিছুতেই এগুলি কমতে চায় না। তখন অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন। অর্জুন গাছের ছাল রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই জল দিয়ে পরের দিন জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে নিন।


আমাশয় মুক্তি দেয়:আমাশয় হলে আমরা খুবই কষ্ট পাই। পেট সব সময়ে ভার হয়ে থাকে আর নাভির কাছে যন্ত্রণা করে। কিছুই খেতে ইচ্ছে হয় না। আমাশয় হলে আপনি অর্জুন গাছের ছালের ক্কাথ ছাগলের দুধে মিশিয়ে খান। এতে আমাশয়ের সমস্যা কমে যাবে।

হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে :আমাদের বাঙালিদের প্রধান সমস্যা কিন্তু এটিই। আর এই হজমের সমস্যা থেকেই গ্যাস, অম্বল আরও কত কী! কিন্তু অনেক ওষুধ খেয়েও এই সমস্যা কমে না। এবার অর্জুন গাছের ছালে বিশ্বাস রেখে দেখুন। রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে হাল্কা গরম জলে অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি রোজ রাতে খান নিয়ম করে। এতে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়বে।

মাড়ির সমস্যা হয় না:মাড়ি থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ সমস্যা। অনেক সময়ে মাড়ি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়। তখন খুব ব্যথা করে। অর্জুন গাছের ছালে আছে ট্যানিন। তাই এই ছাল মাড়ির সমস্যা থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে। অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে মাজনের মতো ব্যবহার করুন রোজ সকালে।

বুক ধড়ফড় করলে:অনেক সময়েই আমাদের বুক ধড়ফড় করে। দূর থেকে হেঁটে আসলে বা খুব চিন্তায় পড়ে গেলে আমাদের বুক ধড়ফড় হয়। সেই সময়েও আমাদের সাহায্য করতে পারে অর্জুনের ছাল।

যৌন উদ্দীপনা বাড়ায়:বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে যৌন উদ্দীপনার অভাব কিন্তু একটি গুরুতর সমস্যা। অনেক সময়ে অনেক টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করতে হয় এর। কিন্তু জানেন কী, অর্জুন গাছের ছাল এই সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়! এই ছালে আছে স্যাপোনিন, যা যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।

রক্তপিত্ত:অনেক সময়েই আমাদের রক্তপিত্ত হতে দেখা যায়। তখন আমরা খুবই ভয় পাই। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক সময়ে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে এটি হতেই পারে। তখন অর্জুনের ছালই আপনাকে রেহাই দেবে।

লিভারের সমস্যায়:লিভার ভালো থাকা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকার। ডাক্তাররা বলেন, লিভার ভালো থাকলে নাকি অনেক সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু সেই লিভারও তো অনেক সময়ে ঠিক মতো কাজ করে না। তাই লিভার সুস্থ রাখতে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করুন।

ঋতুস্রাবের সমস্যায়:অনেক সময়েই মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। আর তার ফলেই পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এই সব হয়। আবার নিয়মিত ঋতুস্রাব হলেও এই সমস্যা যে হয় না তা নয়। আর এই ব্যথা কমানোর জন্য মেয়েরা সাধারণত কোনও ওষুধ খেতে চান না। তখন আপনি এই অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। হাল্কা গরম জলে অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন যখন খুব ব্যথা হবে।

ক্যানসার প্রতিরোধে:গবেষণা করে দেখা গেছে, অর্জুন গাছের ছালে আছে গ্যালিক অ্যাসিড আর লুটেনোনিন। এই দুটি উপাদান ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি কমায়। তাই যদি আপনি নিয়ম করে এই ছাল ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু ক্যানসারের থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

১, হৃদরোগ উপশমে অর্জুন ছাল ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বাজারে এক অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। অর্জুন ছাল ভালভাবে পেষণ করে চিনি ও গরুর দুধের সঙ্গে প্রত্যহ সকালে খেলে হৃদরোগ এবং বুক ধড়ফড় কমে যায়।

২, রক্তে নিম্ন চাপ থাকরে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়।

৩, রক্তক্ষরণে ৫-৬গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়।

৪, শ্বেত বা রক্ত প্রদরে ছাল ভিজানো পানি আধ চামট কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশন হয়।

৫, ক্ষয়কাশে অর্জুনের ছালের ‍গুড়াবাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৬, এছারা হাঁপানিতে অর্জুন ফল টুকরো করে তামাকের মত ধোঁয়া টানলে উপকার হয়।

৭, হার্নিয়াতে অর্জুন ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা পাতার রস সেবনে আমাশয় রোগ ভাল হয়।

৮, হৃদপিন্ডের দুর্বলতা ও সাধারণ দুর্বলতায় ৩-৪ গ্রাম অর্জুন ছাল চূর্ণ প্রত্যহ দুবার এক গ্লাস পরিমাণ দুধসহ সেব্য । এক মাস নিয়মিত সেবন করে যাওয়া আবশ্যক।

৯, কাচাঁ অর্জুনের ছাল ৫ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে পিষে ঠাণ্ডা পানিসহ দিনে দুবার খেলে রক্ত আমাশয়ে বিশেষ উপকারী

৯, ২০ গ্রাম পরিমান আধাচূর্ণ অর্জুন ছাল নিয়ে দুই কেজি পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ,পরবর্তীতে জ্বাল করে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেব্য। উল্লিখিত নিয়মে দিনে ২-৩ বার সেবন করে যাওয়া আবশ্যক।

১০, বিচূর্ণ ফল রক্তচাপ কমায়, মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসাবে কাজ করে।

১১, বিচূর্ণ ফল রক্তচাপ কমায় মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে।

১১, এই ছাল মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে।

১২, এটি সংকোচন ও জ্বর রোধক হিসেবেও কাজ করে।

১৩, এছাড়া চর্ম ও যৌন রোগে অর্জুন ব্যবহুত হয়। যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে ও অর্জুনের ছালের রস সাহায্য করে।

১৪, অর্জুন খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

অর্জুন গাছের ফলের উপকারিতা,অর্জুন গাছের ছবি,অর্জুন চা এর উপকারিতা,অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য,নিম গাছের উপকারিতা,অর্জুন ছালের গুড়া,অর্জুন গাছের ফল কি কাজে লাগে,অর্জুন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম

কোন দুধ বেশি উপকারী, ঠান্ডা নাকি গরম? - Which milk is more beneficial, cold or hot?
জেনে নিন চুমুর আশ্চর্য সব উপকারিতা
কালোজিরার গুনাগুন
জেনে নিন খালি পায়ে হাঁটলে কি কি উপকার হয়
শরিফা ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
কাঁচা ছোলা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
তুলসী গাছের উপকারিতা
বিছুটি পাতার উপকারিতা,ব্যবহার এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পাইলস বা অর্শ রোগের কারণ ও প্রতিকার
সুস্থ থাকতে বাচ্চাদেরও নিয়মিত ব্যায়াম - Exercise regularly for children to stay healthy