বরিশালে কিট সংকটের কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই মা-মেয়ের সংস্পর্শে আসা সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
জেলার বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির হাসান দৈনিক আমাদের সময় কে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, তার কাছে অল্প কয়েকটি কিট এসেছে, তা দিয়ে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে ১১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত মা-মেয়ে গত ১৪ এপ্রিল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নেন। তারা নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজারের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে স্থানীয় শেরে বাংলা বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার মনির হোসেনের কাছ থেকে ইনজেকশন নেন।
১৭ এপ্রিল পুনরায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের ল্যাবে পাঠান।
২০ এপ্রিল সকালে তারা বানারীপাড়া হাসপাতাল থেকে তারা পালিয়ে উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণের চাল নিয়ে বাড়ি চলে যান।
২১ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা পুনরায় উদয়কাঠী বাজারে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান। মা-মেয়ের এই অবাধ ঘোরাফেরা কারার কারণে ওইসব এলাকায় তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের মাঝে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন।
ডা. কবির হাসান জানান, মা-মেয়ের সংস্পর্শে আসাদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের করোনা পরীক্ষা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে তারা এ পর্যন্ত ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কিট সংকটের কারণে অনেকের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানান উপজেলার শীর্ষ এই স্বাস্থ্য কর্তা।