চরফ্যাসনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের জের ধরে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অন্তঃস্বত্তার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শিশু ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নির্মান শ্রমিক যুবক আওলাদকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ধর্ষক যুবক আওলাদ এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে। সে পলাতক রয়েছে।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৭ মাস যাবত পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ বৃক্ষতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নির্মানাধীন ভবনের এ ধর্ষণের এঘটনা ঘটে।
ভিক্টিম ও পুলিশ জানায়, আওলাদ পেশায় নির্মান শ্রমিক। গত কয়েক মাস যাবত ওই শিশু শিক্ষার্থীর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় নির্মানাধীন ভবনের রাজ মিস্তিরির হেলপার হিসেবে কাজ করছিলেন আওলাদ। কাজের সুবাধে স্কুল পড়–য়া শিশু শিক্ষার্থীর সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্রধরে তাদের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে আওলাদ কয়েক মাস যাবত শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোড়পুর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে শিশুটি ৬ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। অন্তঃস্বত্তার তার বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে বিয়ের জন্য আওলাদকে চাপ দিলে সে কাজ ছেড়ে কর্মস্থল থেকে গা-ঢাকা দেয়। এঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষক আওলাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।