২০১৬ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘দঙ্গল’ ছবিতে অভিনয় করেন জায়রা ওয়াসিম। এত কম বয়সে তাঁর অভিনয় দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড-ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাওয়ার্ড ফর একসেপশনাল অ্যাচিভমেন্ট পেয়েছেন জায়রা। গত মার্চে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে তাঁর ছবি ‘দ্য স্কাই ইন পিঙ্ক’-এর শুটিংও শেষ হয়েছে। এমন সময়ে কেরিয়ারে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জায়রা ।
জায়রা তার ইনস্টাগ্রাম পোষ্টে লিখেছেন:কোরানের বিশাল এবং ঐশ্বরিক জ্ঞানের মধ্যে আমি তৃপ্তি এবং শান্তি খুঁজে পেয়েছি। প্রকৃতপক্ষে হৃদয় তার সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান, তাঁর গুণাবলী, তাঁর করুণা এবং তাঁর আদেশের জ্ঞান অর্জনে শান্তি পায়। নিজের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বদলে আল্লাহ-র উপরেই যে ভীষণ ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন জায়রা।
পাঁচ বছর আগে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা চিরকালের জন্য তাঁর জীবন বদলে ফেলেছে। যে মুহূর্তে তিনি বলিউডে পা রেখেছিলেন, তাঁর জন্য বিশাল জনপ্রিয়তার দরজা খুলে গিয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হয়ে উঠছিলেন, সাফল্যের প্রতীক হিসাবে তাঁকে তুলে ধরা হয়েছিল এবং প্রায়ই তাঁকে তরুণদের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করা হত। কিন্তু, তিনি যা করতে চেয়েছিলেন বা হতে চেয়েছিলেন, তার কোনওটাই এগুলো নয়, তাঁর কাছে সাফল্য এবং ব্যর্থতার যা ধারণা, তিনি সবে তা বুঝতে শুরু করেছেন।
সকলের প্রতি জায়রার উপদেশ— সাফল্য, খ্যাতি, সম্পদ যে পর্যায়ে পৌঁছে যাক না কেন, তাতে যেন কখনও শান্তি এবং নিজের বিশ্বাস না হারিয়ে যায়।
সেই পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, গত চার বছর ধরে দিনে পাঁচ বার করে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট খেতে হয় তাঁকে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘুম হয় না। এমনকি মানসিক অবসাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, কখনও কখনও তাঁর আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন জায়রা।