চরফ্যাসনে চাকুরীর প্রলোভনে ফেলে যুবতীকে দু’দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে এক মহিলাসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে চরফ্যাসন থানায় মামলাটি দায়ের করেন । পুলিশ এই মামলায় গণধর্ষণের সহযোগী নারী সালমা ও ধর্ষক আহম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করেছে। গত শনিবার রাতে পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডে গণধর্ষণে সহযোগী সালমার বসত ঘরে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতা যুবতীর বাড়ি দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা গ্রামে। একটি বে-সরকারি ফার্মে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ধর্ষিতা যুবতীকে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নিজের বসতঘরে ডেকে নেন গণধর্ষণের সহযোগী সালমা। শনিবার বিকেলে সালমার বাড়িতে যাওয়ার পর যুবতীকে আগে থেকে সালমার ঘরে অপেক্ষায় থাকা খদ্দেরদের সাথে দৈহিক সম্পর্কে যেতে বাধ্য করেন সালমা। শনিবার বিকেল থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত সেখানে আটক রেখে যুবতীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে ৩ ব্যক্তি,যারা সবাই সালমার খদ্দের। রোববার বিকেলে সালমার ঘর থেকে পালিয়ে এসে চরফ্যাসন থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ জানান ধর্ষিতা যুবতী। ধর্ষিতার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ফজলু কসাইর ছেলে আহাম্মদ আলী(২৫), মো. হোসেন হাওলাদারের ছেলে নুরনবী(৩৫) , আলম শাহজির ছেলে মহসিন(২৬) এবং ধর্ষকদের সহযোগী গৃহকত্রী সালমাকে আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের পরপর চরফ্যাসন থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, সালমা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নিজের বসতঘরটি অসামাজিক কর্মকান্ডের নিরাপদ ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে দরিদ্র পরিবারের যুবতী মেয়েদের নিজের বসতঘরে ডেকে এনে পূর্ব পরিচিত খদ্দেরদের সাথে দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য করেন সালমা।
চরফ্যাসন থানার ওসি শামসুল আরেফিন জানান, চাকুরীর ফাঁদে ফেলে দরিদ্র পরিবারের এই যুবতী মেয়েকে জিম্মি করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভিক্টিমকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।