চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়ন কাশেম মিয়ার বাজারের পল্লী চিকিৎসক আলমগীরের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূল চিকিৎসায় নুরমোহাম্মদ ওরফে শান্ত (৮) নামের এক শিশুর হাতের একটি আঙ্গুল হারাতে বসছে। শিশুটি লালমোহান উপজেলার চরউমেদ ৪নং ওয়ার্ডের মোঃ নুরে আলমের ছেলে।২১আগষ্ট পল্লী চিকিৎসক আলমগীর শিশুটির কাটা আঙ্গুল সেলাই করেন।কয়েকদিন যেতেই ক্ষতস্থানে পচন ধরে এবং তার হাতের আঙ্গুলের অবনতি ঘটে। নিরুপায় হয়ে গত ৯সেপ্টেম্বর লালমোহন হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যান শিশুটির পরিবার। শিশুটির চাচা নুর হোসেন অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সময়ে শিশু শান্ত হাতের একটু আঙ্গুল কেটে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে কাশেম মিয়ার বাজারের পল্লী চিকিৎসক আলমগীর বলেন হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন নাই আমি চিকিৎসা করতে পারবো এরকম আরো অনেক চিকিৎসা আমি করেছি। ডাক্তার তার দোকানে নিয়ে সেলাই করার পর কয়েকবার ড্রেসিং করে। তার কিছুদিন পর কাটা স্থানটি পঁচন ধরে ও প্রচুর ব্যাথা করে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসলে, ডাক্তার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শান্তর পরিবার লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসকআলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ছেলেটির কাটা হাত সেলাই করেছি এবং এরকম আরো অনেক রোগী ভালো হয়েছে। সেলাই করার পর ছেলেটির হাত পানিতে ভেজানোর কারনে এ সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত বিষয়গুলোর সনদ আছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শোভন বসাক বলেন, পল্লী চিকিৎসকের কোন ধরনের কাটা-ছেড়া করার অনুমতি নাই। তবে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হলে ছোট-খাটো অপারেশন করতে পারবে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।