আতা ফলের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

আতা বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ফল । যদিও বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয় না । আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল এর উৎপওিস্হান । আধা ছায়াযুক্ত যে কোন মাটিতে এর গাছ জন্মায় । আতা দেখতে অনেকটা হ্রৎপিণ্ডাকার, উপরিভাগ মসৃণ ও জালের আকারে রেখাম্কিত থাকে ।

আতা ফলের পুষ্টিগুণঃআতা ফলে প্রাণীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবগুলো পুষ্টি উপাদানই বিদ্যমান থাকে । নিম্নে খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম আতা ফলে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ দেখানো হলোঃ

আমিষ ১.৪ গ্রাম, শর্করা - ১৫.৭ গ্রাম,চর্বি - ০.২ গ্রাম,খনিজ লবণ - ০.৭ গ্রাম,ভিটামিন বি-২- ০.০৭ গ্রাম, ভিটামিন সি- ৫.০ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ১০.০ মি. গ্রাম, লৌহ ০.৬ মি. গ্রাম, ক্যারোটিন ৬৭.০ মাইক্রো গ্রাম।



প্রাণীদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিসাধন এবং বুদ্ধিবৃওিক বিকাশের জন্য আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান । এর অভাবে অপুষ্টি দেখা দেয় । শর্করা প্রাণীর দৈহিক বিকাশে সাহায্য করে । খাবারে শর্করার পরিমাণ বেশী থাকলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শর্করা দেহে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে দেহে তাপ ও শক্তির যোগান দেয় । চর্বি শর্করার মতই দেহে তাপ ও শক্তির যোগান দেয় । দেহত্বকের নীচে চর্বি জমা থাকে, ত্বকের মসৃণতা বাড়ায় এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । স্বাভাবিক দৈহিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে খনিজ লবণের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এর অভাবে দেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হয় । কিছু কিছু খনিজ লবণ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গঠনেও সাহায্য করে । দেহের সুষ্ঠু পরিপাক ক্রিয়ায় এবং দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে ভিটামিন বি-২ প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে । এর অভাবে স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও হজমে সমস্য দেখা দেয় । ভিটামিন –সি দেহের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । এটি দেহের ক্ষত ও সর্দি-কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে এবং দাঁত,মাড়ি ও পেশী মজবুত করে। এর অভাবে স্কার্ভি নামক রোগ হয় । ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে । রক্ত জমাট বাঁধা এবং হ্রদপিণ্ডের স্বাভাবিক ক্রিয়া অব্যাহত রাখতে এর প্রয়োজনীয়তা খুব গুরুত্বপূর্ণ । এর অভাবে হাড় বাঁকা বা রিকেট রোগ হয়, এমনকি জীবনীশক্তি পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে । লৌহ রক্তের লাল রক্ত কণিকা তৈরি করে,যা দেহকোষে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজন । এর অভাবে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া দেখা দেয় । এমনকি জীবনীশক্তি হ্রাস পেতে পারে । উদ্ভিদ দেহে ক্যারোটিন নামক লাল ও হলুদ বর্ণের রঞ্জক পদার্থ থাকে, যা প্রাণীদেহে ভিটামিন-এ তে রুপান্তরিত হয় । এ ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখে, দেহে রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠন ও সুস্হতায় সাহায্য করে । এর অভাবে রাতকানা রোগ হয় । খাদ্যশক্তি প্রাণীর দেহে শক্তির যোগান দেয় এবং দেহকে কর্মক্ষম রাখে । 

বাংলাদেশে শুধুমাএ টাটকা ফল হিসেবেই আতা খাওয়া হয়, তবে কোন কোন দেশে এ গোত্রের অন্যান্য ফলের ন্যায় আতা ফল প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়া হয় ।

বোম্বাই মরিচের উপকারিতা
জিরার পানির উপকারিতা ও গুনাগুণ
শেফালী পাতার উপকারিতা
রোজায় মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারন ও প্রতিকার - Causes and remedies for bad breath during fasting
কলমি শাকের পুষ্টিগুণ
গেমস আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় - Games are the way to get rid of addiction
তোকমার গুনাগুণ
পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল - Some strategies to remember reading
মাটির বিস্কুট ‘ছিকর’
শীতে দাড়ির যত্নে যা করবেন - What to do in winter beard care