ঘরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার উপায়-Ways to keep the home environment pollution free
home environment pollution free

ঘরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখবেন যেভাবে-How to keep the home environment pollution free

বাইরের পরিবেশের তুলনায় ঘরের ভেতরের আবহাওয়া অন্ততপক্ষে ১০০ গুণ বেশি দূষিত। এমনটা হওয়ার পেছনে অনেকাংশে আমরা নিজেরাই দায়ী। ঘর সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা, বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার করা ও সচেতনতার অভাবে ঘরের পরিবেশ খুব দ্রুতই দূষিত ও বিষাক্ত হয়ে ওঠে।

ঘরে থাকা কার্পেট, অ্যারোসল স্প্রে, এয়ার ফ্রেশনার এমনকি দেয়ার রঙ থেকেও নির্গত হয় বিষাক্ত ও সূক্ষ্ম কণা। এই সকল উপাদান ভলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ডস (Volatile Organic Compounds – VOCs) নামে পরিচিত।

স্বাভাবিকভাবেই এই দূষণের ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাসহ মাথাব্যথা, বমিভাব, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ঘরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখবেন কীভাবে-

জানালা খুলুন নিয়মিত

বাসার প্রতিটি ঘরের প্রতিটি জানালা নিয়মিত খুলতে হবে। এতে বাইরের বাতাস ঘরে চলাচলের সুযোগ হবে এবং ঘরের ভেতরের বদ্ধ বাতাস বাইরে বেরোতে পারবে। রাতে জানালা বন্ধ রাখার প্রয়োজন হলেও সকালে অবশ্যই জানালা খুলে দিতে হবে। এছাড়া যদি জানালায় নেট দেওয়া থাকে, তবে সকালের দিকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নেট খুলে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ধূমপানের কুফল ও প্রতিকার

ঘরের আসবাব কমিয়ে ফেলুন

ঘরে আসবাবপত্র যত কম হবে দূষণ ও ধুলাবালি ততই কম হবে। আসবাবের কোনায় ও বিভিন্ন লুকায়িত স্থানে ধুলাবালি জমে থাকার ফলে তা খুব সহজেই ঘরের বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। যা প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণের ফলে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন:  লিভার ক্যান্সারের কারন ও লক্ষন

ইনডোর প্ল্যান্ট রাখুন

ছোটখাটো ইনডোর প্ল্যান্ট ঘরের বিভিন্ন স্থানে এবং ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বারান্দায় তুলনামূলক বড় গাছের টব রাখার অভ্যাস করতে হবে। গাছ বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ঘরের বাতাসকে কিছুটা হলেও দূষণমুক্ত করতে কাজ করবে।

আবর্জনা বা বর্জ্য পদার্থ নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন

বাড়ির আশপাশে কোথাও আবর্জনা বা বর্জ্য পদার্থ ফেলবেন না। আপনাকে অবশ্যই বায়োডিগ্রেডেবল ও নন-বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্যগুলোকে সঠিক উপায়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।

ঘরের ভেন্টিলেটর পরিষ্কার রাখুন

শুধু ঘরের আসবাবপত্র নয়, ভেন্টিলেটরের দিকেও সমান নজর দিতে হবে। ভেন্টিলেটরের ছোট ও সংকুচিত স্থানে ঘর ও বাইরের ধুলাবালি অনেক বেশি আটকে থাকে। এই ধুলাবালি নিয়মিত পরিষ্কার না করা হলে ঘরের পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মিশে যায়।

আরও পড়ুন:  কিডনির কাজ ও কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

ঘরের আশপাশে বা বারান্দায় শাকসবজি চাষ করুন

স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল চাষ করুন। এসব খাবার শরীরের জন্য ভালো আবার বাড়ি ও পরিবেশের দূষণও রোধ হবে।

বাড়ির দূষণ কমাতে বিষাক্ত ও নোংরা পদার্থের ব্যবহার কমাতে হবে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পেতে ঘর থেকেই অনুশীলন শুরু করুন। এজন্য ঘরের সব বর্জ্য পদার্থ সঠিক উপায়ে নিষ্পত্তি করুন।

ঘরের বিভিন্ন তন্তুজাতীয় জিনিস পরিষ্কার রাখা

বিছানার চাদর, বালিশের কভার, সোফাসেটের কভার, জানালার পর্দা ও কার্পেট- ঘরে থাকা এই সকল তন্তুজাতীয় জিনিসে ধুলা অনেক বেশি আটকে থাকে। খালি চোখে দেখা যায় না বলে আমরা হয়তো সেভাবে গুরুত্ব দেই না। খেয়াল করে দেখবেন, রোদের আলোতে বিছানা ঝাড়লে প্রচুর পরিমাণে ধুলা উড়তে দেখা যায়। যা একইসাথে ধুলা ও শরীরের মরা চামড়া। এই সূক্ষ্ম ধূলিকণাগুলোই পরবর্তিতে ঘরের পরিবেশকে দূষিত করে তোলে। তাই প্রতি ৫-৭ দিন অন্তর প্রতিটি তন্তুজাতীয় জিনিস অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।

তথ্যসূত্র: barta24.com
ঘর থেকে টিকটিকি তাড়াবেন যেভাবে
জরায়ু ইনফেকশন এর লক্ষণ ও করণীয়
চুল পড়া বন্ধ এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে ঘরোয়া উপায়
জ্বর ও মাথাব্যথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় - Relieves fever and headaches