চরফ্যাসনের মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক রাসেল খাঁনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় দুর্বৃত্ত ,শাহিন মেম্বার . এমরান হোসেন মাদু, সহ সাদ্দাম,ওইলিয়াছ একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার ব্যবহারিত মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার রাসেল খাঁন জানিয়েছেন। গত ৩০ মার্চ মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এই হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রলীগ নেতা রাসেল খাঁন অভিযোগ করেন, গত ৩০ মার্চ স্থানীয় একটি দুর্বৃত্ত দল কেরামতগঞ্জ ৭ং ওয়ার্ডে অবস্থিত নিলিমা জ্যাকব শান্তি ক্লাবের সভাপতি রাসেল রারি ওপর হামলা করে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে ওই ছাত্রালীগ কর্মি রাসেল রারিকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে ছুটে এলে স্থানীয় দুর্বৃত্ত , শাহিন মেম্বার ও এমরান হোসেন মাদুসহ সাদ্দাম ও ইলিয়াছের একটি দুর্বৃত্তচক্র তার ওপরে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এসময়ে তার ব্যবহারিত মোটরসাইকেল ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। এঘটনার পর থেকেই দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হুমকি ধামকিতে নিরপত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান এগিয়ে এলে ওই দুর্বৃত্ত দল তার ওপরে হামলা করে তার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লটপাট চালায়। স্থানীয়দের তোপের মুখে দুর্বৃত্ত বাহিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ ওই বাহিনি গত শনিবার সন্ধ্যায় পুর্ব মাদ্রাজ ৭নং ওয়ার্ডস্থ জয়নাল আবেদিন মেম্বার বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার ওপর আবারও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই সোহেলের ওপর হামলা চালিয়ে দুজনকে গুরুতর আহত করেন।
চরফ্যাসন থানার ওসি শামসুল আরেফিন জানান, মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।