চরফ্যাসনে লাইসেন্স বিহীন জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুয়া টেকলোজিস্ট দিয়ে ভুল রিপোর্ট প্রদান করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া ৫০হাজার টাকা জরিমান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট(ইউএনও) মো.রুহুল আমিন। গত রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে চরফ্যাসন জনসেবা ডায়াগনস্টিক মালিক রুহুল আমিন খানের এই দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
জানাযায়, গত রবিবার দুপুরে চরফ্যাসন উপজেলার চেয়ারম্যান বাজারের বাশির দোন এলাকায় থেকে সুরমা বেগম তার ৩বছরের শিশু বাচ্চা আফনানকে নিয়ে শিশু বিশেজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে চরফ্যাসন হাসপাতালে সড়কে আসনে। এসময় জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক রুহুল আমিন খাঁন শিশু বিশেজ্ঞ ডাক্তার আছে বলে ওই নারীকে তার মালিকানাধীন জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেকে নেয়। অবসরপ্রাপ্ত একজন ডাক্তার ডেকে তার চেম্বার বসিয়ে চিকিৎসা দেয় হয় ওই শিশুকে। ওই চিকিৎসক ডাঃ জিয়াউল হক সিবিসি ও বিডাল(টায়পয়েট জ্বরের) পরিক্ষা জন্য দু’টি দেয়। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক নিজে টেকনোলজিষ্ট ল্যাবরেটরীজ সেজে রির্পোট তৈরি করে ৭৫০পরিক্ষার ফি ১৬০০টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক রুহুল আমিন খাঁন ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশনে ২টি পরিক্ষার স্থলে নিজে হাতে এমওপি আরেকটি পরিক্ষা লিখে সেটাও পরিক্ষা করছেন ওই রোগির। ডাক্তারের কাছে পরিক্ষা রির্পোট নিলে ডাক্তার ওই এমওপি লেখাটি দেখে কেটে দিয়েছেন। ওই রোগি শিশুর মা সুরমা ডায়াগনস্টিক মালিকের প্রতারনা বুঝতে পেরে পাশবর্তী ডায়াগনস্টিকে রির্পোটির মূল্য জানতে চান।বিষয়টি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত এলাহির হাতে পৌছলে মিল্লাত এলাহি কমিটির লোকজন নিয়ে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট(ইউএনও) রুহুল আমিনকে অবহতি করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই ডায়াগনস্টিক মালিককে আটক করার নির্দেশ দেয় থানা পুলিশকে। থানা পুলিশ তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কর্যালয়ে নিয়ে আসেন। তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজ পত্র না থাকা এবং ভুয়া রিপোর্ট ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় তার ৫০ হাজার টাকা জড়িমনা করা হয়েছে।
শিশু রোগির স্বজন বিবি ফিরোজা বলেন, আমাদেরকে শিশু বিশেজ্ঞ ডাক্তার আছে বলে ও ডায়াগনস্টিকের মালিক ডেকে নিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যজিট্রেড রুহুল আমিন জানান,জনসেবা ডায়াগনস্টিকের কোন কাগজপত্র নেই এবং নিজে টেকনোলোজিষ্ট সার্টিফিকেট ছাড়া ভুয়া পরিক্ষা করার কথা স্বীকার করেন। তার নিজ স্বীকার উক্তিতে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।