বঙ্গবন্ধু উদ্যান:বেলস পার্ক-Bells Park
Bells Park

বঙ্গবন্ধু উদ্যান-Bells Park

বঙ্গবন্ধু উদ্যান (যা বেলস পার্ক নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের দক্ষিণের শহর বরিশালে অবস্থিত একটি নগর উদ্যান এবং বিনোদন এলাকা। এই উদ্যানটি বরিশালের সুন্দর এলাকাগুলির একটি, যাতে একটি খেলার মাঠ, হাঁটার পথ, হেলিপ্যাড, প্রচুর গাছ এবং পাশে একটি হ্রদ রয়েছে। বর্তমানে উদ্যানটির মালিকানা গণপূর্ত বিভাগের, তবে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন।

উদ্যানটি দৈর্ঘ্যে ৫৫০ ফুট ও প্রস্থে ৪৫০ ফুট। উদ্যানটি ঘিরে একটি হাঁটার পথ রয়েছে। উদ্যানের উত্তর পাশে একটি ছোট হ্রদ রয়েছে। উদ্যানের ভেতর বসার জন্য বেঞ্চ ও ছাতি রয়েছে। উদ্যান ও তার চারদিকে বিভিন্ন গাছপালা রয়েছে। এছাড়া উদ্যানের পাশে (সড়কের অপর পাশে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বড় ম্যুরাল রয়েছে।

ইতিহাস

১৮৯৬ সালে এনডি বিটসন বেল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপালন কালে, বরিশালে বাংলার গভর্নর-লেফটেন্যান্ট স্যার আলেকজান্ডার ম্যাকেনজির সফরকে কেন্দ্র করে এই বিস্তৃর্ণ উদ্যান নির্মাণ করেন। সেই সময়, এটি সিভিল লাইন (আবাসিক এলাকা) এবং নদীর পার্শ্ববর্তী শহররক্ষা বাঁধ সড়ক, উভয়ের মধ্যবর্তী উন্মুক্ত স্থানে নির্মিত হয়েছিল। উদ্যানটির পাশেই কীর্তনখোলা নদীর অবস্থান ছিল এবং নদীর পানি যেন শহরে ঢুকতে না পারে সেই জন্য সারিবদ্ধভাবে ঝাউ আর বোতল পাম গাছ লাগানো হয় যেন মাটি ধুয়ে না যায়। রাস্তার পূর্ব পাশে বসার জন্য সিমেন্টের বেঞ্চ ছিলো। বরিশাল শহরের উন্নয়ন, মুসলিম শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্যে বিটসন বেলের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ উদ্যানটির নাম তার নামানুসারে করা হয়।

উদ্যানটি কয়েক দশক ধরে বরিশাল শহরের প্রধান খেলার মাঠ ছিল এবং সমস্ত ক্রীড়া ও ক্রীড়াবিদদের কার্যক্রম এটিকে কেন্দ্র করে হত। এটি অনেক মহা জনসমাবেশের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়াসহ অন্য অনেক জাতীয় নেতা এসেছিলেন এবং মানুষের কাছে বক্তৃতা দিয়েছেন। এছাড়া এখানে বৃক্ষমেলা, বাণিজ্যমেলা, কুচকাওয়াজ সহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এই উদ্যানের নাম ‘বঙ্গবন্ধু উদ্যান’ নামকরণ করা হয়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে ভাষণ দিয়েছেন, তার আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে এখানে একটি ‘মুক্ত মঞ্চ’ ও ম্যুরাল তৈরি করা হয়।

২০১১ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে আলোকসজ্জা ও সোন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি সুন্দরবন, মানামি, এডভেঞ্চার, সুরভী, পারাবত, কীর্তনখোলা ও ফারহান লঞ্চে বরিশাল যেতে পারবেন। এছাড়া হযরত শাহ্‌ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডোমেস্টিক এয়ারলাইন্সে বরিশাল যাওয়া যায়। বরিশাল এসে স্থানীয় পরিবহনে বেলস পার্ক বা বঙ্গবন্ধু উদ্যান পৌঁছাতে পারবেন।

যেখানে থাকবেন

একদিনের বেশি থাকতে চাইলে হোটেলে উঠতে পারেন। বরিশাল শহরে ভালো মানের হোটেল রয়েছে।

যা খাবেন

বরিশালের বিখ্যাত খাবার নাজিমের কাচ্চি বিরিয়ানী, আকাশের কালাভুনা, হকের ছানা ও রসগোল্লা, শশীর মিষ্টি, নিতাইয়ের রসগোল্লা, বলাকার পুরি, টার্মিনালের গোশত চটপটি, বাজার রোডের ভুড়ি ভুনা ইত্যাদি খেতে পারবেন।

গানস অব বরিশাল-Guns of Barisal
বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা-The regional language of Barisal
রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ-Rayer Bazar Bodhyo Bhumi
পারকি সমুদ্র সৈকত-Parky Beach
প্রজাপতি পার্ক বাংলাদেশ-Butterfly Park Bangladesh
মহামায়া হ্রদ বা লেক-Mahamaya Lake
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান - Bhawal National Park
ঢাকার আবাসিক হোটেল তালিকা, নাম, মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Nilsagar Express train ২০২৪
ভেন্না বা রেড়ি গাছ,বীজ ও তেলের ঘরোয়া চিকিৎসা-Home Remedies of castor bean or castor oil plant