চরফ্যাসনে তেলবাহীলরী আর ব্যাটারী চালিত অটো-বারাকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ঘটনাস্থলে অটো-বোরক চালক দিদারউল্লাহ(৩০) নিহত হয়েছেন এবং বিকালে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে গুরুতর আহত স্কুল শিক্ষিকা কনিকা বেগম(৪২) মারা গেছেন। গুরুতর আহত মনিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে- বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহত অপর ৪ জন চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চরফ্যাসন ভোলা আঞ্চলিক সড়কের পৌরসভার কাইমুদ্দিন মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত অটো-বোরাক চালক দিদারউল্লাহ আসলামপুর ইউনিয়নের খতেজাবাগ গ্রামের বশির উল্লাহর ছেলে এবং নিহত কনিকা বেগম মধ্য উত্তর ফ্যাসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও ওমরপুর গ্রামের মাহাফুজু রহমানের স্ত্রী।
আহতরা হলেন, জাবের (১৮), জুয়েল( ২২) শহিজল(৩০) মনির(৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,চরফ্যাসন থেকে আসা দ্রুতগতির তেলবাহী লরী কাইমুদ্দিন মোড়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী দু’টি দুইটি ব্যাটারী চালিত অটো-বোরাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে অটোচালক দিদারউল্লাহ নিহত হন। আহত হন অটোবোরকের আরোও ৫ যাত্রী। ফায়ারসার্ভিস কর্মী ও পুলিশ স্থানীয়দের সহযোাগতায় হতাহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতাল পাঠান।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, দূর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে যায়।
ঘাতক লরীটি জব্দ করা হয়েছে । নিহত চালক দিদারুলের লাশ ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা কনিকা বেগমের আকষ্মিক মৃত্যুতে ওমরপুর গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্দ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার। কনিকা বেগমের স্বামী মাহফুজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রোকজনিত কারণে শয্যাশায়ী বলে তার সহকর্মীরা জানান। দু’টি মেয়ে সন্তানের লেখাপড়া, অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসাসহ পরিবারের শেষ অবলম্ভন ছিলেন এই শিক্ষিকা। তার আকষ্মিক মৃত্যুতে গোটা পরিবারটি অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন।